Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ আর সেই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। শাহবাগে ছাত্র সমাবেশ ডেকে বলেছিলেন, ‘ফখরুল সাহেব, আপনি মৌলবাদী বলতে কাকে মিন করতে চান? কে মৌলবাদী? হিন্দু মৌলবাদী, খ্রিস্টান মৌলবাদী, বৌদ্ধ মৌলবাদী? না মুসলিম মৌলবাদী?’ তারপরই ফয়জুল করিম ভয়ঙ্কর আওয়াজ তুলে বলেছিলেন, ‘ইসলামি মৌলবাদ জিন্দাবাদ। আমরা ইসলামি মৌলবাদে বিশ্বাসী। ইসলামি মৌলবাদকে বাদ দিয়ে কেউ কোনও দিন রাজনীতি করতে পারেনি, পারবে না ইনশাআল্লা।’
সেদিন জামাতে ইসলামিকে উদ্দেশ্য করে ফয়জুল করিম প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘আজ আমি জামাতকে বলব, আপনাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ আসছে। হক্কানি ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে আপনাদের যে মতানৈক্য আছে, বসে সমাধান করুন। বিএনপির সঙ্গে আপনাদের চরম দোস্তি ছিল। একইসঙ্গে আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু আদর্শের মিল না থাকার কারণে উভয়ের প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। লোক দেখানো কোনও ঐক্য আমরা চাই না। ইনশাআল্লা আগামী রাষ্ট্র হবে ইসলামি রাষ্ট্র।’ ইউনুস সরকারের জমানায় এটাই বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা। দিকে দিকে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার। মৌলবাদীদের সমাবেশগুলিতে নেতাদের ভাষণ শুনলে মনে হতেই পারে— তালিবানি শাসন বুঝি এসেই গিয়েছে! উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদ বাংলাদেশকে এখন গিলে খেতে চাইছে...।
প্রশ্ন হল, কীভাবে বাড়ছে মৌলবাদী চিন্তাভাবনা?
ওয়াজ মাহফিলের কথাই ধরুন। বাংলাদেশে ইসলামি সম্মেলন বা ইসলামি জনসভার রমরমা আগেও ছিল। এখন তো পোয়াবারো! বৃহস্পতিবার, শুক্রবার রাত নামলেই ছোট ছোট জেলা সদরের চারদিকে শুরু হয় ওয়াজ মাহফিল। শুরু হয় ‘আল্লার নামে শুরু করিলাম’ দিয়ে। এরপরে ধীরে ধীরে আল্লা বিদায় নেয়, ঢুকে পড়ে টাকা পয়সার আলোচনা। একটা কমিটি তৈরি করা হয়। একটা খাতায় ‘আল্লার নামে শুরু করিলাম’ লিখে শুরু হয় আয়োজন। বাজেট কত, কত টাকা আছে, মানুষের কাছ থেকে কত টাকা তুলতে হবে তা নিয়েই আলোচনা। কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়। কেউ চাঁদা তোলার দায়িত্ব নেয়। সেই চাঁদা তুলতে নামানো হয় মাদ্রাসার পড়ুয়াদের। আর কর্তা ব্যক্তিরা ছোটে বক্তা ধরতে! কনসার্টের শিল্পীদের মতো বক্তাকে ধরতে হয়। হুজুর অমুক দিন সময় দিতে হবে! হুজুরের সেদিন সময় নেই। টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব, যাতায়াতে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা ইত্যাদির পরেও যদি না আসে, তখন অন্য বক্তার পিছনে ছোটা শুরু। মাহফিলে দুই একজন সুপার স্টার মানের বক্তা লাগবেই। সুপার স্টার বক্তা কারা? যাদের ইউটিউবে ভিউ বেশি! কাদের ভিউ বেশি? যে বেশি প্রলাপ বকতে পারে! সার্চ করে দেখুন, ধর্মের নামে তাদের মিথ্যাচার শুনে তাজ্জব হয়ে যাবেন। অথচ, মানুষ হা করে শোনে। কোনও প্রতিবাদ নেই। কোনও প্রতিক্রিয়াই নেই। সবাই মুগ্ধ হয়ে শোনে কাঁচা মিথ্যে কথাগুলি। আর এক পেট মোটা বক্তা, যিনি ইচ্ছে মতো মিথ্যে কথা বলবেন, বিধর্মীদের গালিগালাজ করবেন, চরম অসম্মান করে যাবেন দেশকে, ইতিহাসকে! এটাই দস্তুর...।
