কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
তদন্তে উঠে আসছে, সমরেশ ও মনোজের বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে আব্দুল হাই জেনে যান, সীমান্তে থাকা এজেন্টরা তাদের কাছে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাঠাচ্ছে। অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া পার করিয়ে দেওয়ার পর নথি তৈরির দায়িত্ব তুলে নিচ্ছে এজেন্টরা। তারা এই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সোজা চলে আসছে সমরেশের কাছে। গোটা কারবার জেনে ফেলার পর প্রাক্তন এসআই নিজেও এই ব্যবসায় নেমে পড়েন বলে অভিযোগ। তাঁর মোবাইল ঘেঁটে বেশ সন্দেহভাজন কয়েকজনের নাম ও নম্বর পান অফিসাররা। দেখা যায়, নিয়মিত এই নম্বরগুলি থেকে ফোন এসেছে ও গিয়েছে। সেগুলির বিষয়ে খোঁজ করতে জানা যায়, এর মধ্যে কিছু এজেন্টও রয়েছে। যারা বেআইনিভাবে সীমান্ত পার করাচ্ছে বাংলাদেশিদের। কিন্তু তাদের সঙ্গে অভিযুক্ত অফিসারের যোগাযোগের কেন প্রয়োজন পড়ল, জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তখনই জানা যায়, ওই এজেন্টদের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ‘ক্লায়েন্ট’ পেতেন তিনি। তাঁদের কলকাতায় নিয়ে আসার পর মনোজকে ধরে নথি তৈরি করাতেন। আর পাসপোর্টের নথি যাচাইয়ের দায়িত্ব যেহেতু তাঁর হাতেই ছিল, তাই অনায়াসে তা করিয়েও দিতেন। এখানেও ভালো টাকা তিনি রোজগার করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। অবৈধ উপায়ে রোজগার করা অর্থ তিনি কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করেছেন, খোঁজ চলছে তারও।