Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশেষ করে যখন পদে পদে আক্রান্ত হচ্ছে সংবিধান। নেতৃত্বের প্রশ্নে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের ঐক্য কিছুতেই জমাট বাঁধছে না। সঙ্ঘ পরিবারের চক্রব্যূহে দেশ, তখন তিনি কতটা সহ্য করে দীর্ঘ দশ বছর একটা জোড়াতালি দেওয়া নানা কিসিমের দলের সরকার চালিয়ে ছিলেন তা বারবার মনে পড়ছে। পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে বামেদের সমর্থন প্রত্যাহার থেকে মুলায়ম সিংয়ের সমর্থন আদায়, গান্ধী পরিবারের দু’শো আব্দার—সব সামলেছেন ঠোঁটের কোণের অসামান্য মৃদু হাসিটাকে বাঁচিয়ে রেখেই।
এটা সত্যি, মনমোহন সিং কোনও অর্থেই জননেতা ছিলেন না। কোনওদিন ভোটে লড়েননি। তাঁর আকর্ষণে কোনও সভায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়েছে, একথা তাঁর কোনও অন্ধ ভক্তও দাবি করবেন না। আগাগোড়া অসম থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সদস্য। ত্রয়োদশ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেও সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয়তম রাষ্ট্রনেতার আসনে বসাতে আপত্তি তুলবেন তাঁর একান্ত নিকটজনেরাই। ৫৬ ইঞ্চি দূর অস্ত, ‘অ্যাকসিডেন্টাল’, ‘পাপেট পিএম’ আখ্যা দিয়েই বিরোধীরা ঠোঁট বাঁকান আজও। তবু প্রায় সাড়ে তিন দশক ক্ষমতার উচ্চকক্ষে অনাবিল বিচরণের পরও তাঁর সততা ও নিষ্ঠার তুলনা মেলা ভার। তাঁর আমলের টুজি, কয়লা ব্লক বণ্টন কেলেঙ্কারি নিয়ে ঝড় উঠেছে, সংসদ অচল হয়েছে। সরকার টালমাটাল হয়েছে। কিন্তু তাঁর সফেদ কুর্তায় কালি লেপতে পারেনি একফোঁটাও। তিনি সেই বিরল মানুষ, যাঁর শিক্ষার ছাপ ও ক্ষমতার দ্যুতি উচ্চকিত চিৎকারে প্রকাশ পায় না, স্পষ্ট হয় ব্যবহারে, মাথা নিচু করে মৃদু ও ধীর বাচনভঙ্গিতে। বিরোধীদের ক্রুর শব্দবাণ ধেয়ে এলেও মনের ভিতরের পাকিয়ে ওঠা যন্ত্রণা কান্নায় নয়, পথ খুঁজে নেয় বিকল্প কাজে। কর্মসংস্থান থেকে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন। একশো দিনের কাজ থেকে তথ্য জানার অধিকার, বিতর্কিত পরমাণু চুক্তি তাঁরই দান, যা সিপিএমের মেকি মুখোশ পর্যন্ত বেআব্রু করে দিয়েছিল। আদ্যন্ত ধর্মপ্রাণ পাঞ্জাবি শিখ, কিন্তু বাজার চলতি ‘হো জায়েগি বল্লে বল্লে’র ছন্দে গা ভাসিয়ে অলীক প্রতিশ্রুতি দেননি কখনও। বছরে দু’কোটি চাকরি, ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার মতো বাজার গরম করা কথার বদলে মন দিয়েছেন অর্থনীতির প্রকৃত মানোন্নয়নে। লাইসেন্সরাজ খতম করে। ১৯৯১ এবং ২০০৮ সালের জোড়া আর্থিক বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করার নজরকাড়া সাফল্য কোনও নির্বাচনী সভায় কিংবা সংসদের অলিন্দে হাত পা ছুড়ে গলা চড়িয়ে তাঁকে জাহির করতে দেখেনি দেশবাসী। আমিই প্রথম, আগের সব মিথ্যা, এই মানসিক বিকার আচ্ছন্ন করেনি কখনও। ব্যর্থ হয়েছেন, কিন্তু কোনওদিন কাউকে মুছে দেওয়ার সচকিত হুঙ্কার, মানুষে মানুষে দূরত্ব