Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য, স্টক ক্লিয়ার করা। বিজেপি নেতারা নানা টোপ দিয়ে ‘সদস্যতা অভিযান’কে সেই সেলের পর্যায়েই নামিয়ে এনেছেন। সেলে গোডাউন খালি করতে হয়, আর এখানে ধরেবেঁধে বিজেপির ঘর ভরানোই লক্ষ্য। তাই দেওয়া হচ্ছে জ্যাকেট, নগদ টাকা সহ নানান টোপ। আর বিজেপি শাসিত রাজ্যে চলছে রীতিমতো জোরজবরদস্তি। হাসপাতালে যাওয়া অসুস্থ রোগীকে মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলে, এমনকী স্কুলের নাবালক ছাত্রকেও জোর করে সদস্য করা হচ্ছে। লক্ষ্যপূরণের লক্ষ্যেই চলছে এমন সব অনাসৃষ্টি কাণ্ড। 
২ সেপ্টেম্বর বিজেপির দিল্লির সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা জানিয়েছিলেন, দলের সদস্য সংখ্যা ৮কোটি ৮০ লক্ষ। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ১০ কোটি। সেই মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, পরিবারে নতুন সদস্য এলে আনন্দ হয়। বিয়ের পর নববধূ এলে যে আনন্দ হয় বিজেপি পরিবারেও নতুন সদস্য এলে হয় সেই একই রকম অনুভূতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একেবারে হক কথা বলেছেন। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, অন্যের সন্তানকে নিজের ছেলে বলে দাবি করলে কি সে নিজের হয়ে যায়, নাকি আনন্দ হয়?
এই প্রশ্ন মোটেই অবান্তর নয়। বরং এর যথেষ্ট কারণ আছে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতের কথাই ধরা যাক। সেখানে বিজেপির সদস্যতা অভিযানকে কেন্দ্র করে এমন কিছু ঘটনা সামনে এসেছে যাতে এই প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। গুজরাতের রাজকোটের এক হাসপাতালে চোখের অপারেশনের জন্য রোগীদের ভর্তি করা হয়েছিল। অভিযোগ, মাঝরাতে এক বিজেপি নেতা তাঁদের ঘুম থেকে তুলে সকলের মোবাইল নিয়ে নির্দিষ্ট নম্বরে মিসড কল দেন। অপারেশনের ফলে তাঁদের রোগমুক্তি হয়েছে কি না জানা নেই, কিন্তু বিজেপির সদস্যপদ প্রাপ্তিতে কোনও সমস্যা হয়নি। গোটা ঘটনাটা এক রোগী মোবাইলে রেকর্ড করায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। বিজেপির সদস্যতা অভিযানের শিকার হচ্ছে বহু নাবালক পড়ুয়াও। তাদের মোবাইলে বিজেপির অভিনন্দন বার্তা আসার পর বিষয়টি জানা যাচ্ছে। তা নিয়ে হইচই হচ্ছে বটে, কিন্তু লক্ষ্য পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। 
মধ্যপ্রদেশ এই মুহূর্তে বিজেপির সবচেয়ে শক্তঘাঁটি। মাত্র ২৪ দিনে নাকি এক কোটি সদস্য সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছে। সেই রেকর্ড বাজাতেই এমন সব আওয়াজ বেরচ্ছে যাতে মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছে না বিজেপি। লক্ষ্মণ ঘনঘোরিয়া মধ্যপ্রদেশের একজন প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা। কিন্তু তাঁকেও বিজেপির সদস্য করে নেওয়া হয়েছে। তাঁর মোবাইলে বিজেপির সদস্য হওয়ার জন্য অভিনন্দন বার্তা আসার পরই বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। লক্ষ্মণ ঘনঘোরিয়া সেই মেসেজ দেখিয়ে দাবি করেছেন, বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
মধ্যপ্রদেশে আরও একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক অজয় বিশনোইয়ের একটি টুইটে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। অজয় বিশনোই জানিয়েছেন, তাঁর কাছে একটি ফোন নম্বর থেকে বহুবার ফোন আসে। সদস্য সংগ্রহের দায়িত্ব তাদের সংস্থাকে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ঘরে বসেই প্রচুর সদস্য সংগ্রহের হাতছানি। তারজন্য দিতে হবে টাকা। টাকার জোরে বসে বসেই হয়ে যাবেন নেতা। গোটা বিষয়টি অজয়বাবু টুইট করে জানান। সদস্যতার দায়িত্ব এজেন্সিকে দেওয়া হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন। সেটা হলে মাটিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা সংগঠনকে মজবুত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা যে পিছিয়ে পড়বেন, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন।
অজয়বাবুর এসব দলের মধ্যে বলার কথা। কিন্তু তিনি টুইট করে তাঁর আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। কারণ সদস্যতা নিয়ে কী চলছে, সেটা তিনি বুঝতে পারছেন। তাঁর টুইটে বিজেপি নেতৃত্ব চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায়। নেতৃত্বের পরামর্শে তিনি থানায় এফআইআর করেছেন। পুলিসের হাতে তদন্তভার দিয়ে বিষয়টিকে আপাতত হিমঘরে পাঠানো হয়েছে। বিজেপি যে ক্রমশই এজেন্সি নির্ভর পার্টিতে পরিণত হচ্ছে, সেটা অজয় বিশনোইয়ের ঘটনায় আরও প্রকট হল।
