একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, গত ২৫ সেপ্টেম্বর মেটিয়াবুরুজ থানায় লক্ষাধিক টাকার সাইবার প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে। থানার দ্বারস্থ হয়ে এক প্রবীণ দম্পতি জানান, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে জীবনের শেষ পুঁজি হাতিয়ে নিয়েছে কেউ। এরপর তদন্তে নামে মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিস। দেখা যায়, ভুয়ো আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়েছে। সঠিক আইপির খোঁজ করতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছোটে পুলিসের। ফলে তদন্তের কেসের কিনারা করতে প্রায় সাড়ে তিন মাস সময় লেগেছে। পুলিস সূত্র জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের তথ্য খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের মোবাইল নম্বর পায় তারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। তবে প্রাথমিকভাবে ফারুদ্দিনের লোকেশন পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে তার বন্ধুর লোকেশন পেয়ে যান তদন্তকারীরা। সম্প্রতি মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকাতেই তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। মহম্মদ আনিসকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতের বাড়ি থেকে মিলেছে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, একাধিক সিম কার্ড ও বেশ কিছু ব্যাঙ্কের নথি। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনা জানতে পারে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি সাইবার কাফে বসেই প্রতারণার ফন্দি আঁটে কলেজের দুই বন্ধু। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সেজে বৃদ্ধ দম্পতিকে ফোন করে তারা। এরপর ক্রেডিট কার্ডের লিমিট বাড়িয়ে দেওয়ার নাম করে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়। এরপর বৃদ্ধ দম্পতির অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা হাতিয়ে নেয় দুই বন্ধু। আনিসকে জেরা করেই আরেক শাগরেদের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তার নাম মহম্মদ ফারুদ্দিন। এই প্রতারণার ছক তারই মস্তিষ্কপ্রসূত বলে দাবি তদন্তকারীদের। কেন দুই বন্ধু প্রতারণার ছক কষেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এর নেপথ্যে কোনও বড়সড় চক্র কাজ করছে কি না, তাও তদন্তকারীদের নজরে। দুই অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে লালবাজার সূত্রে খবর।