তৈরির বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার কূটকৌশল কিংবা মুষ্টিবদ্ধ তর্জনী আকাশে তুলে প্রতিপক্ষকে তোপ দাগার কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। দু’-দুটো টার্ম প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ, যোজনা কমিশন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর এবং অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব—এই বিপুল অভিজ্ঞতার মিশেল এবং সম্ভ্রম জাগানো কেরিয়ার সত্ত্বেও শেষদিন পর্যন্ত সৌজন্য, শিষ্টাচার, ভদ্রতা এবং কৃষক পরিবারের মাটির কাছাকাছি থাকার ব্রত আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়েই বেঁচেছেন। তাঁর দশ বছরের শাসনে সংবিধান কোনও আতঙ্ক ছাড়াই নিরাপদ থেকেছে, বদলের নেশায় নেমে আসেনি আক্রমণ! রক্তে প্রতিহিংসার লেশ ছিল না বলেই তিনি আজীবন ‘দুর্বল’, সোনিয়ার হাতের ‘পুতুল’, গান্ধী পরিবারের ‘বেতনভুক ক্রীড়নক’ বিশেষণে ভূষিত হয়েছেন। ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী, ৩৩ বছর সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য। কিন্তু ভোটে লড়েননি একবারও। মায় দলের বসন্তে যখন যত্রতত্র রকমারি ফুলের আনাগোনা তখনও। তাঁর আনা গুরুত্বপূর্ণ অর্ডিন্যান্স দলেরই ‘মুখ কিংবা মুখোশ’ যাই বলুন সেই রাহুল গান্ধী ‘খুলে আম’ সাংবাদিক সম্মেলনে ছিঁড়ে ফেলেছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩। সেদিন তিনি ছিলেন আমেরিকায়। রাতে হোয়াইট হাউসে ওবামার সঙ্গে বৈঠক। এতটা অসম্মান এবং যন্ত্রণাও মুখ বুঝে সহ্য করেছেন নিঃশব্দে, বিদ্রোহের পথে পা মাড়াননি। মনের দুঃখ বুঝতে দেননি নিজের ছায়াকেও। অথচ সেই অর্ডিন্যান্স আইনে রূপান্তরিত হলে সোনিয়া পুত্রকে এমপি পদ হারাতে হতো না গত লোকসভায়। ওই ঘটনার আট মাসের মধ্যেই ইউপিএ সরকারের পতন হয়। একরাশ দুঃখ বুকে নিয়ে সেদিন তিনি আশা করেছিলেন, গণমাধ্যম নির্দয় হলেও ইতিহাস একদিন নিশ্চয় তাঁর প্রতি সদয় হবে। গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে সেই ‘ঋজু’ অথচ বয়সের ভারে ‘দুর্বল’ মানুষটির প্রয়াণের পর দেশজুড়ে জেগে ওঠা শোকের সুনামি জানান দিল ইতিহাস আজ তাঁর প্রতি কতটা সদয়! একই বছরে শিল্পপতি রতন টাটা ও মনমোহন সিংয়ের চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতি। ভারতমাতার সঙ্গে আমরাও দুই অমূল্য কোহিনুরকে হারালাম একই বছরে। যা আগামী একশো বছরেও পূরণ হওয়ার নয়।
বছরের শেষ রবিবার। নতুন বছর শুরু হতে বাকি ৪৮ ঘণ্টা। বছরটা শুরু হয়েছিল রামমন্দিরের উদ্বোধন এবং সেই ধর্মীয় আবর্তে দেশবাসীকে আচ্ছন্ন করে মনমোহনের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর ব্যক্তিত্ব নরেন্দ্র মোদির তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার ঝড় তোলার চেষ্টায়। মনমোহন জমানাকে পিছনে ফেলে মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাশিত ঝড় কিন্তু ওঠেনি। অযোধ্যার