Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। চীনের নেতারা তিয়েন‌আনমেন স্কোয়ারকে দমন-নিপীড়নের প্রতীক থেকে মুক্ত করে দেশের উদার, মুক্ত পরিবেশ এবং নতুন শক্তির প্রতীকে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।
ওলিম্পিক্স আয়োজন করে গোটা দুনিয়ায় নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেয়েছিল চীন। এই আয়োজন তাদের অর্থনৈতিক সংস্কারেরও প্রতিনিধিত্ব করবে, এমন ভাবনা নিয়েই এগিয়েছিলেন চীনের নেতারা। ওলিম্পিক্সের কয়েক মাস আগে চীনের নেতারা একটি নিউ ডিজনিল্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করেন। একইসঙ্গে তাঁদের দেশের ট্যাক্সি ড্রাইভারদের ইংরেজি শেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেন পর্যটকদের কোনও অসুবিধা না হয়। তিয়েনআনমেনের ইতিহাস ভুলে বিশ্ব যেন নতুন চীনকে চিনতে পারে, সেই প্রচেষ্টায় কোনও খামতি ছিল না।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক এরিখ শোয়ার্টজেলের তাঁর ‘রেড কার্পেট: হলিউড, চায়না অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল ব্যাটল ফর কালচারাল সুপ্রিমেসি’ বইয়ে লিখছেন, হলিউডে তখন ভিন্ন এক ঘড়ি টিকটিক করছিল। একসময়ের নিশ্ছিদ্র ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় ফাটল তৈরি হচ্ছিল। হলিউডে তখন সাংস্কৃতিক বাঁক পরিবর্তনের সময় চলছিল। হলিউডকে টিকতে হলে প্রয়োজন ছিল চীনের বিশাল বাজার। আর বেজিংও চাইছিল, হলিউড চীনের দিকে 
ঝুঁকতে বাধ্য হোক। ওলিম্পিক্সে প্রবেশ করার 
আগে চীনের নেতারা এই ভাবনা থেকেই থিম 
পার্কের চিন্তা করেছিলেন।
২০০৮ সালে ডিজনি কর্তা রবার্ট ইগার সাংহাই কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ইউ ঝেংশেংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি তাঁর কোম্পানিকে চীনে প্রবেশ করতে দু’টি বড় ছাড় দেন। একটি ছিল, চীনা কোম্পানি ডিজনি থিম পার্কের ৫৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক হতে পারবে। এছাড়া রুম ভাড়া, থাকা-খাওয়া এবং মিকি মাউসের টুপি কেনা থেকেও ব্যবসা করতে পারবে চীনা কোম্পানি। দ্বিতীয়টি ছিল, চীনের এয়ারওয়েবের অনুমতি পেতে ডিজনি চ্যানেলে নিজেদের প্রচার বাদ দেবেন। চীনের নেতারা সেখানেই থেমে থাকেননি। তাঁরা তাঁদের নাগরিকদের জন্য ডিজনিতে আরও সুযোগ সুবিধে বাগিয়ে নিয়েছিলেন। তারপরও হলিউডের কোম্পানিগুলির জন্য চীনের বাজার ছিল সেরা ব্যবসায়িক ক্ষেত্র। ওয়াল স্ট্রিটও সেই মুহূর্তে হলিউডের চীনমুখী ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়েছিল। কারণ, শেয়ারহোল্ডারদের খুশি রাখতে চীনের বিশাল বাজারের প্রয়োজন ছিল হলিউডের। আর সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল বেজিং।
আত্মজীবনীধর্মী বই ‘‌সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট’ লিখেছিলেন হেনরিখ হারের। ১৯৯৭ সালে এর উপর ভিত্তি করে একই নামে নির্মিত হয় হলিউড সিনেমা। কিন্তু চীন নিয়ে গল্প বলতে গেলে চীনের সঙ্গে সমঝোতা করেই যেন চলতে হবে। প্রাথমিকভাবে তিব্বতে শুটিং চলতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে লাতিন আমেরিকায় তৈরি করা হয় তিব্বতের প্রতিরূপ। তার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। সিনেমা মুক্তির প্রসঙ্গে বেঁকে বসে চীনের সেন্সর বোর্ড। প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুধু সোনির পরবর্তী সিনেমা নয়, প্রযোজক জিন-জ্যাক আনাউদ ও অভিনেতা ব্র্যাড পিটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় চীনে। নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি চিন্তা করে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় সোনি পিকচার্স। এত বড় বাজার হাতছাড়া করা যে কারও জন্য বোকামি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তারা চীনের সঙ্গে একটা সমঝোতায় পৌঁছায়। প্রায় একই ঘটনা ঘটে ‘কুন্দুন’ নির্মাণের পর। নিষিদ্ধ হয় পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ডিজনি, পরিচালক মার্টিন স্করসেসি ও সংশ্লিষ্টরা। দু’টি সিনেমার পরিণতি হলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজকদের পরবর্তী সিদ্ধান্তকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।
