একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
জেলাশাসকের বাংলো, নিউ কালেক্টর বিল্ডিং ছাড়িয়ে সামান্য এগলেই হাওড়া হাসপাতালের অপর প্রান্তে রয়েছে লাল রঙের অতি প্রাচীন দোতলা বাড়িটি। হাওড়া শহরের বুকে যে হেরিটেজ যে ভবনগুলি এখনও টিকে রয়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম। এই বাড়িতেই চলত হাওড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ১৯৯৪ সাল নাগাদ আদালত চলাকালীন দোতলার কার্নিস ভেঙে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারপর ভবনটিকে পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। ফৌজদারি আদালত উল্টোদিকের নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়। ২০০৯ সালে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে হেরিটেজ ভবনটির সংস্কার করা হয়। বর্তমানে এই ভবনের নীচের অংশে রয়েছে আদালতের রেকর্ড রুম, কোর্ট লকআপ। ভবনের উপরের তলায় রয়েছে হাওড়া সিটি পুলিসের এসিপি সেন্ট্রালের অফিস, গোয়েন্দা বিভাগ ও মহিলা থানা। আদালতের রেকর্ড রুমে জমতে থাকা নথিপত্রের পাহাড়ে বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা।
নীচের তলায় ঢুকলেই চোখে পড়বে জিআরও অফিস, কোর্ট ইনসপেক্টরের ঘর ও সামনের করিডরে থরে থরে জমিয়ে রাখা পুরনো কাগজপত্রের স্তূপ। নথির পাহাড় চলে এসেছে বারান্দায় সিঁড়ির নীচ পর্যন্ত। বছরের পর বছর ধরে সিজেএম কোর্ট, জিআরপি, আরপিএফ সংক্রান্ত সমস্ত মামলার নথি জমা হচ্ছে এখানে। রেকর্ড রুমের কোথাও একটিও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই। আইনজীবীদের আশঙ্কা, ঘিঞ্জি করিডরে শর্ট সার্কিট বা অন্য কোনও কারণে আগুন লাগলে মুহূর্তে ছাই হয়ে যেতে পারে সবকিছু। হাওড়া ক্রিমিনাল কোর্ট বার লাইব্রেরির সভাপতি সমীর বসু রায়চৌধুরী বলেন, ‘আদালতের রেকর্ড রুম নথিপত্রের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে। তাই অনেক সময় পুরনো মামলার নথি চেয়েও পাওয়া যায় না। জিআরও অফিসের কর্মীদের বসার জায়গা নেই। এত অসুবিধের মধ্যেও জিআরও প্রতিদিন আইনজীবী ও কোর্টকে বিভিন্ন মামলার কাগজ সরবরাহ করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে প্রশাসনকে রেকর্ড রুমে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। পাশাপাশি সেখানকার কর্মীদের জন্য ওই বিল্ডিংয়ের পিছনের ফাঁকা অংশে অতিরিক্ত ঘর তৈরি করতে হবে।’ আইনজীবীরা বলছেন, প্রতিদিন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশোনার জন্য তাঁদের রেকর্ডরুমে যেতে হয়। কিন্তু অত্যন্ত ঘিঞ্জি ও স্যাঁতস্যাঁতে ঘরগুলোতে পাশাপাশি দু’জন দাঁড়ানোও মুশকিল। বৃষ্টির সময় সামনের অংশে জল জমে থাকে। রেকর্ড রুমের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা।