একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
মহাদেববাবু বলেন, ওটিপি শেয়ার করলে প্রতারকরা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয়। সেটা আগেই জানতাম। কিন্তু ফোনে কথা শুনে ওই ব্যক্তিকে প্রতারক বলে প্রথমে মনে হয়নি। ও অ্যাকাউন্ট ‘সেফ’ রাখার জন্য পরামর্শ দেয়। কিন্তু কথার ছলে ও ওটিপি জেনে অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেবে এমনটা বুঝতে পারিনি। ওটিপি শেয়ার করার পর প্রতারক প্রথমে অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০হাজার টাকা কেটে নেয়। পরে দু’বার ২০ হাজার টাকা তুলে নেয়। মোট ছ’বারে ও সাত লক্ষ ৩২ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাদেববাবু ধান কেনাবেচার ব্যবসা করেন। তাঁর সেভিংস অ্যাকাউন্টে সাত লক্ষ ৩২হাজার টাকা জমা ছিল। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ধান বিক্রির টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা হয়। ব্যবসার প্রয়োজনে সেভিংস অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা রাখতে হয়। ২৬ডিসেম্বর প্রতারক ব্যাঙ্ককর্তার পরিচয় দিয়ে ফোন করে। সেদিনই একটি কাজে ব্যাঙ্কে যাওয়ার কথা ছিল। সেটা ওই প্রতারককে জানান। সে বলে, ‘ব্যাঙ্কে আরও অনেক কাজ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে কেওয়াইসি আপডেট নাও হতে পারে। আপনি মেসেজে আসা নম্বরটি শেয়ার করে দিন। তারপর আপনি ব্যাঙ্কে এসে দেখবেন আপনার কেওয়াইসি আপডেট হয়েছে কিনা।’ তার কথা বিশ্বাস করে ঠকলাম।
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ব্যাঙ্ক কখনোই ফোন করে তথ্য চায় না। সেটা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ফোন করে গ্রাহকদের জানাচ্ছে। পুলিসের পক্ষ থেকেও লাগাতার প্রচার করা হচ্ছে। সবকিছু জানার পরও ওটিপি শেয়ার করে অনেকেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন। টাকা হাতানোর জন্য এখন প্রতারকরা নতুন নতুন কৌশল নিচ্ছে। জনগণগকে আরও সচেতন হতে হবে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার সায়ক দাস বলেন, সাইবার প্রতারণা বন্ধ করতে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। কখনোই কাউকে ফোনে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা উচিত নয়।