বহু প্রতীক্ষিত মন্দির বাঙালি তথা ভারতবাসীর আবেগকে ঢেকে দিতে পারেনি। এক্সিট পোল পণ্ডিতরা কী দেশে, কী এই বঙ্গে তাদের নির্বাচনী হিসেব মেলাতে ব্যর্থ। অধিকাংশ এক্সিট পোলই বিজেপির পক্ষে সাড়ে তিনশো থেকে চারশো আসন জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল। চারশো নয় দৌড় থেমেছে ২৪০-এ। আর বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসন গেরুয়া দলকে দিয়ে রাজনৈতিক ডামাডোল সৃষ্টির চেষ্টাও কম হয়নি। কিন্তু বাস্তবে ফল বেরতে দেখা গেল বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়া তো দূর অস্ত কমেছে, বঙ্গে তা ১৮ থেকে কমে ১২ হয়েছে। আর সিপিএম তথা বামপন্থীরা যথারীতি শূন্যই রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বাংলায় এবং দক্ষিণ ভারতের বিরাট অংশে বিজেপির রথ মুখ থুবড়ে পড়ার দরুনই, ৪০০ পারের স্বপ্ন দূর অস্ত, একক গরিষ্ঠতা হারিয়ে বিজেপি সরকার চব্বিশের মাঝামাঝি থেকে মনমোহন আমলের মতোই জোটের সরকারে পরিণত। ২০০৪ থেকে ২০১৪, প্রথমে বাম এবং পরে মূলত মুলায়মের দলের সমর্থন নিয়েই মনমোহনের পথচলা। আর আজ মোদি সরকারেরও দু’টি অবলম্বন তেলুগু দেশমের চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের নীতীশ কুমার। এও এক অদ্ভুত সমাপতন! মোদিজিকে আজ প্রতিনিয়ত শরিক রাজনীতির পাঠ নিতে হচ্ছে মনমোহনের থেকেই। একদশক পর। ভাগ্যের এমনই পরিহাস, তিনিও সংখ্যালঘু দলেরই প্রধানমন্ত্রী! আসন্ন নতুন বছরে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে যদি মনমোহনের মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় তারই অন্বেষণ চলছে দেশজুড়ে। 
বাংলাতেও চব্বিশ সাল জুড়ে রাজনৈতিক ঢেউ বড় কম ওঠেনি। কিন্তু সেই ঢেউ মিলিয়ে গিয়েছে কোনও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ছাড়াই। কেন? কারণ এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তিশালী নেতৃত্ব আছে। তাই বহু চেষ্টা করেও দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ মোদিজি। বছরের শুরুতে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গেরুয়া শিবিরের দাপাদাপি যদি একটি দিক হয়, অন্যদিকে রয়েছে জেলায় জেলায় বিভাজন ও মেরুকরণের চেষ্টা। মোদি ও অমিত শাহ, এই দু’জন সরকারি হাওয়াই জাহাজে কলকাতা বিমানবন্দরে না নামলে বঙ্গ বিজেপি মৃতপ্রায় হয়েই পড়ে থাকে। তাঁদের বার বার আসা যাওয়াতেও আখেরে প্রাণ জাগে না, স্বল্প সময়ের জন্য ঘুম ভাঙে শুধু। অপদার্থ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব এজন্য ষোলোআনা দায়ী। আর বামপন্থীরা? ডাক্তারদের পিছন পিছন ঘুরেও এতটুকু জনসমর্থন বাড়াতে ব্যর্থ। নিয়োগ দুর্নীতি। বালি, গোরু, রেশনের চাল পাচার, মন্ত্রীসান্ত্রিদের গ্রেপ্তার এত কিছুর পরও এ রাজ্যের বিরোধীরা কি সামান্যও জেগেছে! বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আরএসপি, সিপিআই ... এসইউসি কেউ গাঝাড়া দিতে পেরেছে? বামেদের