ইসলামি বক্তার পাশাপশি রাজনৈতিক নেতাদেরও দাওয়াত দেওয়া হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা আসেন, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দেন। সব মিলিয়ে যা হয় তা হল, মিথ্যার এক ধারাবাহিক বিবরণী! মাইক লাগিয়ে রাতের বেলা উচ্চস্বরে মিথ্যাচার করা! এসব নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই তথাকথিত ‘বিপ্লবী’ ছাত্রনেতাদের। ধর্মীয় মৌলবাদ বিস্তারের এমন সুযোগ মৌলবাদীরা হাতছাড়া করতে চাইবে কেন? ওয়াজ মাহফিলে বক্তা মানেই বিরাট গরম বক্তা! দফায় দফায় ভারতকে হুঁশিয়ারি। আমেরিকা, ট্রাম্প সবাইকে চোখ রাঙানো। বারবার বলেন, ‘কারো দরকার নাই, আল্লা সাথে থাকলেই চলবে!’ হুমকির সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ইতিহাসও পড়ান। আদ্যপ্রান্ত মিথ্যাচার। বলেন, ভারতের ইতিহাস নাকি মুসলিমরা আসার পরেই শুরু। হিন্দু হচ্ছে নুহ নবীর ছেলে হিন্দের বংশ। হিন্দ থেকে হিন্দু! বক্তা হয়তো সিন্ধু নদীর নামটাই জানেন না। এরপরে সব বাদ দিয়ে মুসলিমদের আগমনের গল্প। মাঝে সব বাদ। মুসলিমদের পরে ইংরেজ শাসনের গল্প শুরু। সেই ইতিহাসের কোনও মা-বাপ নেই! ওয়াজ যাঁরা করেন তাঁরা একটা অদ্ভুত সুরে কথা বলেন। মঞ্চে উঠেই সেই সুরে কথা বলা শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেন না। কিছু একটা বলার পরেই বলে ওঠেন, ‘চিল্লায় কন ঠিক কি না! কথা বলেন, ঠিক কি না!’
বাংলাদেশে জাকির নায়েকের প্রভাব বিস্তারের পরে একটা ধারা তৈরি হয়েছে, ইংরেজি বলা! বক্তারা স্মার্ট ভাব আনার জন্য মাঝে মধ্যেই ভুলভাল ইংরেজি বলেন। ইংরেজি বলে একটা শব্দ পরে ওটাকে আবার বাংলা বলেন! এই চলতে থাকে, মানুষ ভাবে, বাপরে, কত্ত জানে হুজুর! এদিকে হুজুর গল্প বলছেন, ‘নীল আমস্ট্রং চাঁদে গিয়ে আজান শুনে এসেছিলেন! পৃথিবীতে এসে এক মসজিদে আজান শুনে মসজিদের ইমামকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এইটা কোন গান? ইমাম কইছে এইটা গান না, এইটা আজান! নীল বেচারা আর থাকতে পারে নাই, তখনই কলেমা 
পরে মুসলিম হয়ে গিয়েছে!’ এমন ডাহা মিথ্যাচার শুনতেই এইসব বক্তাকে ভাড়া করে নিয়ে যায় মানুষ! আর সরকার? 
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জের মানুষ জেনে গিয়েছে, আওয়ামি লিগকে গালি দিতে হবে এখন। ভারতকে গালি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। আর বলতে হবে, চিল্লায় কন ঠিক কি না! একটু পরে পরে বলতে হবে কোরান শরিফে সব আছে না নাই? অমুকটা আছে না নাই? আল্লা ব্যবসাকে করেছে হালাল 
আর মানুষ সবচেয়ে বড় ব্যবসা বানিয়েছে ধর্মকে! কোনও লস নাই, লাভই লাভ শুধু!  চটপটে মিথ্যা 
কথা বলতে পারলেই হল! চোখ খুলে না পারলে 
বন্ধ করে সংখ্যালঘুদের গালি দিয়ে যেতে পারলেই চলবে এই ব্যবসা। আর এটাই ইউনুস সরকারের জমানা— যে জমানায় শুধু শেখ হাসিনা, আওয়ামি লিগ আর ভারতকে গালি দিলে সাত খুন মাফ। 
তা সে চরম মৌলবাদী হোক কিংবা হাড়হিম করা 
জঙ্গি হোক। ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রাথমিক শর্তগুলি কখন যে ইউনুস সরকারের রক্তে মিশে যাচ্ছে তা হয়তো টেরও পাচ্ছেন না সোহরাব হাসান, আলি রিয়াজ, সারফুদ্দিন আহমেদের মতো বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীরা।
