কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
২০১৩ সালে মনমোহন সিংয়ের সরকারের আমলে আসে খাদ্য সুরক্ষা আইন। কোভিডকালে পাঁচ কিলো চাল-গমের সঙ্গে মোদি সরকার আরও পাঁচ কিলো যুক্ত করে। সবটাই বিনামূল্যে। কিন্তু ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঁচ কিলো রেশন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে আরও পাঁচ বছর পর্যন্ত এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে সেটির প্যাকেজ হবে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’র নামে। তাহলে খাদ্য সুরক্ষা আইনের খাদ্যশস্য কোথায় গেল? সরকারই জানিয়েছে, পাঁচ বছর এই প্রকল্প চালাতে কেন্দ্রের কোষাগারের খরচ ১১.৮০ লক্ষ কোটি টাকা। ক্রমশ বিতর্ক বাড়ছে। আর তা এড়াতেই সরকার আইনে সংশোধনী এনে সামাল দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
এদিকে, ‘খাদ্যশস্যর এটিএম’ চালু হলে নির্দিষ্ট রেশন দোকানে লাইন দিয়ে চাল-গম নেওয়ার দরকার হবে না। ‘ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড’ ব্যবহার করে দেশের যেকোনও জায়গা থেকে বরাদ্দ খাদ্যশস্য নিতে পারবেন গ্রাহকরা। পরীক্ষামূলকভাবে শিলং, আমেদাবাদ, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু সহ কয়েকটি শহরে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এবার তা গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। যদিও রেশন দোকানদারদের জীবিকার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত না করে এটিএম ব্যবস্থা চালুর বিরোধিতা করেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন। মঙ্গলবার দিল্লিতে সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি বৈঠক হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করব। দোকানদের কমিশন, মাসিক উপার্জন নিশ্চিত না করলে আন্দোলন জোরদার হবে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সবার জন্য খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন, গোটা দেশেও তা করতে হবে বলে তাঁর দাবি।