কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বিপ্লব বিশ্বাস অবশ্য বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। এ ব্যাপারে বিএসএফকেই উদ্যোগী হতে হবে। এই ইস্যুতে আমাদের সহযোগিতা চাইলে তা করব।
শিলিগুড়ি শহর থেকে প্রায় ২১ কিমি দূরে ফাঁসিদেওয়া। এখানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রয়েছে মহানন্দা নদী। নদীর এপারে ফাঁসিদেওয়া-বাঁশগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দরগছ। এখানে বাঁধের উপর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। নদীর ওপারেই বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া জেলার বাংলাবান্ধা গ্রাম। এখন নদীতে জল নেই বললেই চলে। আর সেই সুযোগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশি বালি মাফিয়ারা। অভিযোগ, বাঁশ দিয়ে নদীর বিভিন্ন অংশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে সেখান থেকে বালি তুলে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নদীর বুকে একাধিক জায়গায় খনন করা হয়েছে।
এনিয়ে বন্দরগছ গ্রামের বাসিন্দারা রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, অবাধে নদীতে নেমে বাংলাদেশিরা বালি তুললেও সেই দেশের প্রশাসন নীরব। এতে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরজেরেই ভারী বর্ষার মরশুমে নদী গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। পাশাপাশি, নদীর পাড় ভাঙন মারাত্মক আকার নিতে পারে। কাজেই সীমান্ত এলাকার মানচিত্র ঠিক রাখতে এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত বিএসএফের।
প্রসঙ্গত, ফাঁসিদেওয়া সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশি গোরু পাচারকারীদের দাপট দীর্ঘদিনের। অবৈধভাবে বাংলাদেশি পাচারকারীরা এপারে এসে গোরু নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এজন্য কিছু সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে বাংলাদেশি পাচারকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এবার নদী বেষ্টিত বন্দরগছ সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশি বালি মাফিয়ারা সক্রিয়। সেই দেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়েছে বলেই অভিযোগ। সোমবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট গ্রামে গিয়েই সেই ঘটনা নজরে পড়ে।
সেই সময় বাঁধের উপর দিয়ে টহল দিচ্ছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্থানীয়দের বক্তব্য, নদীর অধিকাংশ বাংলাদেশের অধীনে। সেজন্যই হয়তো জওয়ানরা কিছু বলতে পারছেন না। ফাঁসিদেওয়ার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক শুভ্রজ্যোতি মজুমদার বলেন, দেড় বছর আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নদী থেকে বালি তোলা নিয়ে বন্দরগছের বাসিন্দারা আপত্তি তুলেছিলেন। সেই সময় বিষয়টি বিএসএফকে জানানো হয়েছিল। তখন কিছুদিন বালি তোলা বন্ধ ছিল। বিএসএফের এক অফিসার জানান, বিষয়টি নজরে এসেছে। আগামীতে বিজিবি’র সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বিষয়টি তোলা হবে। নিজস্ব চিত্র।