একসময় ডিসেম্বর মাস এলে আগে রাজাকারদের শরীরে জ্বালা ধরে যেত। আর এবার দেখা গিয়েছে, খোদ ইউনুস সরকারের শরীরে জ্বালা ধরে গিয়েছে। যত ভাবে পেরেছে চেষ্টা করেছে মুক্তিযুদ্ধকে সরিয়ে ২৪-এর জুলাই আন্দোলনকে সামনে আনার। সংসদ ভবনে ‘বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন কেমন হয়েছে জানেন? সেখানে মুক্তিযুদ্ধের ঠাঁই হয়নি, ২০২৪ সালের আন্দোলনের স্লোগান, গ্রাফিতি প্রদর্শনীতে ভরা! এখন ‘জয় বাংলা’ বললে যে কেউ রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় আটকে পড়তে পারেন। মুক্তিযুদ্ধের কথা বললে ‘ভারতের দালাল’ বলে ট্যাগ আটকে দেওয়া হয়। সংখ্যালঘুর নিরাপত্তার কথা বললে আপনার গায়ে হিন্দুত্ববাদের সমর্থক, বিধর্মী, নাস্তিক ট্যাগ লেগে যাবে।
বাংলাদেশের প্রবীণ লেখক-গবেষক বদরুদ্দীন উমর ঠিকই বলেছেন, ‘আজ বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, জ্ঞানের চর্চা বলে কিছু নেই।’ সহজেই মানুষকে ধর্ম দিয়ে ভুলিয়ে রাখা হচ্ছে। সঙ্গে ভারত বিরোধিতার প্রবল ঝড়। হিন্দুরাই সব ঝামেলার উৎস, আওয়ামি লিগের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে— এমন সব কথা দিয়ে ভুলিয়ে রাখা হচ্ছে সব ব্যর্থতা। এদিকে আরাকান আর্মি মায়ানমার বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলের দখল নিয়ে নিয়েছে, নাফ নদীতে নৌকা চলতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে! কেউ এটা নিয়ে লং মার্চও করে না, কেউ গরম গরম কথাও বলে না। কোনও প্রাক্তন আর্মি অফিসারকেও দেখা যায়নি রাস্তায় মিছিল করতে, যিনি চারদিনেই আরাকান আর্মির ঘর দখল করে ফেলার হুঙ্কার দিতে পারেন! অথচ, এটাই এখন বাংলাদেশের বাস্তব সমস্যা, ভয়ঙ্কর সমস্যা। এদিকে কলকাতা চারদিনে দখল করে ফেলতে রোজ ফেসবুকজুড়ে মৌলবাদী নেতা মুফতি কাজি ইব্রাহিমদের পোস্ট। হিপোক্রেসিরও তো একটা সীমা থাকা দরকার!
সম্প্রতি ভারতের ১১ পাতার অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্টে (‘উত্তেজনা থেকে সন্ত্রাস— বাংলাদেশে মৌলবাদের ঢেউ’) বলা হয়েছে, ‘যেভাবে বাংলাদেশে ঘটনার গতি এগোচ্ছে, তাতে খুব বেশি সংশয় থাকার কথা নয় যে, বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন চরমপন্থী মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠনের প্রভাব বাড়ছে। গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অল্পবয়সিরা যেভাবে হিংসার চরমপন্থা নিয়ে চলছে, তা দেখছে গোটা বিশ্ব।’ রিপোর্টের বক্তব্য, লুটপাটের প্রবণতা, শিক্ষাব্যবস্থায় নানা ভাবে কলকাঠি নাড়া, সমাজমাধ্যমকে চরমপন্থী করে তোলা এবং জঙ্গি সংগঠনগুলির উত্থানের কারণে একদিকে যেমন দেশের বহুত্ববাদী পরিচয়কে চাপের মধ্যে ফেলেছে, তেমনই আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক সুস্থিতিকে ভিতর থেকে ক্ষয় করছে। ক্ষমতার হাত বদলের পর মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠনগুলি বাংলাদেশের সমাজ এবং প্রশাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের প্রভাব কায়েম করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রাথমিক অস্ত্র হল ধর্ম। আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় থাকার সময়ও সে দেশের বহুত্ববাদী পরিচয় এবং বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রবল প্রভাব থাকা মোল্লাতন্ত্রের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে। সেই মোল্লাতন্ত্রই এখন চোখ রাঙাচ্ছে...।
খুব জানতে ইচ্ছে করে, ইউনুসের সরকার বাংলাদেশকে আসলে কোথায় নিয়ে যেতে চায়? 
02nd  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
একনজরে
বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনায় জখম হয়েছেন গাড়িতে থাকা বেসরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও মহিলা কর্মী। ...