যাবতীয় বিপ্লব আজ ফেসবুক আর ইউটিউবেই বন্দি! অথচ বছরটা শুরু হয়েছিল টি-২০ স্টাইলে। অযোধ্যার মন্দিরই বুঝি দেশের সঙ্গে বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রও বদলে দেবে, ভাবটা ছিল এমন। ২২ জানুয়ারি পাড়ায় রামভক্তদের দাপাদাপি দেখে এই বাংলাকে চিনতে সত্যিই কষ্ট হচ্ছিল। আর আজ বছর ঘোরার এই মাহেন্দ্রক্ষণে অযোধ্যার মন্দিরকে হাজার যোজন পিছনে ফেলে দিতে প্রস্তুত দেড়শো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দীঘার জগন্নাথ মন্দির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে শীঘ্রই যার উদ্বোধন আসন্ন। আগামী অক্ষয় তৃতীয়া থেকে বাংলার আধ্যাত্মিক মানচিত্রে এই নয়া সংযোজন নিশ্চিতভাবে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আবহসঙ্গীত রচনা করবে। এবং ধর্মপ্রাণ বাঙালি বলবে হিন্দুধর্ম কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে ভোট এলেই বাক্স ঝেড়ে তা দরজায় দোলাতে হবে ফায়দা লোটার জন্য। 
কিন্তু আগামী ১৫ মাসের মধ্যে বাংলার বিধানসভা মহারণের চেয়েও সম্মিলিত বিরোধী জোট আগামী বছর জাতীয় স্তরে বিজেপিকে কতটা চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারে তার উপরই নির্ভর করছে ভারতের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ। যদি বিজেপিকে রুখে দিতে হয় তাহলে মমতা, কেজরিওয়াল, স্ট্যালিন, লালু, অখিলেশ, শারদ পাওয়ার, উদ্ধবদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সংসদে এক হয়ে এক দেশ এক নির্বাচন বিল আটকে দিতে হবে। নাহলে খতম হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তিটাই। ভারতের সংবিধান ও আম্বেদকরের সম্মান বাঁচাতে পারে একমাত্র আঞ্চলিক দলগুলিই। এবং মনমোহনের মতো গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে উঠে আসা একজন সৎ শান্ত সর্বজনগ্রাহ্য নেতা, যিনি সমগ্র বিরোধী কুলকে ঐক্যের মন্ত্রে বাঁধতে পারবেন। তার জন্য নীরবে সব জ্বালা সহ্য করতে পারবেন। দেশের এই সঙ্কটের মুহূর্তে মনমোহনের মতো একজন শান্ত নির্লোভ সৎ নেতার বড় প্রয়োজন গরিব মানুষের স্বার্থে এবং সংবিধানকে অক্ষত রাখতে। মনমোহনের সেই বিকল্প যদি বাংলা থেকে উঠে আসে! সেই স্বপ্নের নেতানেত্রীর খোঁজেই আসন্ন ২০২৫-এর রাজনৈতিক দৌড়ের অপেক্ষা। আচমকা ২০০৪ সালের দমকা ঝোড়ো বাতাসের মতো তিনি এলেই বিজেপি’র কারিকুরি শেষ হয়ে যাবে বাজপেয়ি জমানার মতো। দিল্লিতে আবার মাথা তুলবে ইন্ডিয়া জোটের কোয়ালিশন সরকার। 
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
একনজরে
তাপমাত্রার তেমন হেরফের না হলেও বছর শেষের কয়েকদিন গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে দাপট থাকবে ঘন কুয়াশার। আগামী সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত ভোরের দিকে উত্তর দিনাজপুর, মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ৫০ থেকে ২০০ মিটার দূরত্বের দৃশ্যমানতা বেশ প্রভাবিত হতে পারে। ...

আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ৪০ বছর পূর্ণ করবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তাঁর পেশাদার কেরিয়ারে যবনিকা নামতে আর বেশি দিন যে বাকি নেই, তা পরিষ্কার উপলদ্ধি করতে পারছেন ...

৩৫ দিন ব্যাপী যাত্রা উৎসব শুরু হতে চলেছে। ৩১ জানুয়ারি বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কাছারি ময়দানে শুরু হবে ২৯তম রাজ্য যাত্রা উৎসব। চলবে পরেরদিন, এক ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দুই থেকে চার ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উৎসব হবে রবীন্দ্রসদনে। ...

বাংলার বাড়ির টাকা দিয়ে ঘরই তৈরি করতে হবে, অন্য খাতে ব্যয় করা যাবে না। কোনও অসাধু চক্রের খপ্পরেও পড়বেন না, কেউ টাকা চাইলে দেবেন না— এই ভাষাতেই উপভোক্তাদের সচেতন করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লক প্রশাসন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের  ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০০: ভলকানাইজড রাবারের উদ্ভাবক চার্লস গুডইয়ারের জন্ম
১৮৪৪ :  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সভাপতি  উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৬০: ব্রিটেনের প্রথম লৌহবৃত্ত যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ওয়ারিয়র সাগরে ভাসানো হয়
১৮৭৩: সাহিত্যিক ও সংগীতশিল্পী ইন্দিরা দেবী চৌধুরানীর জন্ম
১৯০:  মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের জন্ম
১৯১১: খান সাম্রাজ্য থেকে মঙ্গোলিয়ার স্বাধীনতা লাভ
১৯১৭:  রামায়ণ (টেলিভিশন ধারাবাহিক) খ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক চন্দ্রমৌলি চোপড়া ওরফে রামানন্দ সাগরের জন্ম  
১৯৩০: স্যার মোঃ ইকবাল দুই দেশ ভাগ করা ও পাকিস্তান নির্মাণের জন্য একটা রূপরেখা প্রকাশ করেন
১৯৪২: অভিনেতা রাজেশ খান্নার জন্ম
১৯৪৯: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সৈয়দ কিরমানীর জন্ম
১৯৫২: অভিনেত্রী যোগীতাবালির জন্ম
১৯৬০: প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডেভিড বুনের জন্ম
১৯৭২: ভারতের মধ্যে কলকাতায় প্রথম মেট্রো রেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়
১৯৭৪: অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্নার জন্ম
২০০৬: নজরুলগীতির জনপ্রিয় শিল্পী ধীরেন বসুর মৃত্যু
২০১২: প্রাক্তন ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটার ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার টনি গ্রেগের মৃত্যু 
২০১৫: বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সুবীর সেনের মৃত্যু
২০২২ - কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৭৩ টাকা ৮৬.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৭ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৫ টাকা ৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
28th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্দ্দশী ৫৪/১৫ রাত্রি ৪/২। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৪২/৩৫ রাত্রি ১১/২২। সূর্যোদয় ৬/১৯/৫৩, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ৯/৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৭ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৫১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩১ গতে ৪/১৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/১৯ গতে পুনঃ ১২/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১৯ গতে ৩/০ মধ্যে। 
১৩ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্দ্দশী রাত্রি ৩/৪৮। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪৬ মধ্যে। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২০ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২০ গতে ৩/১ মধ্যে। 
২৬ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: জামশেদপুরের কাছে ১-০ গোলে হারল কেরল

10:28:55 PM

দলছুট হাতির আক্রমণে জখম যুবক
আশঙ্কাই সত্যি হল। রবিবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুরের গো গ্রামে দলছুট হাতির ...বিশদ

10:08:31 PM

দুর্গাপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এলাকায় আতঙ্ক
দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোন সিআর দাস এলাকায় রবিবার একটি ময়দানে ...বিশদ

09:58:19 PM

আইএসএল: জামশেদপুর ১-কেরল ০ (৮০ মিনিট)

09:10:00 PM

আইএসএল: জামশেদপুর ০-কেরল ০ (৫৭ মিনিট)

08:45:00 PM

আইএসএল: জামশেদপুর ০ - কেরল ০ (হাফটাইম)

08:34:00 PM