বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রান্তিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা। কিন্তু আইলা ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা ক্রমশ বিঘ্নিত হতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ২০২০ সালের পর থেকে হাসপাতালে আর কোনও স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়নি। পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল থেকে একজন চিকিৎসক সপ্তাহে একদিন করে আসেন। কয়েক ঘণ্টা রোগী দেখেই তিনি আবার ফিরে যান। জরুরি প্রয়োজনে গ্রামের মানুষ হাসপাতালে গিয়ে আর চিকিৎসকের দেখা পান না। হাসপাতালে একজন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। তিনিই রোগী দেখেন, ওষুধও লিখে দেন। এনিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছে এলাকার মানুষ। কিন্তু কাজ হয়নি বলেই ক্ষোভ তাঁদের। এলাকার বাসিন্দা নিমাই মণ্ডল ও সঞ্জয় দে বলেন, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে সাহেবখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি গড়ে উঠে। এই হাসপাতালই ছিল স্থানীয় মানুষের চিকিৎসার অন্যতম ভরসা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এই হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক নেই। একজন ফার্মাসিস্ট রোগী দেখছেন, ওষুধও দিচ্ছেন। আরেক বাসিন্দা অনিতা বিশ্বাস বলেন, নামেই সাহেবখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এখানে দিনের বেলা গোরু চরে বেড়ায়। রাতে অসামাজিক লোকের ভিড় হয়। আমরা চাই, দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ শ্যামলকুমার বিশ্বাস এলাকার মানুষের তোলা অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের সমস্যা রয়েছে ঠিকই। দ্রুত হাসপাতালে স্থায়ী চিকিৎসক দেওয়ার চেষ্টা করছি।