কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
সৌমিত্রবাবু ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ‘মডেল স্টেশন, লিফট করেছি’ একথা বলামাত্রই বিক্ষোভকারীরা তাঁকে থামিয়ে দেন। তাঁর মুখের উপর বলেন, আমরা ওইসব কথা ঢের শুনেছি। আন্ডারপাস কবে হবে, তার জবাব দিন। সৌমিত্র রাজ্য সরকারের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করলে বিক্ষোভ চরমে ওঠে। সৌমিত্র বলেন, রেল আন্ডারপাস তৈরির জন্য আমি ডিআরএম ও রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। সেজন্য আন্ডারপাসের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। আন্দোলনকারীদের সেকথা বলেছি।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, একবছর ধরে রেলের আন্ডারপাসের জন্য তাঁরা আন্দোলন করছেন। রেলকে চিঠির পর চিঠি দিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
এদিন সকাল ৯টা থেকে বিষ্ণুপুর স্টেশনের পাশে ৬০নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। স্থানীয় কুসুমবনী, দ্বাদশবাড়ি, যমুনাবাঁধ কলোনি, কাটাবাড়ি সহ আশপাশের প্রায় ১০-১২টি গ্রামের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, পুরুষ-মহিলারা আন্দোলনে সামিল হন। পড়ুয়ারা জাতীয় সড়কে বসে পড়ে। সবাই স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলায় জাতীয় সড়কে প্রচুর গাড়ি আটকে পড়ে। পরে বিক্ষোভকারীরা দলে দলে স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মে উঠে বসে পড়েন। রেলের আধিকারিকরা এলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ চলে।
দুপুর ১টা নাগাদ সাংসদ সেখানে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, আন্ডারপাসের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেকথা বলুন। না হলে আমরা রেল অবরোধ করতে বাধ্য হব। এরপর সাংসদ রেলকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়ে এলাকা ছাড়েন।
বিক্ষোভকারী রিঙ্কু ধবলদেব, শেফালি মণ্ডল, চম্পা বাউরি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা আগে রেল ফটকের রাস্তা দিয়ে শহরে স্কুল ও কলেজে যেত। একবছর আগে রেলফটকের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আন্ডারপাস করা হয়নি। তারফলে পড়ুয়ারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পারাপার করছে। সেটাও আটকানোর জন্য রেল ওই জায়গায় একটি মালগাড়ি বহুদিন ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। আমরা চাই, অবিলম্বে আন্ডারপাস তৈরি করা হোক। তা না হওয়া অবধি রেল ফটকের রাস্তা খোলা থাকুক।