এজেন্সির যে কী মহিমা, সেটা একুশের নির্বাচনে এ রাজ্যের মানুষ টের পেয়েছে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দৌলতে বিজেপি নেতাদের মাথায় ঝরে পড়েছিল লাল গোলাপের পাপড়ি। জনসমর্থনের ছিটেফোঁটা নেই এমন এলাকাতেও বিজেপির পদযাত্রাকে ঘিরেও উঠেছিল আবেগের তুফান। তবে সে সবই যে মেকি ছিল, তা বাংলার সচেতন মানুষের বুঝতে ভুল হয়নি। 
বিজেপির সদস্যতা অভিযানকে ঘিরে দেশজুড়ে জোর ঢাক পেটানো চলছে। ইতিমধ্যেই নাকি সদস্য সংগ্রহের সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তারজন্য অভিনন্দন জানিয়ে টাঙানো হয়েছে পোস্টার। এরমধ্যে কতটা দুধ আর কতটা জল, সেটা বলা কঠিন। তবে ‘ইস বার চারশো পার’এর স্লোগান দিয়ে ২৪০ আসনে আটকে যাওয়ার মতোই বিজেপির সদস্যতা অভিযানের হাল। 
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি তবুও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের নামিয়ে সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু বাংলায়? এখানে বিজেপি ক্ষমতায় নেই। উল্টে দিন যত যাচ্ছে ততই দুর্বল হচ্ছে সংগঠন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এতটাই তীব্র যে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো বিজেপির ‘অতিথি নেতা’ও প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন। সেই বঙ্গ বিজেপির সামনে দেওয়া হয়েছে এক কোটি সদস্য সংগ্রেহের টার্গেট। তবে, পরিণতি সেই আগের মতোই হতে চলেছ। ইতিহাস বলছে, ২০০ আসনের টার্গেট দিলে পায় ৭৭। ৩০ আসনের টার্গেট দিলে জোটে ১২টি। বাংলায় সদস্য সংগ্রহের কাজও এগচ্ছে সেই অনুপাতেই। 
বিজেপি সূত্রের খবর, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সদস্য সংগ্রহের সংখ্যাটা ৩৭ লক্ষের কাছাকাছি। এরমধ্যে দুধ আর জলের অনুপাত কষতে না যাওয়াই ভালো। কারণ এটা একেবারেই দলের অন্দরের ব্যাপার। এখানে কোনও প্রতিপক্ষ নেই। ফলে দিল্লি নেতৃত্বের মুখঝামটা খেতে হবে না, এমন জায়গায় সংখ্যাটা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বঙ্গ বিজেপি করবেই। সুকান্ত মজুমদার নিজেকে একেবারে ‘সেফ জোনে’ নিয়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর দাবি, দক্ষিণ দিনাজপুরে সদস্য করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লক্ষ। ইতিমধ্যেই দেড় লক্ষ হয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি শুনে গেরুয়া শিবিরেই চলছে হাসাহাসি। কেউ কেউ জানতে চাইছেন, দুধে জল, নাকি জলে দুধ? অবশ্য এটাও ঠিক, একই সঙ্গে তিনি রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই একটা ‘স্ট্যান্ডার্ড’ তো তাঁকে রাখতেই হবে!
তবে, সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন একুশের কৃত্রিম ঝড়ে উতরে যাওয়া বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা প্রথম দিকে আন্তরিকভাবেই দলের গাইডলাইন মেনে সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হিসেব কষতে গিয়ে দেখছেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ তো দূরের কথা, অর্ধেক জোগাড় করতেও পারবেন না। এইভাবে চললে  অনিশ্চিত হয়ে যাবে টিকিটও। তাই যে-যার মতো করে চালু করে দিয়েছেন সদস্য সংগ্রহের ‘অফার’। এ ব্যাপারে বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি দানার ‘অফার’ নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে। কী সেই অফার? ৭৫জনকে সদস্য করলে ১০০ টাকা এবং দেড়শো জনকে সদস্য করলে মোদি জ্যাকেট। তাঁর এই অফার সোশ্যাল মিডিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে। এনিয়ে অনেকে কটাক্ষ করছেন। কিন্তু নীলাদ্রিবাবু বুঝে গিয়েছেন, মানুষ পাশে নেই। নেই বিজেপিকে ঘিরে সেই আবেগও। এখন বিজেপিতে চলছে ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নীতি। টাকা ছাড়া কেউ কাজ করবে না। তাই হয়তো তিনি দিয়েছেন সেলের স্টাইলে ‘অফার’।
সদস্যতা অভিযান এক অর্থে বিজেপির ভোটার লিস্ট তৈরির কাজ। এর উপর ভিত্তি করেই ঠিক হবে সংগঠনে কারা নেতৃত্ব দেবে। আর সেখানেই মেশানো হচ্ছে দেদার জল। কারণ বিজেপির লক্ষ্য, বিশ্বের সর্ববৃহৎ পার্টির গৌরব অর্জন করা। সদস্যতা অভিযান নিয়ে এমন ঢাক পেটাচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে, বিজেপি সর্ববৃহৎ পার্টি হলেই মিটে যাবে দেশের সব সমস্যা। এসব দেখে অনেকেই বলছেন, সদস্যতা অভিযান আসলে সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর কৌশল। এও  বিজেপির আর এক জুমলা।
04th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
একনজরে
নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের অধিকারকে নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার। সেই লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন তৈরি করা হচ্ছে। ...

ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে প্রয়াত হলেন মুরারই-১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রমেশ রাজবংশী(৪০)। তাঁর বাড়ি মুরারই-১ ব্লকের গোঁড়শা পঞ্চায়েতের ডালিম্বা গ্রামে। ...

প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে প্রবাদপ্রতিম লেখকদের ছাপিয়ে গেল রকমারি কেরিয়ার গাইডেন্স বই। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা বইমেলার শেষদিনে বই বিক্রির এমনই তথ্য উঠে এল জেলা গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে। ...

গত দুই মরশুমে মোহন বাগানের যাবতীয় সাফল্যের অন্যতম কাণ্ডারি তিনি। তবে চলতি আইএসএলে একেবারেই ছন্দে নেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। তার উপর থাবা বসিয়েছে চোট। গত দু’টি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৬: মার্কিন লেখক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ও কূটনীতিবিদ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জন্ম
১৮৩৮: হাতে কলমে টেলিগ্রাফের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেন স্যামুয়েল মোর্স
১৮৫২: দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের মৃত্যু
১৮৮৪: বংশগতির প্রবক্তা গ্রেগর মেন্ডেলের মৃত্যু
১৯২৯: কলকাতায় এলেন মাদার টেরিজা
১৯৫৯: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কপিল দেবের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী বিন্দিয়া গোস্বামীর জন্ম
১৯৬৬: সঙ্গীত পরিচালক তথা শিল্পী এ আর রহমানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের জন্ম
১৯৭১: জাদুসম্রাট সিনিয়র পিসি সরকারের মৃত্যু
১৯৮০: বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার তথা সঙ্গীতজ্ঞ দীলিপকুমার রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী তথা মঞ্চাভিনেত্রী আঙুর বালার মৃত্যু
২০১৭: অভিনেতা ওম পুরির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২২ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী ৩০/৫ রাত্রি ৬/২৪। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩১/৫৩ রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/২/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১২/২১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। 
২১ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী রাত্রি ৬/৪৩। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৬। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। 
৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মুড়িগঙ্গার উপর ২-৩ বছরের মধ্যে সেতু তৈরি হবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:41:31 PM

বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পাওয়া ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে ১০ হাজার করে টাকা দিলেন মমতা

03:40:35 PM

ভারতে এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত দুই শিশু

03:40:00 PM

নিহত মৎস্যজীবীর স্ত্রীকে আর্থিক সাহায্য, মঞ্চে তাঁর হাতে চেক তুলে দিলেন মমতা

03:29:07 PM

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় গঠন করা হল চার্জ

03:26:00 PM

ভারত সেবাশ্রম সংঘে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:17:00 PM