বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
এর আগে বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার পার্সোনাল কনজামশন এক্সপেন্ডিচার সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যেভাবে মানুষের ব্যয় বাড়ছে এবং সঞ্চয় কমছে, সেটা অর্থনীতির পক্ষে বিপজ্জনক। কারণ, নিত্যব্যবহার্য পণ্য কিনতেই জনতার পকেট শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই ব্যাঙ্ক অথবা আর্থিক সংস্থায় সঞ্চয় কিংবা লগ্নি যথাযথ পরিমাণে হচ্ছে না। সেই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্টকে কার্যত নস্যাৎ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, কেন্দ্র যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে মূল্যবৃদ্ধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অর্থাৎ ২০১১-১২ অর্থবর্ষে জিনিসপত্রের যা দাম ছিল, সেই একই জিনিস কিনতে এখন অনেক বেশি খরচ করতে হয়। ধরা যাক, সেই সময় কেউ ১০০ টাকা রোজগার করলে, প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ৬০ টাকা খরচ করতেন। এখন সেই একই জিনিস কিনতে তাঁকে ১৮০ টাকা খরচ করতে হয়। এখন হয়তো সেই ব্যক্তির রোজগার ২০০ টাকা। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির আয় দ্বিগুণ হয়েছে। তাই তিনি ১৮০ টাকা খরচ করতে পেরেছেন। অথচ আগে তিনি মাসে ৪০ টাকা সঞ্চয় করতেন। আর এখন মাত্র ২০ টাকা। সৌজন্যে মূল্যবৃদ্ধি! আর সেটাকেই আমল দিতে নারাজ কেন্দ্র।
বিষয়টি নিয়ে মোদি সরকারকে বিঁধেছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থদপ্তরের প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র। তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধির হিসেবকে বাদ রাখলে কখনই বাস্তব তথ্য পাওয়া যায় না। বাস্তবে সাধারণ মানুষের খরচযোগ্য আয় কমেছে। খাদ্যপণ্যের দাম সবচেয়ে কঠিন সঙ্কট তৈরি করেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রান্তিক মানুষ, যাঁদের রোজগার কম। জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেশি যে, তাঁদের সঞ্চয়ের সুযোগ নেই। কোনওভাবে কর্মক্ষমতা হারালে বা কোনও অঘটন ঘটলে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। মধ্যবিত্তদের সঙ্কটও মারাত্মক। সঞ্চয় করতে পারছেন না। সাধারণ মানুষ যদি দৈনন্দিন সংসার চালাতেই প্রায় সবটা খরচ করেন, তাহলে টিভি, ফ্রিজের মতো ভোগ্যপণ্য কেনার মতো দীর্ঘমেয়াদী খরচে কম ঝুঁকবেন। এতে শিল্পোৎপাদনের একটা বড় অংশ মার খাবে, দাবি অমিতবাবুর।