একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
শুধু ২০২৩ নয়। ২০২২ সালেও সংক্রমণের হাল ছিল একইরকম। ওই বছরও আক্রান্ত ছিল চার হাজারের মতো! তবে পরপর দু’বছর চার হাজারের ঘরে পৌঁছলেও এবার এই পুর এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নেমে মাত্র চারশোর ঘরে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে একমাত্র ২০২০ সালে করোনার সময় চারশোর নীচে ডেঙ্গু নেমেছিল। গত দু’বারের থেকে এবার ১০ গুণ কম সংক্রমণ হওয়ায় স্বস্তি পেল পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
২০১৭ সালের এক জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিধাননগর পুরসভায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন হাজার ১০৫ জন। ওই বছর পর্যন্ত এই সংখ্যাই ছিল সর্বাধিক। কিন্তু ২০১৭ সালের সেই রেকর্ড ভেঙে সংক্রমণের নতুন রেকর্ড গড়েছিল ২০২২ সাল। ওই বছর চার হাজার ২২২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরের বছরও সংক্রমণ নামেনি। ২০২৩ সালে বিধাননগর পুরসভার ৪১টি ওয়ার্ড থেকে মোট তিন হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালের এক জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৩৯০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করোনার সময় ২০২০ সালে ২৩৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার ৩৯০।
এ বছর শুরু থেকেই সংক্রমণ কম ছিল। আগস্ট থেকে নভেম্বর এই চার মাস ডেঙ্গু বেশি হয়। যেমন, সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে এক হাজার ২৯৪ জন, ২০২৩ সালে এক হাজার ৪০০ জন ছিলেন। এবার সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত মাত্র ৬১ । বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পরপর দু’বার সংক্রমণ বেশি ছিল। তাই এবার আমরা শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের গাইডলাইন মেনে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। মানুষও সহযোগিতা করেছেন। আমরা দেখেছি অন্যান্য বছর আগস্ট মাস থেকে ডেঙ্গু বাড়ে। এবার কম ছিল। এই কম সংখ্যাটা ডিসেম্বর পর্যন্ত রাখা গিয়েছে। এটা সত্যিই ভালো খবর। আমরা চাই, সকলের সহায়তায় ডেঙ্গু নির্মূল হোক।’