কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
বিএসএফের নজরদারি এড়িয়ে লোকালয়ে এসে গা ঢাকা দিচ্ছে বাংলাদেশিরা। রাজ্য পুলিস দফায় দফায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে। কয়েক দিন আগে রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে নদীয়ার হাঁসখালি থানা ও ধানতলা থানার পুলিস। দেখা গিয়েছে এর মধ্যে রয়েছে পাঁচজন ভারতীয় আশ্রয়কারী বা দালাল। তারপরও ফের বাংলাদেশি ও দালাল নিয়ে ৬ জন ধরা পড়ে। গত দু’ মাসে ২০০-র বেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করেছে রানাঘাট পুলিস জেলা। তাই কৃষ্ণগঞ্জের অরক্ষিত এলাকা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। কৃষ্ণগঞ্জের বিজয়পুরের প্রায় ২ কিমি এলাকা অরক্ষিত। বিজয়পুর এলাকা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাচার নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।ওপারের অস্থির পরিস্থিতির জেরে সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারি চলছে। এই পরিস্থিতিতে নদীয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে জওয়ানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কোনও রকম ভাবে যাতে মৌলবাদীরা কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য ২৪ ঘণ্টা কড়া পাহারা দিচ্ছে বিএসএফ। অচেনা মানুষ দেখলেই দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরিচয়পত্র দেখা হচ্ছে। সাইকেল করেও চলছে পাহারা। গেদে চেক পোস্টেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তাই ব্যাগপত্তর সহ একাধিক সামগ্রী চেকিং করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনুপ্রবেশকারী প্রশ্নে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত। প্রসঙ্গত, নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তের অরক্ষিত বিজয়পুরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এর কারণও একাধিক। নদীয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২২২ কিমি। এর মধ্যে স্থলভাগে ফেন্সিং রয়েছে ১৯৪.৩ কিমি ও নদীতে মাত্র ৪ কিমি। নদী এলাকায় ১৩.৫ কিমি ও স্থল এলাকায় ১০.২ কিমি এলাকায় কোনও ফেন্সিং নেই। অথাৎ নদীয়াতে অরক্ষিত এলাকা রয়েছে ২৩.৭ কিমি।এই সুযোগে নদীয়া দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে একাধিক জঙ্গি প্রবেশ করেছে। এই জেলার সঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের একাধিক ঘটনা রয়েছে। তাই অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজয়পুরের বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন।এ নিয়ে বিজয়পুরের বাসিন্দা শিক্ষক বিকাশ বিশ্বাস বলেন, যেভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। অনুপ্রবেশ হলে সমস্যায় পড়তে হবে। তবে আমাদের এলাকায় বিএসএফ নজদারি প্রবল ভাবে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা শুভংকর সরকার বলেন, আমাদের চারপাশ থেকে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। তাই আমাদের এলাকা নিয়েও আতঙ্ক রয়েছে। তবে আমরা সতর্ক। এলাকায় বিএসএফ চেকিং করছে। কড়া পাহারা দিচ্ছে। তাই আতঙ্কে থাকলেও বিএসএফের ভরসাতে আমরা আছি। এ প্রসঙ্গে ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ন কম্যান্ড্যান্ট সুজিত কুমার বলেন, গোটা এলাকা নিয়ে আমাদের আলাদা নজদারি রয়েছে। এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগও রয়েছে। তাই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।