বৃহস্পতিবার রাতে স্বরূপনগরের তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হামলা হল। শুধু হামলা নয়, খুন ও ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়। এনিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্বরূপনগরের নিত্যানন্দকাটি পঞ্চায়েতের বালতি এলাকা। এই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।  ...

মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যাকারী পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমেই সখ্য বাড়ছে মহম্মদ ইউনুস সরকারের। সম্প্রতি পাক পণ্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ঢাকা। সমুদ্রপথে দু’দেশের সরাসরি বাণিজ্যও শুরু হয়েছে। এবার ঢাকা সফরে আসছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার। ...

শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর সরাইহাট এলাকায় ট্রাক্টরের ট্রলি ভেঙে মৃত্যু হল একজনের। জখম হয়েছেন দুই শ্রমিক। মৃত শ্রমিকের নাম মঙ্গল হাঁসদা (৪০)। জখমদের নাম অনুরাগ পাহান, বাদল পাহান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ব্রেইল দিবস
১৬৪৩ - ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক ও উদ্ভাবক আইজ্যাক নিউটনের জন্ম
১৮০৯ – দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের জন্ম
১৮১৩ - শর্টহ্যান্ড লেখন পদ্ধতির উদ্ভাবক স্যার আইজাক পিটম্যানের জন্ম
১৮৬১ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক রচিত মেঘনাদবধ কাব্য মহাকাব্য প্রকাশিত হয়
১৮৭৭ - বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক টমাস আলভা এডিসন ফোনোগ্রাফ আবিষ্কার করেন
১৮৮৫ - প্রথম অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন হয়
১৯০৬ - কলকাতায় প্রিন্স অব ওয়েলস ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯২৫- অভিনেতা প্রদীপ কুমারের জন্ম
১৯২৭ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী উপন্যাসটি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়
১৯৩১- অভিনেত্রী নিরূপা রায়ের জন্ম
১৯৫৭ – সঙ্গীত শিল্পী গুরুদাস মানের জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির জন্ম
১৯৮৩ - বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের মৃত্যু
১৯৯৪- সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার রাহুল দেব বর্মনের মৃত্যু
২০০৪ - মঙ্গল গ্রহে নাসা প্রেরিত স্পিরিটের অবতরণ
২০০৯- রাজনীতিক সুধীররঞ্জন মজুমদারের মৃত্যু 
 ২০১০ - কেপলার-৪ নামের ১৬৩১ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র আবিষ্কার



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৬ টাকা ৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৩ টাকা ১০৮.২৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৫১ টাকা ৮৯.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী ৩৯/১০ রাত্রি ১০/২। শতভিষা নক্ষত্র ৩৭/৩৫ রাত্রি ৯/২৪। সূর্যোদয় ৬/২১/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/১/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/৫৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১/১ গতে ২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/১ গতে ২/২১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে পুনঃ ৪/৪২ গতে উদয়াবধি। 
১৯ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫৯। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৫২। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ ম঩ধ্যে ও ৭/৫১ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৩/৪০ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৬ গতে ২/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৫৪ গতে ৩/৪৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ মধ্যে ও ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে ও ৪/৪৪ গতে ৬/২৪ মধ্যে।
৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ব্যস্ত সময়ে হাজরা মোড়ের কাছে গাছ ভেঙে বিপত্তি
হাজরায় গাছ ভেঙে পড়ে বিপত্তি। আজ, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ ...বিশদ

12:23:48 AM

শহরে ফের গ্রেপ্তার বাংলাদেশি!
শহরে ফের পুলিসের জালে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি। আজ, শনিবার এন্টালি থানার ...বিশদ

11:53:51 PM

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’-এর তৃতীয় দিন
ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ...বিশদ

11:38:40 PM

প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল রানিগঞ্জে

10:31:00 PM

বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মামন শেখের লায়েকবাজারের বাড়িতে বোমা বাজির অভিযোগ

10:24:00 PM

ঝাড়খণ্ডের দুমকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৪, জখম বহু

10:17:00 PM