একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
খাবারের মান নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে আইসিডিএস ডিরেক্টরেট। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির খাবারের মান যাচাই করতে ডিস্ট্রিক্ট নিউট্রিশন কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কমিটি দায়িত্ব কর্তব্যগুলি। তাতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল খাদ্য পরীক্ষা। প্রতি জেলায় মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অভিযান চালানো হবে। সেখানে শিশু ও মায়েদের যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, আধিকারিকরা তার নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠাবেন। খাবার রান্নার জায়গার পরিচ্ছন্নতাও নিশ্চিত করতে হবে এই কমিটিকে। রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সর্বমোট ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮১টি। প্রায় এক কোটি উপভোক্তা। সরকার সব সেন্টার থেকেই পুষ্টিগুণযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে চায়। কিন্তু খাবারে টিকটিকি কিংবা পোকামাকড় পর্যন্ত পাওয়ার অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন সময়ে! উপভোক্তাদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে আর কোনোরকম আপস করতে নারাজ দপ্তর। খাবারের গুণগত মান নষ্ট হলে প্রকল্পটির সাফল্য নিয়েই সংশয় থেকে যাবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের। তাই খাদ্য পরীক্ষায় নেতিবাচক রিপোর্ট উঠে এলে সেইমতোই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে দপ্তর। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও অসন্তোষ কমবে বলে প্রশাসন মনে করে। ডিরেক্টরেটের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, পুষ্টিগুণযুক্ত ও ভালো মানের খাবার শিশু ও মায়েরা পাচ্ছেন কি না, তা নিয়মিত দেখা দরকার। সেই কারণেই খাবার পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হবে যে সমস্ত নিয়ম মেনে তা তৈরি হচ্ছে কি না। খামতি থাকলে তা শুধরে নিয়ে পরিষেবার মান উন্নত করা হবে। এদিকে, জেলায় জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের মান ঠিক রাখার জন্য বড় দায়িত্ব নিতে হবে স্বয়ং জেলাশাসককেই। এজন্যই ডিস্ট্রিক্ট নিউট্রিশন কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে তাঁকে।