কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
শহরে পার্কিং নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। বিশেষ করে উত্তর কলকাতায় এই সমস্যা প্রবল। কারণ, পুরনো বাড়িতে পার্কিংয়ের জায়গা নেই। গ্যারাজ ভাড়া পাওয়ার সুযোগও থাকে না অনেক সময়। বা থাকলেও অনেক খরচসাপেক্ষ। সেই খরচ বাঁচাতে অনেকেই বাড়ির সামনে বা আশপাশের রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করেন। এর ফলে রাস্তা আরও সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। এই ধরনের সমস্যা মেটাতে বছর দুয়েক আগে এই সুবিধা চালু করে পুরসভা। পুরকর্তাদের আশা ছিল, এর ফলে অবৈধ পার্কিংয়ের সমস্যা মিটবে। যেসব গাড়ি-মালিকের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে গ্যারাজ নেই, তাঁদের গাড়ি রাখার জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নাগরিকদের উদাসীনতার কারণেই সেই পরিষেবা সাফল্য পাচ্ছে না বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। পুরসভার পার্কিং বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘যেখানে মোটামুটি ১৫-১৮ ফুট চওড়া রাস্তা রয়েছে, সেখানে রাতে স্বল্প খরচে গাড়ি রাখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯৮০ জন এই সুবিধা নিয়েছেন। তার মধ্যে গত বছরের এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্তই ৬৫০ জন রাতের পার্কিংয়ের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন।’ রাতে অবৈধ পার্কিং রুখতে ডিসেম্বরে ফের অভিযানে নেমেছিল পুরসভা। সূত্রের খবর, মাত্র আটদিন অভিযান চালিয়ে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা উঠেছে। ওই পুরকর্তা বলেন, ‘আমাদের লোকবল কম হওয়ায় আরও বেশি অভিযান করা যায়নি। অভিযান বাড়ালে জরিমানা আদায়ের পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আমাদের বিশ্বাস।’ নিজস্ব চিত্র