গত তিন দশকে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে হলিউড ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে। একদিকে কুন্দুন ও সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেটের বাণিজ্যিক সঙ্কট ও অন্যদিকে কুংফু পান্ডার সাফল্য ভাবতে বাধ্য করেছে হলিউডের স্টুডিওগুলিকে। চীনের বাজারে প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত করতে তারা এখন নিজেরাই বিশেষ ধরনের সেন্সরশিপের মধ্যে দিয়ে এগচ্ছে। একইসঙ্গে চীনের চলচ্চিত্র নির্মাতারাও হলিউডের দিকে ঝুঁকছেন। এটা এক ধরনের সূক্ষ্ম যুদ্ধ। সাংস্কৃতিক আধিপত্যের জন্য আন্তর্জাতিক যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রের গতিপথ। নব্বইয়ের দশকে ডিজনি ও সনি পিকচার্স যা করেছে, এখন তারা নিজেরাই তা থেকে দূরে থাকতে চায়। দলাই লামা, তিব্বত, ধর্ম ও অন্যান্য বিষয়ের চিত্রায়ণে চীনকে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হচ্ছে। প্রয়োজনে স্ক্রিপ্ট পুনরায় পড়া হবে, যেন চীন থেকে নেতিবাচক কোনও সিদ্ধান্ত না আসে। এর মধ্য দিয়েই জন্ম নিয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেন্সরশিপের সংস্কৃতি। স্টুডিওর সিইওরা বেজিং কী চায় ও কী চায় না, এ বিষয়ে রীতিমতো বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। স্টুডিও প্রধানরা এমনভাবে স্ক্রিপ্ট পড়েন, যেন তারা বেজিংয়ের সেন্সর বোর্ড। সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এমন যেকোনও কিছু নিয়ে তারা সতর্ক। মাত্র দু’টি উদাহরণ তৈরি করতে হয়েছে চীনকে। তারা ‘‌কুন্দুন’ ও ‘‌সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট’-এর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতেই অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, দলাই লামা নিয়ে কোনও কথা বলা যাবে না!
এর একটাই কারণ, দেড় দশক আগে থেকেই হলিউডের বাজার সঙ্কুচিত হতে থাকে। ২০০৩ সালে শুধুমাত্র ‘‌ফাইন্ডিং নিমো’ সিনেমারই আট কোটি ডিভিডি কপি বিক্রি করেছিল ডিজনি। অথচ, ২০০৮ সালের মধ্যে সেই ডিভিডি ব্যবসা সঙ্কুচিত হয়েছে ৩৩ শতাংশ। দর্শক হারানোর জন্য তাদের আয়ের অর্ধেক উধাও হয়ে গিয়েছে। ঠিক একই সময়েই মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছিল চীন। হলিউডের বিপরীতে যেন নতুন ফ্রন্ট হিসেবে দেখা দেয় চীনের চলচ্চিত্র শিল্প। ২০০৮ সালের পর থেকেই চীনের বক্স অফিস দ্রুত বড় হতে থাকে। স্টুডিওগুলিতে চীনকে মাথায় রেখে সিনেমা নির্মাণের প্রবণতা বাড়ে। পাশাপাশি সিনেমা নিয়ে বাড়তে থাকে বাজেট। চীনের বাজার তো আর বিদেশের আট-দশটা বাজারের মতো নয়। সেখানকার রাজনৈতিক দল ও সেন্সর বোর্ড নিজেদের সংস্কৃতির জন্য উপযোগী কি না, সেটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিটি সিনেমা দেখার পরেই মুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এই কারণেই ‘‌মিশন ইম্পসিবল থ্রি’ থেকে কিছু দৃশ্য সরিয়ে দেওয়া হয়, ‘‌ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড’ সিনেমার স্ক্রিপ্ট পুনরায় লেখা হয় এবং ‘‌স্কাইফল’ থেকে কিছু অংশ বাদ দেওয়া হয়। তার চেয়ে বড় কথা ‘রেড ডন’ সিনেমার কিছু অংশ চীনে মুক্তি পাওয়ার জন্য 
পুনরায় নির্মাণ করতে হয়।
