Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর। 
একুশ শতকে ভারতের উত্তরণের প্রধান স্থপতি ছিলেন অটলজি। সেই কারণে তাঁর প্রতি সদা কৃতজ্ঞ থাকবে আমাদের দেশ। ১৯৯৮ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন আমাদের দেশ রাজনৈতিকভাবে অস্থির এক পর্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। প্রায় ন’বছরের মধ্যে আমরা চারটি লোকসভা নির্বাচনের সাক্ষী হয়েছিলাম। ভারতের জনগণ অধৈর্য এবং সরকারের প্রতি অবিশ্বাসী হয়ে পড়ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে একটি স্থিতিশীল এবং কার্যকর প্রশাসন গড়ে তুলেছিলেন অটলজিই। তিনি ছিলেন নিরহঙ্কারী একজন মানুষ। সাধারণ নাগরিকদের জীবন সংগ্রামকে উপলব্ধি করতে তাঁর দেরি হয়নি। বুঝতে পেরেছিলেন সুশাসনের জন্য চাই ক্ষমতার আমূল সংস্কার।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অটলজির নেতৃত্বের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব আজও আমরা দেখতে পাই। তাঁর শাসনকালে তথ্য-প্রযুক্তি, টেলিকম এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতির পথে এগিয়েছে ভারত। আমাদের মতো প্রগতিশীল যুব শক্তির আশীর্বাদধন্য দেশের কাছে এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রথম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল অটলজির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারই। একইসঙ্গে ভারতের সব প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের দূরদর্শিতা দেখিয়েছিলেন তিনি। আজও অধিকাংশ মানুষ তাঁর সোনালী চতুর্ভুজ প্রকল্পের কথা সগর্বে উল্লেখ করে থাকেন। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে যোগাযোগের বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছিল বাজপেয়ি সরকার। মেট্রোরেলের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে তাঁর সরকার ছিল বিশেষ উদ্যোগী। দিল্লি মেট্রো প্রকল্পের জন্য ব্যাপক কাজও করেছিল, যা আজ একটি বিশ্বমানের পরিকাঠামোয় পরিণত হয়েছে। এভাবে শুধুমাত্র দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকেই ত্বরান্বিত করা হয়নি, দূরবর্তী অঞ্চলগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেশের ঐক্য ও সংহতিকেও মজবুত করেছে বাজপেয়ি সরকার। 
আবার সামাজিক ক্ষেত্রে সর্বশিক্ষা অভিযানের মতো উদ্যোগ নিয়েছিলেন অটলজি। এর মাধ্যমে তিনি এমন এক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে দেশের সব মানুষ, বিশেষত গরিব ও প্রান্তিক শ্রেণির কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে আধুনিক শিক্ষার আলো। একইসঙ্গে বহু আর্থিক সংস্কার করেছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সেই পদক্ষেপগুলিই পরবর্তী কয়েক দশকে অচলাবস্থা কাটিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক দর্শনের পথ প্রশস্ত করেছিল। 
অটলজির নেতৃত্ব এক উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল ১৯৯৮’এর গ্রীষ্মে। এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই, ১১ মে পরীক্ষামূলক পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল পোখরানে, যা ‘অপারেশন শক্তি’ নামে বিখ্যাত। এই পরীক্ষা ছিল ভারতের বিজ্ঞানীদের দক্ষতার আত্মপ্রকাশ, যা গোটা বিশ্বকে বিস্ময়ে হতবাক করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ পর্যন্ত প্রকাশ করেছিল। সাধারণ কোনও নেতা হলে এই পরিস্থিতিতে গুটিয়ে যেতেন, কিন্তু অটলজি ছিলেন অন্য ধাতুতে গড়া। তারপর কী ঘটে? ভারত একটি দৃঢ় অবস্থান নেয় এবং দু’দিনের মধ্যে, ১৩ মে আরও একটি পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রথমটি যদি বৈজ্ঞানিক দক্ষতার সাক্ষ্য হয়ে থাকে, তবে দ্বিতীয়টি ছিল তাঁর সাহসী নেতৃত্বের প্রদর্শন। গোটা বিশ্বের কাছে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন যে, হুমকি বা চাপের কাছে ভারত নতিস্বীকার করবে, সেই দিন আর নেই। আন্তর্জাতিক অবরোধ সত্ত্বেও বাজপেয়িজির এনডিএ সরকার ছিল নিজেদের অবস্থানে অটল। সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ভারতকে বিশ্ব শান্তির এক শক্তিশালী প্রবক্তা হিসেবে তুলে ধরেছিলেন তিনি। 
