বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
শুক্রবার বিজমোহনকে ব্যাঙ্কশালের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী রাধানাথ রং বলেন, ‘অভিযুক্তের হেফাজত থেকে যে নথি পাওয়া গিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। শুধু তাই নয়, জাল নথি দিয়ে যে জমি হাতানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, তাও পুলিস খতিয়ে দেখছে।’
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবপূজন সিংয়ের বিভিন্ন নথি হাতিয়ে তাতে কারসাজি করে অভিযুক্ত। পাশাপাশি, নিজের নথিতে থাকা বাবার নাম মুছে সেখানে শিবপূজন সিংয়ের নাম বসিয়েছিল সে। এভাবেই ওই মৃত ব্যক্তিকে ‘বাবা’ সাজিয়েছিল বিজমোহন। তারপর অসাধু উপায়ে মৃত ব্যক্তির পোষ্য হিসেবে ট্রাম কোম্পানিতে চাকরি জোগাড় করে দিব্যি কাজ করে যাচ্ছিল সে। মৃতের পরিবারই এই জালিয়াতির খবর জানায় ট্রাম কোম্পানিকে। তারা অভিযোগ পেয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। এক্ষেত্রে বিজমোহনের শিক্ষাগত শংসাপত্রই প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাবার নামের জায়গায় শিবপূজনের বদলে অন্যের নাম লেখা। শেষমেশ ট্রাম কোম্পানির কর্তা ও পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত যুবক জালিয়াতির কথা কবুল করে নেয়। নাম ভাঁড়িয়ে সরকারি চাকরি করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদিন আদালতে ওই যুবকের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি ঘটনার শিকারমাত্র। তাই যে কোনও শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। বিচারক অবশ্য সেই আর্জি খারিজ করে দেন।