প্রযোজকরা চীনের আপত্তি মেনে নিয়েছেন। বেজিংকে সন্তুষ্ট রাখতে চীনের কোনও একটা শহর, কোনও একটা রেস্তরাঁ অথবা কোনও একটা ব্যক্তিকে হাজির করছেন সিনেমায়। ‘‌ট্রান্সফরমার: এজ অব এক্সটিংকশন’ সিনেমায় যে হংকংকে দেখা যায়, তা এই দীর্ঘ অভিযোজন প্রক্রিয়ারই দলিল। এভাবেই চীন তার বক্স অফিসের মাধ্যমে যে অর্থনৈতিক পাটাতন দাঁড় করিয়েছে, তা দ্রুত রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের শর্তে রূপান্তরিত হয়েছে। তারা তাদের নীতি নিয়ে সবসময়ই কঠোর। যে স্টুডিওগুলি চীনের বাজারে প্রবেশ করতে চায়, তাদের অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রবেশ করতে হবে।
হলিউড দীর্ঘদিন ধরেই তাদের আদর্শ সিনেমার মাধ্যমে রপ্তানি করে চলেছে। বিক্রি করেছে আমেরিকার ধাঁচে গণতান্ত্রিক চেতনা ও পশ্চিমের ব্যাকরণ মানা স্বাধীনতা ও উদারনৈতিকতা। সুযোগ পেলেই চিত্রিত হয়েছে আমেরিকানদের বীরত্ব এবং সামরিক শক্তি। চীন কিন্তু খুব বেশি পিছিয়ে নেই। সেখানকার সরকারও রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি 
রপ্তানির প্রচেষ্টায়। তার জন্য হলিউডই সেরা পথ। বিশ শতকের সফল অস্ত্রগুলির একটি হচ্ছে আমেরিকান সফট পাওয়ার। যা আমেরিকাকে আধিপত্য বিস্তারে সহযোগিতা করেছে। চীন শুধু তাকেই অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।
মার্কিন ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রচারিত চলচ্চিত্রগুলিতে আমেরিকার প্রশাসনের কড়া নজরদারি রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্শাল প্ল্যানের সময় থেকেই চলচ্চিত্রগুলি হোয়াইট হাউসের সরঞ্জামে পরিণত। তার মানে যে রাজনৈতিক প্রচার কম থাকা সিনেমা তৈরি হয়নি, এমনটা নয়। কিন্তু সেগুলিও আমেরিকান সংস্কৃতিকেই সর্বজনীন করার প্রচেষ্টার অংশ। ‘‌ডার্টি ড্যান্সিং’ ও ‘‌ব্যাক টু দ্য ফিউচার’-এর মতো সিনেমাগুলি মার্কিন 
তারকাদের আন্তর্জাতিক তারকায় পরিণত করেছে। তবে চীনের প্রচেষ্টা দ্বিমুখী। প্রথমত, প্রোপাগান্ডা মুভি বা মেন মেলোডি তৈরি, যেখানে সরকার বেশ ভালোভাবেই নাক গলায়। এর বাইরে রয়েছে সত্যিকার প্রচেষ্টা, যা বাণিজ্যিক সিনেমা তৈরি করছে। চীনের সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে বিশ্বের দরবারে। যেভাবে মার্কিন জীবন সম্পর্কে সিনেমাগুলি আমেরিকাকে তুলে ধরে।
আজ ‘নেটফ্লিক্স’ প্রায় ১৯০টি দেশে দেখা যায়। কিন্তু চীনের বড় বাজারটি তাদের জন্য উন্মুক্ত হয়নি। নেটফ্লিক্সের কর্তারা চীন সরকারের সঙ্গে অনেক আলোচনা করেও এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারটির নাগাল পায়নি। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চীনে এখন বেশি জনপ্রিয়, কিন্তু সে বাজারে নেটফ্লিক্স এখনও পা রাখতে পারেনি। চীন সরকার এক্ষেত্রে তার স্ট্রিমিং বাজারকে বাইরের কোম্পানির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে ভূমিকা নিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীন সরকার তাদের সাংস্কৃতিক নীতি পরিবর্তন ও বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজার শক্তি এবং বহুজাতিক পুঁজিকে ব্যবহার করে চলচ্চিত্র ক্ষেত্রকে মুনাফা অর্জনকারী শিল্পে পরিণত করেছে। সরকারের নীতি চীনের স্থানীয় সাংস্কৃতিক বাতাবরণ নতুন করে নির্মাণ করেছে, একই সঙ্গে তারা আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও নিজেদের প্রভাব বিস্তৃত করেছে। ফলে হলিউডের র‌্যাম্বোর জায়গা চীনের স্পেশাল ফোর্সের লেং ফেং কতটা নিতে পারবে সেটা এই শতকেই নির্ধারণ হয়ে যাবে। সেই লড়াই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কীভাবে লড়েন, সেটাই দেখার!
26th  December, 2024
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
একনজরে
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর সরাইহাট এলাকায় ট্রাক্টরের ট্রলি ভেঙে মৃত্যু হল একজনের। জখম হয়েছেন দুই শ্রমিক। মৃত শ্রমিকের নাম মঙ্গল হাঁসদা (৪০)। জখমদের নাম অনুরাগ পাহান, বাদল পাহান। ...

বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনায় জখম হয়েছেন গাড়িতে থাকা বেসরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও মহিলা কর্মী। ...

বৃহস্পতিবার রাতে স্বরূপনগরের তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হামলা হল। শুধু হামলা নয়, খুন ও ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়। এনিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্বরূপনগরের নিত্যানন্দকাটি পঞ্চায়েতের বালতি এলাকা। এই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।  ...

ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস জমানার মন্ত্রীকে ডেকে পাঠাল ইডি। আবগারি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন মন্ত্রী কাওয়াসি লাখমর বিরুদ্ধে। শুক্রবার তাঁকে ডেকে পাঠায় রায়পুরের ইডি অফিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ব্রেইল দিবস
১৬৪৩ - ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক ও উদ্ভাবক আইজ্যাক নিউটনের জন্ম
১৮০৯ – দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের জন্ম
১৮১৩ - শর্টহ্যান্ড লেখন পদ্ধতির উদ্ভাবক স্যার আইজাক পিটম্যানের জন্ম
১৮৬১ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক রচিত মেঘনাদবধ কাব্য মহাকাব্য প্রকাশিত হয়
১৮৭৭ - বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক টমাস আলভা এডিসন ফোনোগ্রাফ আবিষ্কার করেন
১৮৮৫ - প্রথম অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন হয়
১৯০৬ - কলকাতায় প্রিন্স অব ওয়েলস ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯২৫- অভিনেতা প্রদীপ কুমারের জন্ম
১৯২৭ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী উপন্যাসটি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়
১৯৩১- অভিনেত্রী নিরূপা রায়ের জন্ম
১৯৫৭ – সঙ্গীত শিল্পী গুরুদাস মানের জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির জন্ম
১৯৮৩ - বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের মৃত্যু
১৯৯৪- সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার রাহুল দেব বর্মনের মৃত্যু
২০০৪ - মঙ্গল গ্রহে নাসা প্রেরিত স্পিরিটের অবতরণ
২০০৯- রাজনীতিক সুধীররঞ্জন মজুমদারের মৃত্যু 
 ২০১০ - কেপলার-৪ নামের ১৬৩১ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র আবিষ্কার



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৬ টাকা ৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৩ টাকা ১০৮.২৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৫১ টাকা ৮৯.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী ৩৯/১০ রাত্রি ১০/২। শতভিষা নক্ষত্র ৩৭/৩৫ রাত্রি ৯/২৪। সূর্যোদয় ৬/২১/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/১/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/৫৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১/১ গতে ২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/১ গতে ২/২১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে পুনঃ ৪/৪২ গতে উদয়াবধি। 
১৯ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫৯। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৫২। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ ম঩ধ্যে ও ৭/৫১ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৩/৪০ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৬ গতে ২/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৫৪ গতে ৩/৪৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ মধ্যে ও ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে ও ৪/৪৪ গতে ৬/২৪ মধ্যে।
৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অতুল সুভাষ আত্মহত্যা কাণ্ড: অভিযুক্ত স্ত্রী, শ্যালক ও শাশুড়িকে জামিন দিল বেঙ্গালুরুর সিটি সিভিল কোর্ট

09:42:19 PM

ব্যস্ত সময়ে হাজরা মোড়ের কাছে গাছ ভেঙে বিপত্তি
হাজরায় গাছ ভেঙে পড়ে বিপত্তি। আজ, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ ...বিশদ

12:23:48 AM

শহরে ফের গ্রেপ্তার বাংলাদেশি!
শহরে ফের পুলিসের জালে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি। আজ, শনিবার এন্টালি থানার ...বিশদ

11:53:51 PM

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’-এর তৃতীয় দিন
ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ...বিশদ

11:38:40 PM

প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল রানিগঞ্জে

10:31:00 PM

বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মামন শেখের লায়েকবাজারের বাড়িতে বোমা বাজির অভিযোগ

10:24:00 PM