কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
রবীন্দ্র সরোবর থানার অন্তর্গত দেশপ্রিয় পার্ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা অর্ণব। কোভিডের প্রথম ওয়েভে তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রয়াত হন। সেই সময় ব্যবসায় বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হন অর্ণব। গত বছর জানুয়ারি মাসে একটি বিবাহবন্ধনী ওয়েবসাইট থেকে আলাপ হয় অর্ণব ও অনুরাধার। সেই সময় দুবাইতে থাকতেন অনুরাধা। এরপর বিয়ের টানে কলকাতায় অর্ণবের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। যুগলের প্রাথমিক কথাবার্তার পর জুলাই মাসে তাঁদের বিয়ে হয়। অনুরাধা পুলিসকে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ৭৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় অত্যাচার চালাত তারা।
অনুরাধার দাবি, অনেক টাকাই প্রাথমিকভাবে দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এরপর স্ত্রীর বাবার বাড়িটি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে থাকে অর্ণব। এর মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অনুরাধা। অভিযোগ, এই খবর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা জানতে পেরেই অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। শনিবার রাতে বেধড়ক মারধর করা হয় গৃহবধূকে। তার জেরে গর্ভপাত হয়ে যায় তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, ভ্রুণের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে থানায় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অনুরাধা। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার পর পুলিসি সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না। কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তার জেরে মঙ্গলবার ওই গৃহবধূ লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দ্বারস্থ হন। এরপরেই নড়েচড়ে বসে থানা।