একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
সাফল্যের উদযাপন
‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’-এর দু’টো সিজনই সফল। ঋত্বিকের কাছে সেই সাফল্যের স্বাদ কেমন? ‘সিজন ২-র শেষ পর্বে নন্দিনী ম্যাম (দিব্যা দত্ত) বলেছেন, ‘ভালো করেছ, কিন্তু ভুলে যাও। ভালো করে যদি মনে রাখ তাহলে আর ভালো করতে পারবে না।’ আবার আমার ম্যানেজার দর্শন বলে, ‘ভালো কাজ করেছ, এটা এখন উপভোগ কর।’ আমার মনে হয় সাফল্যকে সেলিব্রেট করা শিখতে হবে’, হেসে বললেন অভিনেতা।
নতুনের সন্ধানে
এই সিরিজে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে দেখা গিয়েছে ঋত্বিককে। বাস্তবে কোন ধরনের মিউজিকের ভক্ত আপনি? অভিনেতার জবাব, ‘আমি অন্যের প্লেলিস্ট থেকেও গান শুনতে ভালোবাসি। এতে নতুন ধরনের মিউজিকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ফিল্মি গান তো সবসময় শুনতে ভালো লাগে। এখন ওলাফর আর্নল্ডস-এর মিউজিকে ডুবে আছি।’
যথাযথ মর্যাদা
চিত্রনাট্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক ভাবনাচিন্তার পর তবে সিদ্ধান্ত নেন ঋত্বিক। সেকারণেই খুব কম কাজ করেন। এ প্রসঙ্গে ঋত্বিকের ব্যাখ্যা, ‘বছরে তিন-চারটে প্রজেক্ট করার জন্য তাড়াহুড়ো করি না। আমি যে প্রজেক্টটা হাতে নিই, সেটা যথাযথ ভাবে করি। এখানে অসংখ্য শিল্পী একটা কাজের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। তাই আমি যখন কোনও সুযোগ পাই, তার মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করি।’
টিকে থাকা সহজ
যে কোনও পেশায় টিকে থাকা কঠিন। অভিনয়ের ক্ষেত্রে সেই চ্যালেঞ্জ কি আরও বেশি? ঋত্বিকের মতে, ‘আমার মনে হয় অন্য সব ইন্ডাস্ট্রির থেকে এখানে টিকে থাকা বেশি সহজ। এই ইন্ডাস্ট্রি আপনাকে খোলা মনে স্বাগত জানায়। আর অভিনয় পারলে ঠিকই সুযোগ পাওয়া যায়।’
প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস নেই
দক্ষতা থাকলে তার কদর হবেই, এই ধারণায় বিশ্বাসী অভিনেতা প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী নন। তাঁর কথায়, ‘আর্ট ফিল্ডে কখনও প্রতিযোগিতা হয় না। দু’জন অভিনেতা যখন দু’টো ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন, তখন প্রতিযোগিতা কীভাবে সম্ভব? আমার বিশ্বাস যে এই প্রজন্ম প্রতিযোগিতায় না গিয়ে, নিজেদের কেরিয়ার আর সিনেমার দিকে বেশি ফোকাস করবে। প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানের রেসে না গিয়ে, আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্যেই দৌড়ব।’
বাংলা ছবির অপেক্ষায়
‘ধূসর’-এর পর আর বাংলা ছবিতে দেখা যায়নি ঋত্বিককে। কিন্তু প্রবল ভাবে ফিরতে চান তিনি। ঋত্বিকের কথায়, ‘দু’টো বাংলা ছবির জন্য আমি প্রায় সইসাবুদ করে ফেলেছিলাম। কিন্তু ছবি দু’টো হয়নি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি বাংলা ছবিতে কাজ করতে পারব।’