Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
মনমোহন সিং নিজেকে একজন ‘দুর্ঘটনাক্রমে (অ্যাকসিডেন্টাল)’ অর্থমন্ত্রী বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তার কারণও অবশ্য ছিল। তাঁর সরকারে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নরসিমা রাওয়ের প্রথম পছন্দ ছিলেন আই জি প্যাটেল। তিনি ছিলেন একজন সম্মাননীয় শিক্ষাবিদ এবং অর্থনীতিবিদ। প্যাটেল ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি ওই পদের জন্য ডঃ মনমোহন সিংয়ের নাম সুপারিশ করেন। মাথায় নীল-পাগড়ি শোভিত বয়স্ক দেখতে এক ভদ্রলোককে প্রথম সারিতে উপবিষ্ট দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন সেদিন। সেখানে তাঁর উপস্থিতিতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কী পোর্টফোলিও দেবেন? কৌতূহলের বিষয় ছিল সেটাই। ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই তাঁকে দেখা গেল নর্থ ব্লকে!
অন্দরে ইস্পাত
১৯৯১ সালের ১ জুলাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) টাকার অবমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। ৩ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর অফিসে আমাকে ডাকেন। টাকার অবমূল্যায়ন বিষয়ে তাঁর মন্ত্রিসভার কিছু সহকর্মীর ভ্রান্ত ধারণা (প্রকৃতপক্ষে, তাঁর নিজেরই ভ্রান্ত ধারণা) আমার সঙ্গে শেয়ার করেন। অর্থনীতির পরিচিত ছবিটাই তাঁর কাছে তুলে ধরে আমি জানালাম যে, টাকার অতিমূল্যায়ন করা রয়েছে। আর ওই কারণে রপ্তানি মার খাচ্ছে, রুগ্ন হয়ে গিয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার, বিদেশি লগ্নিকারীরা ভারতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন ইত্যাদি। আরও এক দফা অবমূল্যায়ন হতে চলেছে বলেও রাও আমাকে জানালেন। তিনি চান যে আমি অর্থমন্ত্রীর কাছে এখনই যাই এবং তাঁকে অনুরোধ করি, যদি ওই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই বাতিল না-হয়ে থাকে তবে দ্বিতীয় দফার অবমূল্যায়ন স্থগিত করা যেতে পারে। আমি তখন নিশ্চিত যে, এই ব্যাপারে আমিই প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র দূত নই যাকে তিনি অর্থমন্ত্রীকে বোঝাতে পাঠাচ্ছেন। 
বিষয়টিতে সংশয় নিয়েই আমি নর্থ ব্লকমুখো হলাম এবং অর্থমন্ত্রীর কাছে গেলাম। অর্থমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ওটাই ছিল আমার প্রথম সরকারি সাক্ষাৎ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হিসেবে নয়, অনুরোধই আমি তাঁকে পৌঁছে দিলাম। এমন বার্তা, তাও আবার একজন বার্তাবাহককে দিয়ে পাঠানোয় ডঃ সিং হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর চোখে-মুখে আমি তা স্পষ্ট হতে দেখেছি সেদিন। তিনি বিনয়ের সঙ্গেই কথাগুলি শুনলেন। এরপর আমাকে বললেন যে সকাল ১০টায় বাজার খোলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই টাকার অবমূল্যায়ন বিষয়ক দ্বিতীয় পদক্ষেপ করা হয়ে গিয়েছে। ডঃ মনমোহন সিং কীভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর ডঃ সি রঙ্গরাজনের সঙ্গে ‘কথা বলেছিলেন’ এবং রঙ্গরাজনের সেই বিখ্যাত উক্তি ‘আমি লাফ দিয়েছি’ মিলিয়ে যে কাহিনি, 
সেটাই পরবর্তীকালে অবমূল্যায়নের লোককথার অংশবিশেষ হয়ে রয়েছে। ডঃ সিং—সেই দুর্ঘটনাক্রমে অর্থমন্ত্রীর নার্ভ যে আসলে ইস্পাতে প্রস্তুত, তারই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল সেদিন। নিজ সিদ্ধান্তের 
উপর তাঁর এতটাই আস্থা ছিল যে যেটাকে তিনি সঠিক বলে মনে করেছিলেন তাতেই সিলমোহর দিয়েছিলেন তিনি দৃঢ়তার সঙ্গেই।
সেই ইস্পাতেরই ফের দেখা মেলে কয়েকবছর পর, যখন অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি তাঁর সরকার। প্রস্তাবিত ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক পারমাণবিক চুক্তি বাম দলগুলির, বিশেষ করে সিপিএমের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছিল। চুক্তিটি সম্পন্ন হলে ইউপিএ সরকার থেকে তাঁদের সমর্থন প্রত্যাহার করার হুমকি দিয়েছিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত। যে-চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার কারণে সরকারকে সংসদে গরিষ্ঠতা হারাতে হবে ও সরকার পড়ে যাবে, প্রধানমন্ত্রীর এবং চুক্তির সমর্থক অনেক কংগ্রেস নেতার এমন একটি চুক্তি নিয়ে আপত্তিই ছিল। ডঃ সিং তাঁর দৃঢ় সিদ্ধান্তের কথা আমাকে জানিয়েছিলেন যে, কংগ্রেস পার্টি তাঁকে এই চুক্তি ত্যাগ করতে বাধ্য করলে তাঁর সামনে পদত্যাগের বিকল্প কিছু থাকবে না। তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দৃঢ়তা দেখেও আমি তাঁকে অন্যান্য দলের সমর্থন জোগাড়ে সচেষ্ট হতে বলেছিলাম। ডঃ সিং এক মাস্টার স্ট্রোকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামকে অনুরোধ করেন সমর্থনের ব্যাপারে একটি বিবৃতি জারি করার জন্য। তিনি, অতঃপর, বিবৃতিটি ব্যবহার করেন মুলায়ম সিং যাদব এবং সমাজবাদী পার্টির সমর্থন লাভের জন্য। বাম দলগুলিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সেদিন সরকার আস্থা ভোট জিতেছিল এবং চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছিল যথাসময়ে। এমনকী, বাম দলগুলি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেও তাঁর প্রকৃতি অনুসারে ডঃ সিং বাম নেতাদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শনে কুণ্ঠিত ছিলেন না। তাঁদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কও বজায় রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সহানুভূতিশীল উদারতা
খুব কম লোকই জানে যে ডঃ সিংয়ের আন্তরিক সমর্থন ছাড়া ইউপিএ’র প্রধান ‘সিগনেচার প্রোগ্রামগুলি’ চালু করা কিংবা বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না। অনেকগুলির মধ্যে দুটি উদাহরণ হল—কৃষি বিভাগ মকুব (২০০৮) এবং খাদ্যের অধিকার 
কর্মসূচি (২০১৩)। উভয় কল্যাণমূলক কর্মসূচির পক্ষে দৃঢ়ভাবেই ছিলেন ডাঃ সিং। একইসঙ্গে 
রাজকোষ ঘাটতির (ফিসকাল ডেফিসিট) উপর এই দুই কর্মসূচির প্রভাবের দিকেও নজর রাখতে তিনি আমাকে বারবার সতর্ক করেছিলেন। সমষ্টিগত-অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে যে, মাঝারি কিংবা দীর্ঘমেয়াদে কোনও কল্যাণমূলক কর্মসূচিরই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না, এই সত্যটি সম্পর্কে তিনি যেকোনও রাজনৈতিক নেতার চেয়ে বেশিই সচেতন ছিলেন। রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা সরকার পূরণ করতে পারবে, এটি নিশ্চিত হয়েই তিনি কল্যাণমূলক কর্মসূচি অনুমোদন করতেন। 
সংস্কারক হিসেবে ডঃ সিং অকৃত্রিম হলেও চেতনার দিক থেকে তিনি ছিলেন গরিব মানুষেরই পক্ষে। তিনি কল্যাণমূলক কর্মসূচির এক জোরালো সমর্থক 
ছিলেন, কারণ একটিমাত্র কল্যাণ সমাজকে আরও একাধিক কল্যাণ উপহার দিয়ে থাকে। তিনি 
আমাদের শিখিয়েছেন যে অর্থনৈতিক সংস্কারের সঙ্গেই হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে উদার কল্যাণমূলক ব্যবস্থাসমূহ। আমি দৃঢ়ভাবে এটাও বিশ্বাস করি যে, বর্তমান মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে ডঃ সিংয়ের নীতিই তৈরি করেছে।
এখানেই ইতিহাস
১৯৯১ সালের পরে যাঁদের জন্ম, অর্থাৎ বর্তমান প্রজন্মের খুব কম নাগরিকই বিশ্বাস করবেন যে, ভারতে একসময় মাত্র একটি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল। একইভাবে ছিল একটি গাড়ি, একটি এয়ারলাইন এবং একটি টেলিফোন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। তাঁদের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন যে, দূরে ফোন করার জন্য ট্রাঙ্ক কল করতে হতো। মানুষ ছুটত পিসিও/ এসটিডি/ আইএসডি বুথে। লম্বা লাইন বা দীর্ঘ অপেক্ষার পালা ছিল একটি টু-হুইলার থেকে ট্রেনের টিকিট থেকে পাসপোর্ট পর্যন্ত বহুকিছুর জন্য। দেশে পরিবর্তনের বীজ বপন হয়েছিল ডঃ সিংয়েরই হাতে। এই সত্য দেরিতে হলেও স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ডঃ সিংয়ের প্রতি শেষশ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সুযোগে। মোদিজির মন্ত্রিসভাও এই মর্মে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
ইতিহাস ডঃ সিংয়ের প্রতি সহানুভূতীল হবে কি না এই প্রসঙ্গে আমার বিশ্বাস—ইতিহাসের পাতায় ডঃ সিংয়ের দুটি পদচিহ্ন কোনোদিন মুছে যাবে না: (এক), তাঁর একদশকের শাসনকালেই গড় জিডিপি বৃদ্ধির হার হয়েছিল ৬.৮ শতাংশ। (দুই), ইউএনডিপির হিসেবে, ইউপিএ তাদের দশবছরে আনুমানিক ২৭ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করেছিল। দুটি দৃষ্টান্তই অভূতপূর্ব। কিন্তু তারপর থেকে তা আর অনুসৃত হয়নি। ইতিহাসের রায় ইতিমধ্যেই এখানে।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
06th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
একনজরে
‘বাংলার বাড়ি’র টাকা ঢুকছে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। এই প্রক্রিয়া নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানানোর জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছিল পঞ্চায়েত দপ্তর। এক সপ্তাহের মধ্যেই  গোটা রাজ্য থেকে ১৩০০র বেশি অভিযোগ পেল তারা। ...

আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) জঙ্গি আব্বাস আলি বহরমপুর জেলে সাক্ষাতে গেলে তারই ফোন ব্যবহার করে সংগঠনের চিফ জসিমউদ্দিন রহমানির সঙ্গে  কথা বলেছিল তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমন। ...

সদ্য সমাপ্ত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ১৫০ ওভারের বেশি বল করেছেন যশপ্রীত বুমরাহ। ৩১ বছর বয়সি পেসারের মাত্রাতিরিক্ত ওয়ার্কলোডই ডেকে আনে পিঠের চোট। যার ফলে সিডনি টেস্টের ...

জমির মালিকানার সমস্যা মেটেনি। নাগরিকত্ব নিয়েও পড়তে হচ্ছে প্রশ্নের মুখে। এনিয়ে দিন কাটছে নলগ্রাম ছিটমহলবাসীর।  সাবেক ছিটমহলের সমস্যা সমাধানে এবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বাসিন্দারা। সোমবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৬১০- গ্যালিলিও গ্যালিলি প্রথম তার আবিস্কৃত চারটি চাঁদকে পর্যবেক্ষণ করেন
১৭৮২ - আমেরিকার প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক অব নর্থ আমেরিকা চালু
১৭৮৫- ফ্রান্সের জন ব্যাল্ন্চার্ড ও আমেরিকার জন জেফার ইংল্যান্ডের ডোভার থেকে ফ্যান্সের ক্যালাস পর্যন্ত গ্যাস বেলুনে উড়ে যান
১৭৮৯- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৭৯৭- বর্তমান ইতালির পতাকা প্রথম ব্যবহার করা হয়
১৮২৯ - ভারতীয়রা এশিয়াটিক সোসাইটির সভ্য হওয়ার অনুমতি লাভ করে
১৮৩৮ - স্যামুয়েল মোর্স প্রথমবারের মতো তার ইলেক্ট্রনিক টেলিগ্রাফের পরীক্ষা চালান
১৮৬৬- কলকাতায় প্রথম আদমশুমারি শুরু হয়
১৯২৪- আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩০- ডিজেল ইঞ্জিন চালিত প্রথম অটোমোবাইলের সফল যাত্রা সম্পন্ন হয়
১৯৩৫- ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমী পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪২- বিশ্বজুড়ে চলাচলকারী প্রথম বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে প্যান আমেরিকান এয়ারলাইন্স
১৯৪৮- লেখিকা শোভা দে’র জন্ম
১৯৫৭- অভিনেত্রী রীনা রায়ের জন্ম
১৯৬১- অভিনেত্রী সুপ্রিয়া পাঠকের জন্ম
১৯৬৭- অভিনেতা ইরফান খানের জন্ম
১৯৭৯- অভিনেত্রী বিপাশা বসুর জন্ম  
১৯৮৪- বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী আঙুরবালার মৃত্যু
২০২২ - বাংলার যাত্রাজগতের কিংবদন্তি সুরকার ও গায়ক প্রশান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৬ টাকা ৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৮ টাকা ১০৮.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৭ টাকা ৯০.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫। অষ্টমী ২৫/১৩, দিবা ৪/২৭। রেবতী নক্ষত্র ২৮/৩০ সন্ধ্যা ৫/৫০। সূর্যোদয় ৬/২২/২২, সূর্যাস্ত ৫/৩/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১১/২১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ৮/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে ৩/৪১ মধ্যে। পুনঃ ৫/২৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৪ গতে ৮/২৪ মধ্যে।
২২ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৩। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/১৬। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ১/৪ গতে ২/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৪ গতে ৮/২৪ মধ্যে। 
৬ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লিতে একটি স্মারক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন কেন্দ্রের

10:27:00 PM

 মানুষ কংগ্রেসের প্রতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন: কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত

10:00:00 PM

গুজরাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

09:23:00 PM

গুজরাতে একাধিক নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকা অনুমোদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

08:59:00 PM

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা

08:34:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে মাউন্টেড পুলিসের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ৫টি ঘোড়া কিনল যোগী সরকার

08:24:00 PM