Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি। তারা নেমে এসেছে ২৪০-এ। কিন্তু এই শক্তি হ্রাসও বিজেপিকে সংযত করতে পারেনি। কারণ ১৬ আসনের তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং ১২ আসনের জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) সমর্থন জোগাড় করেছেন নরেন্দ্র মোদি। অন্য মিত্র দলগুলির সমর্থনের জোরে এনডিএর মোট সংখ্যা বা শক্তি ২৯৩। খেয়াল করুন, সংখ্যার তফাত ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালের চেয়ে খুব বেশি আলাদা নয়। ২০১৪ সালে এনডিএর এমপি সংখ্যা ছিল ২৮২ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৩০৩। এবার লোকসভায় কেবল বিজেপি একাই অনেক কমে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি তাঁর দলের সদস্যদের এবং সহযোগীদের একটা জিনিস চটপট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের মতোই জনসমর্থন নিয়ে তাঁরা পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর এই আশ্বাসেই এনডিএ সাংসদদের নার্ভাসনেসের প্রাথমিক ধাক্কাটি দূর হয়ে গিয়েছে।
ফিরে এসেছে ঔদ্ধত্য
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করেছিলেন যে, বিজেপির নেতৃত্বে এই যে সরকার তৈরি হল সেটি ‘সংখ্যালঘু’। অতএব মোদিজি এবার আরও সতর্ক এবং সংযত হতে বাধ্য হবেন। এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করিনি। তাঁরা ভেবেছিলেন যে মোদিজি সংসদের প্রতি আরও বেশি শ্রদ্ধাশীল হবেন, কিন্তু শীতকালীন অধিবেশন দিল বিপরীত সাক্ষ্য। স্পষ্টতই, মোদিজির নির্দেশে মন্ত্রী এবং শাসক গোষ্ঠীর সাংসদদের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই সংসদে পাওয়া গেল। সংসদীয় নিয়ম এবং প্রথার প্রতি তাঁরা বিশেষ সম্মান দেখাননি। বস্তুত, সংসদে বিরোধীদের উপর রুক্ষ ব্যবহারই করেছে শাসক পক্ষ। রাজনাথ সিং সাধারণভাবে একজন ভদ্র বিনয়ী মানুষ। এস জয়শঙ্কর এবং কিরেন রিজিজুকেও সংযত মেজাজে পাওয়া যায়। কিন্তু বিরোধীদের দাবি খারিজ এবং দোষারোপ করার জন্য তাঁরা যেভাবে হস্তক্ষেপ করলেন তা ঔদ্ধত্য ফেরানোর নজির হিসেবেই থেকে যাবে। 
শীতকালীন অধিবেশনের শেষ সপ্তাহে, সরকার একযোগে নির্বাচনের জন্য সংবিধান (১২৯তম) সংশোধনী বিল উত্থাপন করে এবং বিলটিকে দ্রুত পাঠিয়ে দেয় যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য না-থাকায় সরকার পক্ষ বিপাকে পড়েই এই নিয়ম লঙ্ঘনের কাজটি করেছে। বিলটি উত্থাপনের সময় তার পক্ষে ২৬৩ এবং বিপক্ষে ১৯৮ ভোট পড়েছিল। কিন্তু তার কাছে উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন এবং সংবিধান সংশোধনী বিল পাসের জন্য প্রয়োজনীয় ভোট ছিল, সরকার এটা দেখাতে পারেনি। বিলটিকে ‘পরাজিত’ করতে লোকসভায় বিরোধীদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৮২ ভোট। সেখানে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের রয়েছে ২৩৪ আসন।
গুরুত্বপূর্ণ কারণ
বিলটির পরাজয় কেন জরুরি? এর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে:
• প্রথমত, সংবিধানে এই ব্যবস্থা রয়েছে যে লোকসভা (অনুচ্ছেদ ৮৩) এবং বিধানসভাগুলি (অনুচ্ছেদ ১৭২) নির্বাচিত হতে হবে পাঁচবছরের জন্য। এটি সংবিধানের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এই মৌলিক বৈশিষ্ট্য সংশোধন করার ক্ষমতা সংসদের নেই। ধরা যাক, বিধানসভাগুলি একবারে একবছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবে বলে সংবিধান সংশোধনী বিল একটি উদ্ভট পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়েছে। সেটি অসাংবিধানিকই হবে। কারণ এমন পরিবর্তন নির্বাচনকে প্রহসন এবং আইনসভাকে একটি সার্কাসে পরিণত করবে। এই নিয়ম মানতে গিয়ে, একইভাবে, লোকসভার মেয়াদের সঙ্গেই সমাপ্ত হবে বিধানসভার মেয়াদ! তাতে হাস্যকর এবং প্রহসনে পরিণত করা হবে বিধানসভা এবং রাজ্য সরকারগুলিকে। একটি নির্বাচিত বিধানসভার আয়ু ছ’মাস থেকে পাঁচবছরের মধ্যে যেকোনও মেয়াদের হতে পারে। ১৯৯৬, ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনগুলির কথা একবার ভেবে দেখা যেতে পারে। ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ প্রস্তাবটি গত শতকের নব্বইয়ের দশকে কার্যকর থাকলে তবে সমস্ত রাজ্য বিধানসভাকেও তিনবছরে তিনটি নির্বাচনের ঝক্কি পোহাতে হতো। আর এমনটা হলে স্থিতিশীল রাজ্য সরকারের ধারণাকে বিদায় জানাতে হতো না কি? 
