কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে প্রাক বাজেট বৈঠকে মিলিত হন শিল্পসংগঠন ও বণিকসভার কর্তারা। সেই বৈঠকে কর্মসংস্থানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তার পাশাপাশি সরকারকে চিঠি লিখেও সিআইআইয়ের মতো বণিক সংগঠন দাবি করল কর্মসংস্থানকে পাখির চোখ করতে হবে। নির্মাণ, পর্যটন, টেক্সটাইলের মতো কিছু সেক্টরকে চিহ্নিত করে তাদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মসংস্থানের সঙ্গে উৎসাহ ভাতার দেওয়ার একটি নীতি গ্রহণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে বণিকসভার প্রস্তাব গ্রামীণ এলাকায় স্কুল এবং কলেজ থেকে উত্তীর্ণ অথবা পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হোক। অসংগঠিত ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে বলেও মতপ্রকাশ করা হয়েছে। শিল্পমহলের বক্তব্য, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হলে আগে দেশের প্রতিটি পরিবারে অন্তত একটি করে নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে প্রতি পরিবারে নতুন আয় যুক্ত হবে। এভাবে আয় বাড়লে সেই টাকার কিছুটা হলেও বাজারে আসবে। বাজারজাত পণ্যের চাহিদা বাড়বে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে উৎপাদনে।
শিল্পমহলের সমীক্ষা অনুযায়ী এখনও দেশে মহিলা কর্মীর সংখ্যা কম। ফলে মহিলাদের আরও কাজে লাগানোর সুযোগ আছে। সেই সুযোগ বাড়ানো হলে সাশ্রয়ের পরিমাণ বাড়বে। কারণ মহিলাদের আয় সংসারে যুক্ত হলে সেটি সঞ্চয় প্রবণতাকেই ত্বরান্বিত করে। ক্ষুদ্র শিল্প ক্লাস্টার তৈরি করার দিকে নজর দেওয়া হলে মহিলাদের যুক্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে শিল্পমহল। এই কারণেই কয়েকটি ধাপে একটি কর্মসংস্থান পলিসি গঠন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তাঁরা।