একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
একটা সময় এই স্কুলে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় দু’হাজারের বেশি ছাত্র ছিল। এই স্কুলেই পড়েছেন অনুপ ঘোষাল, বাপ্পি লাহিড়ী সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। খোদ ফিরহাদ হাকিম নিজেও এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু, কালের নিয়মে ‘সেই যুগ’ হারিয়েছে। জরাজীর্ণ হয়েছে ভবন। তাই, স্কুলের ঐতিহ্য ধরে রাখতে উদ্যোগী হন মেয়র। সম্প্রতি চেতলা এলাকায় পুরসভার একটি প্রাথমিক স্কুল ইংরেজি মাধ্যম করা হয়েছে। যেহেতু এই সমস্ত স্কুলে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা পড়ে, তাই প্রশ্ন উঠেছিল চতুর্থ শ্রেণির পর কোথায় ভর্তি হবে তারা? সেই সমস্যার সমাধানও হল চেতলা বয়েজ স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম শুরু হওয়ায়। স্কুলের ভবনটি নতুন করে রং করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাসে থাকছে এসি, কাচের জানালা, আধুনিক মানের রঙিন লোহার টেবিল-চেয়ার, আছে ইলেকট্রনিক্স স্মার্ট বোর্ড। এদিন স্কুলের উদ্বোধন করতে এসে ব্রাত্য বসু বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে একটা চিন্তাধারা ছিল ‘বাংলা বনাম ইংরেজি’র লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর সেই ভাবনায় বদল এসেছে। এখন ‘বনাম’-এর পরিবর্তে হয়েছে ‘এবং’। দুই মাধ্যমেই সমানতালে পড়াশোনা চলবে। এই নতুন মাধ্যম শুরু করার মধ্যে দিয়ে চেতলা বয়েজ স্কুলে বাংলার সঙ্গে ইংরেজির শিকড়ও শক্ত হবে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, একটা সময় রাজ্যে স্কুল থেকে ইংরেজি তুলে দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা এই নীতি নিয়েছিলেন, তাঁদের ছেলে-মেয়েরা কেউই বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেনি। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ইংরেজি এবং বাংলাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতিক সময় বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গজিয়ে উঠেছে। মোটা টাকা খরচ করে সেখানে পড়াশোনা করতে হয়। সেখানে সরকারি স্কুলগুলিতে ইংরেজি মাধ্যম চালু হওয়ায় প্রান্তিক বা মধ্যবিত্ত ঘরের পড়ুয়াদের আর বিপুল টাকা খরচ করতে ইংরেজি শিখতে হবে না।