ভারতের গণতন্ত্রকে তাঁর মতো ভালো কেউ বুঝতেন না। সেই গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করার প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করেছিলেন অটলজি। তাঁর সভাপতিত্বে তৈরি হয়েছিল এনডিএ, যা ভারতের জোট রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও আঞ্চলিক আশা-আকাঙ্ক্ষার শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছিলেন এনডিএ-কে। নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাপথে সংসদীয় দক্ষতার স্বাক্ষরও রেখে গিয়েছেন তিনি। অটলজি এমন এক দলের নেতা ছিলেন, যাদের সংসদে সদস্য সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। তা সত্ত্বেও সেই সময় প্রবল শক্তিধর কংগ্রেসের মোকাবিলায় তাঁর কথাই ছিল যথেষ্ট। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিরোধীদের সমস্ত সমালোচনা ভোঁতা করে দিতেন নিজস্ব কায়দায়। রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি বিরোধী আসনে বসেছেন, কিন্তু কখনও কারও বিরুদ্ধে কোনও বিরূপ মন্তব্য করেননি। এমনকী কংগ্রেস তাঁকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিলেও, তিনি নিজে কখনও শালীনতার সীমারেখা অতিক্রম করেননি।
অটলজি কখনও সুবিধাবাদী পথে ক্ষমতা দখল করেননি। ১৯৯৬ সালে ঘোড়া কেনা-বেচার মতো নোংরা পথ অবলম্বন না করে ইস্তফা দেওয়াকেই শ্রেয় মনে করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে মাত্র ১ ভোটে পরাস্ত হয়েছিল তাঁর সরকার। এই অনৈতিক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু, তিনি ছিলেন নিয়মের পথে অবিচল। ঘটনাচক্রে পরবর্তীতে আবার জনতার বিপুল রায় নিয়ে ফিরেছিলেন ক্ষমতায়।
আমাদের সংবিধানের অঙ্গীকার রক্ষার কথা যখন আসে, তখনও অটলজির অবস্থান ছিল সুদৃঢ়। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের শহিদ হওয়ার ঘটনা তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। কয়েক বছর পরে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে মূল স্তম্ভ হয়ে উঠেন তিনি। জরুরি অবস্থা শেষে, ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে জনতা পার্টির সঙ্গে নিজের দলকে (জনসঙ্ঘ) মিশিয়ে দিতেও সম্মত হন। এই সিদ্ধান্ত তাঁকে এবং অন্যদের যে ব্যথিত করেছিল, সেব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কিন্তু, তাঁর কাছে সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখাই ছিল সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গেও ছিল অটলজির নিবিড় যোগ। কতটা? সেটা এখানে উল্লেখ করা বিশেষ প্রয়োজন। বিদেশমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের প্রথম নেতা হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘে হিন্দিতে ভাষণ দেন তিনি। এতেই স্পষ্ট যে, ভারতের ঐতিহ্য ও সত্তা সম্পর্কে তিনি কতটা গর্বিত ছিলেন! বিশ্বমঞ্চে তার ছাপও রেখে গিয়েছেন।
অটলজির ব্যক্তিত্ব ছিল চুম্বকের মতো আকর্ষণীয়। সাহিত্যের প্রতি ছিল তাঁর প্রভূত ভালোবাসা। একজন সুলেখক ও কবি হিসেবে প্রেরণা ও ভাবনা-চিন্তার খোরাক জোগাতেন তিনি। তাঁর কবিতার মধ্যে সন্নিহিত ছিল নিজের অন্তরের লড়াইয়ের প্রতিফলন এবং দেশের জন্য আশার বার্তা।
অটলজির মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং তাঁর থেকে শেখার সুযোগ পেয়েছি—আমার মতো ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক কার্যকর্তার কাছেই এটা পরম সৌভাগ্যের। বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। সেই সময় প্রবল প্রভাবশালী কংগ্রেসের বিকল্প শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বুঝিয়ে দেয় যে অটলজির মহত্ব! এল কে আদবানিজি, ডঃ মুরলী মনোহর যোশিজির মতো নেতাদের সঙ্গে তিনিও গোড়া থেকে দলকে লালনপালন করেছিলেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, উত্থান-পতনের সময় পথ দেখিয়েছিলেন। যখনই আদর্শ এবং ক্ষমতার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তিনি বরাবর প্রথমটিকেই বেছে নিয়েছেন। কংগ্রেসের বিকল্প যে সম্ভব, দেশবাসীকে সেকথা বোঝাতেও পেরেছিলেন। 
আসুন, এই ১০০তম জয়ন্তীতে আমরা অটলজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হই। ভারতের প্রতি তাঁর ভাবনা-চিন্তার বাস্তবায়নে নিজেদের উৎসর্গ করি। সেই 
ভারত গড়ার চেষ্টা করি, যেখানে সুশাসন, ঐক্য ও অগ্রগতির নীতি প্রাধান্য পাবে। আমাদের দেশের প্রভূত সম্ভাবনা নিয়ে অটলজির অবিচল বিশ্বাস আমাদের আরও উচ্চতায় পৌঁছতে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে প্রেরণা জোগাবে।
25th  December, 2024
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
একনজরে
আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সিপিএমের ২৬তম কলকাতা জেলা সম্মেলন। চলবে সোমবার পর্যন্ত। ইতিমধ্যে সম্মেলনের রাজনৈতিক খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। সেই খসড়া সামনে রেখেই এগবে জেলা সম্মেলন। জেলা সম্পাদকের কলমে সেখানে কী কী বিষয় উঠে এসেছে? ...

বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনায় জখম হয়েছেন গাড়িতে থাকা বেসরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও মহিলা কর্মী। ...

বক্সিং ডে টেস্টে দুই ইনিংসেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট ছুড়ে এসেছিলেন ঋষভ পন্থ। খামখেয়ালি শটের জন্য ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে নাকি ধমকও দেন কোচ গৌতম গম্ভীর। সেই ওষুধে কিছুটা হলেও যে কাজ হয়েছে, সিডনি টেস্টের প্রথম দিন ৯৮ বলে ৪০ রানের ইনিংসই ...

শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর সরাইহাট এলাকায় ট্রাক্টরের ট্রলি ভেঙে মৃত্যু হল একজনের। জখম হয়েছেন দুই শ্রমিক। মৃত শ্রমিকের নাম মঙ্গল হাঁসদা (৪০)। জখমদের নাম অনুরাগ পাহান, বাদল পাহান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ব্রেইল দিবস
১৬৪৩ - ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক ও উদ্ভাবক আইজ্যাক নিউটনের জন্ম
১৮০৯ – দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের জন্ম
১৮১৩ - শর্টহ্যান্ড লেখন পদ্ধতির উদ্ভাবক স্যার আইজাক পিটম্যানের জন্ম
১৮৬১ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক রচিত মেঘনাদবধ কাব্য মহাকাব্য প্রকাশিত হয়
১৮৭৭ - বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক টমাস আলভা এডিসন ফোনোগ্রাফ আবিষ্কার করেন
১৮৮৫ - প্রথম অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন হয়
১৯০৬ - কলকাতায় প্রিন্স অব ওয়েলস ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯২৫- অভিনেতা প্রদীপ কুমারের জন্ম
১৯২৭ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী উপন্যাসটি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়
১৯৩১- অভিনেত্রী নিরূপা রায়ের জন্ম
১৯৫৭ – সঙ্গীত শিল্পী গুরুদাস মানের জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির জন্ম
১৯৮৩ - বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের মৃত্যু
১৯৯৪- সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার রাহুল দেব বর্মনের মৃত্যু
২০০৪ - মঙ্গল গ্রহে নাসা প্রেরিত স্পিরিটের অবতরণ
২০০৯- রাজনীতিক সুধীররঞ্জন মজুমদারের মৃত্যু 
 ২০১০ - কেপলার-৪ নামের ১৬৩১ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র আবিষ্কার



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৬ টাকা ৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৩ টাকা ১০৮.২৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৫১ টাকা ৮৯.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী ৩৯/১০ রাত্রি ১০/২। শতভিষা নক্ষত্র ৩৭/৩৫ রাত্রি ৯/২৪। সূর্যোদয় ৬/২১/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/১/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/৫৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১/১ গতে ২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/১ গতে ২/২১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে পুনঃ ৪/৪২ গতে উদয়াবধি। 
১৯ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫৯। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৫২। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ ম঩ধ্যে ও ৭/৫১ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৩/৪০ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৬ গতে ২/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৫৪ গতে ৩/৪৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ মধ্যে ও ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে ও ৪/৪৪ গতে ৬/২৪ মধ্যে।
৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অতুল সুভাষ আত্মহত্যা কাণ্ড: অভিযুক্ত স্ত্রী, শ্যালক ও শাশুড়িকে জামিন দিল বেঙ্গালুরুর সিটি সিভিল কোর্ট

09:42:19 PM

ব্যস্ত সময়ে হাজরা মোড়ের কাছে গাছ ভেঙে বিপত্তি
হাজরায় গাছ ভেঙে পড়ে বিপত্তি। আজ, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ ...বিশদ

12:23:48 AM

শহরে ফের গ্রেপ্তার বাংলাদেশি!
শহরে ফের পুলিসের জালে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি। আজ, শনিবার এন্টালি থানার ...বিশদ

11:53:51 PM

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’-এর তৃতীয় দিন
ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ...বিশদ

11:38:40 PM

প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল রানিগঞ্জে

10:31:00 PM

বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মামন শেখের লায়েকবাজারের বাড়িতে বোমা বাজির অভিযোগ

10:24:00 PM