কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
ভুয়া বিল্ডিং প্ল্যান পাশ কাণ্ডে সম্প্রতি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন গৌরীশঙ্কর মাহেশ্বরী। মঙ্গলবার বোর্ড মিটিংয়ে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হল। ১৯৭৩ সাল থেকে এই পর্যন্ত ১৪ জন চেয়ারম্যান বা প্রশাসক দিনহাটা পুরসভার দায়িত্বে ছিলেন। ১৫ তম চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম মহিলা কেউ দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন এদিন।
দাদা অলোক নন্দীর হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন অপর্ণা। ছাত্র রাজনীতিতে দিনহাটাতে তাঁর হাতেখড়ি। দিনহাটা কলেজের গার্লস কমন রুমের দায়িত্ব পালন, স্পোর্টস সেক্রেটারি,ছাত্র সংসদের সহ সভানেত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন তিনি। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টানা দিনহাটা শহর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন অপর্ণা। ২০১০ এবং ২০১৫ সালের পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালের পুরভোটে জয়ী হন তিনি। ২০২৪ সালের রাজনৈতিক টানাপোড়নের সময় পুরসভার চেয়ারপার্সন হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল তাঁর কাছে। তখন তিনি সেই পদে বসতে রাজি হননি। এবারে গৌরীশঙ্কর মাহেশ্বরীর ইস্তফার পরে আবারও প্রস্তাব আসে চেয়ারম্যান হওয়ার। এবারে তিনি আর নারাজ হননি। সর্বসম্মত ভাবেই চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন দিনহাটা পুরসভার। রাজনীতির পাশাপাশি পারিবারিক ব্যবসা সামলান অপর্ণা দে নন্দী। রান্না করা, গানগাওয়া তাঁর শখ।
অপর্ণা দে নন্দী বলেন,সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভা পরিচালনা করব। দুর্নীতিকে কোনওভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। সকলের সঙ্গে আলোচনা করার পরেই শহরের উন্নয়নের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। দল আমাকে যে গুরুদায়িত্ব কাঁধে দিয়েছে সুনামের সঙ্গে সেই দায়িত্ব আমি পালন করে যাব।
এদিকে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন এমন কাউন্সিলারকেই চেয়ারপার্সন বাছাই করেছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। মুখবন্ধ খামে একমাত্র অপর্ণা দে নন্দীর নাম এসেছে। এদিন সকল কাউন্সিলাররা তাঁকে একবাক্যে সমর্থন জানান। নতুন চেয়ারপার্সনকে সংবর্ধনা। - নিজস্ব চিত্র।