• দ্বিতীয়ত, সংসদীয় গণতন্ত্রে একটি সরকারের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের কোনও কনসেপ্ট নেই। 
কেন্দ্রীয় সরকারকে লোকসভার কাছে প্রতিদিন অবশ্যই দায়বদ্ধ থাকতে হবে। তার মানে হল, সেই সরকার প্রতিদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপিদের সমর্থন 
নিয়ে চলবে। একটি কেন্দ্রীয় সরকার তার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারিয়েছে বলেই কেন দেশের 
রাজ্য সরকারগুলিও তাদের স্থিতিশীলতা হারাবে? রাজ্য সরকারগুলি তো শুধু নিজ নিজ রাজ্যের আইনসভা বা বিধানসভার কাছেই দায়বদ্ধ। আরও ভেবে দেখুন, হয়তো একটি বিধানসভা নির্বাচনের একমাস পরই ভেঙে দেওয়া হল লোকসভা! লোকসভা ভেঙে যাওয়ার দায়ে কেন একটি সদ্যগঠিত বিধানসভা-সমেত দেশজুড়ে সমস্ত বিধানসভাকেই ভেঙে দেওয়া হবে?
• তৃতীয়ত, কোনও বিরোধী দল যারা একটি রাজ্য সরকার চালায় তারা প্রধানমন্ত্রীকে পরাজিত করতে ভোট দেবে না। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর পতনের কারণে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হলে তখন সমস্ত বিধানসভাও যে ভেঙে যাবে! ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচাতে ছুটে যাবেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই! তাঁদের নিজেদের কার্যকাল ও বিধানসভার মেয়াদ বাঁচাতেই মরিয়া হয়ে এই কাণ্ড ঘটাতে বাধ্য হবেন তাঁরা! 
• চতুর্থত, সংসদীয় গণতন্ত্রে এই অলিখিত নিয়ম আছে যে, যে-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লোকসভার সমর্থন রয়েছে তিনি যেকোনও সময় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারেন। রাষ্ট্রপতিকে সেই পরামর্শ মেনে নিয়ে অবশ্যই নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। একজন ধূর্ত প্রধানমন্ত্রী যদি নিশ্চিত হন যে তাঁর দল কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচিত হবে, তাহলে বিরোধী দলগুলির তরফে গঠিত রাজ্য সরকারগুলি ফেলে দিতে তিনি লোকসভার অকাল বিলুপ্তিই চাইবেন এবং সেইমতো রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারেন। তখন রাজ্য সরকারগুলির ভাগ্য আর রাজ্য বিধানসভার হাতে থাকবে না, চলে যাবে প্রধানমন্ত্রীর কব্জায়। এটি সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেডারেলিজম বা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থী একটি মতবাদ।
• পঞ্চমত, এই প্রশ্নও উঠবে যে, একজন প্রার্থীর মেয়াদ অনিশ্চিত হয়ে গেলে তিনি নির্বাচনে লড়তে যাবেন কেন? একইভাবে জনগণও ভাবতে পারে, কেন একজন প্রার্থীকে ভোট দেবে যখন তারা নিশ্চিতই হতে পারছে না যে সেই ব্যক্তিটি কতদিন তাদের বিধায়ক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবেন?
• ষষ্ঠত, বিলটির পিছনে আসল উদ্দেশ্য হল 
সেই বিরোধী দলগুলিকে ক্ষীণবল বা দুর্বল করা, যাদের জন্য তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে বিজেপি কোনোভাবেই ভোটে জিততে পারছে না। এই দাপুটে বিরোধী দলগুলির থেকে বিজেপি সবরকমে পরিত্রাণ চাইছে। 
সংসদে বর্তমান যে সংখ্যার ফের, বিলটি তাতেই ‘পরাজিত’ হবে। তবুও সেটি পেশ করা হল কেন? বিলটি পাস করার জন্য বিজেপি কোনও ‘ম্যাকিয়াভেলিয়ান স্কিম’ নিয়েছে কি? এর উত্তর শুধু সময়ই দেবে।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
30th  December, 2024
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
একনজরে
ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস জমানার মন্ত্রীকে ডেকে পাঠাল ইডি। আবগারি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন মন্ত্রী কাওয়াসি লাখমর বিরুদ্ধে। শুক্রবার তাঁকে ডেকে পাঠায় রায়পুরের ইডি অফিস। ...

শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর সরাইহাট এলাকায় ট্রাক্টরের ট্রলি ভেঙে মৃত্যু হল একজনের। জখম হয়েছেন দুই শ্রমিক। মৃত শ্রমিকের নাম মঙ্গল হাঁসদা (৪০)। জখমদের নাম অনুরাগ পাহান, বাদল পাহান। ...

বক্সিং ডে টেস্টে দুই ইনিংসেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট ছুড়ে এসেছিলেন ঋষভ পন্থ। খামখেয়ালি শটের জন্য ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে নাকি ধমকও দেন কোচ গৌতম গম্ভীর। সেই ওষুধে কিছুটা হলেও যে কাজ হয়েছে, সিডনি টেস্টের প্রথম দিন ৯৮ বলে ৪০ রানের ইনিংসই ...

মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যাকারী পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমেই সখ্য বাড়ছে মহম্মদ ইউনুস সরকারের। সম্প্রতি পাক পণ্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ঢাকা। সমুদ্রপথে দু’দেশের সরাসরি বাণিজ্যও শুরু হয়েছে। এবার ঢাকা সফরে আসছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ব্রেইল দিবস
১৬৪৩ - ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক ও উদ্ভাবক আইজ্যাক নিউটনের জন্ম
১৮০৯ – দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের জন্ম
১৮১৩ - শর্টহ্যান্ড লেখন পদ্ধতির উদ্ভাবক স্যার আইজাক পিটম্যানের জন্ম
১৮৬১ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক রচিত মেঘনাদবধ কাব্য মহাকাব্য প্রকাশিত হয়
১৮৭৭ - বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক টমাস আলভা এডিসন ফোনোগ্রাফ আবিষ্কার করেন
১৮৮৫ - প্রথম অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন হয়
১৯০৬ - কলকাতায় প্রিন্স অব ওয়েলস ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯২৫- অভিনেতা প্রদীপ কুমারের জন্ম
১৯২৭ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী উপন্যাসটি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়
১৯৩১- অভিনেত্রী নিরূপা রায়ের জন্ম
১৯৫৭ – সঙ্গীত শিল্পী গুরুদাস মানের জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির জন্ম
১৯৮৩ - বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের মৃত্যু
১৯৯৪- সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার রাহুল দেব বর্মনের মৃত্যু
২০০৪ - মঙ্গল গ্রহে নাসা প্রেরিত স্পিরিটের অবতরণ
২০০৯- রাজনীতিক সুধীররঞ্জন মজুমদারের মৃত্যু 
 ২০১০ - কেপলার-৪ নামের ১৬৩১ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র আবিষ্কার



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৬ টাকা ৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৩ টাকা ১০৮.২৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৫১ টাকা ৮৯.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী ৩৯/১০ রাত্রি ১০/২। শতভিষা নক্ষত্র ৩৭/৩৫ রাত্রি ৯/২৪। সূর্যোদয় ৬/২১/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/১/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/৫৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১/১ গতে ২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/১ গতে ২/২১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে পুনঃ ৪/৪২ গতে উদয়াবধি। 
১৯ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫৯। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৫২। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ ম঩ধ্যে ও ৭/৫১ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৩/৪০ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৬ গতে ২/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৫৪ গতে ৩/৪৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ মধ্যে ও ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে ও ৪/৪৪ গতে ৬/২৪ মধ্যে।
৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অতুল সুভাষ আত্মহত্যা কাণ্ড: অভিযুক্ত স্ত্রী, শ্যালক ও শাশুড়িকে জামিন দিল বেঙ্গালুরুর সিটি সিভিল কোর্ট

09:42:19 PM

ব্যস্ত সময়ে হাজরা মোড়ের কাছে গাছ ভেঙে বিপত্তি
হাজরায় গাছ ভেঙে পড়ে বিপত্তি। আজ, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ ...বিশদ

12:23:48 AM

শহরে ফের গ্রেপ্তার বাংলাদেশি!
শহরে ফের পুলিসের জালে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি। আজ, শনিবার এন্টালি থানার ...বিশদ

11:53:51 PM

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’-এর তৃতীয় দিন
ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ...বিশদ

11:38:40 PM

প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল রানিগঞ্জে

10:31:00 PM

বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মামন শেখের লায়েকবাজারের বাড়িতে বোমা বাজির অভিযোগ

10:24:00 PM