পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
আগে গেটের বাইরের বিশেষ জানলা থেকে বন্দিরা পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। তাও মিনিট খানেকের জন্য। ভিন রাজ্যের যেসব বন্দি আছেন তাদের পরিবারের লোকজন দূর থেকে সবসময় আসতে পারেন না। পরিজনদের না দেখেই কাটাতে হতো তাদের। ফোন বুথ চালু হওয়ায় তারা ফোনেই পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছে। তবে কথা বলতে হচ্ছে প্রহরীদের সঙ্গে। যার জেরে জেলখানার পুলিস কর্মীরা নানা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বন্দিরা কেউ বৃদ্ধ বাবা-মায়ের স্বাস্থ্যের খবর নিচ্ছেন। ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো পড়াশোনা করছে কিনা তা নিয়ে ব্যাকুলতাও ধরা পড়ছে। স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে ঝগড়াঝাঁটি থেকে ভালোবাসা নিবেদনও চলছে। সংশোধনগারে তিনটি ফোন বুথ আছে। বন্দিরা কোন কোন দিন ফোন করতে পারবেন তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। বিশেষ ক্ষেত্রে বন্দিদের যে কোনও দিনে ফোন করার ছাড় রয়েছে। জেলের ২, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দিরা সোম ও বুধবার ফোন করতে পারেন। এক ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের বন্দিরা মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার ফোন করতে পারেন। মহিলা বন্দিরা অবশ্য সাত দিন ফোন করতে পারেন। সংশোধনাগারের এক আধিকারিক বলেন, জেলখানা একসময় নানা নামে পরিচিত ছিল। কখনও কারাগার, গারদ অথবা ফাটক। বর্তমানে সংশোধনগার বলা হচ্ছে। বন্দিরা নানা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। তারমধ্যে একটি হল, ফোনে কথা বলা। ফোনে কথা বলতে গেলে 'ফোন আইডেন্টিটি কার্ড ফর ইনমেটস' ফর্ম ফিলাপ করতে হয়। সেখানে, ৫০ থেকে ২৫০ টাকা ফোনের জন্য রিচার্জ করার সুবিধা রয়েছে। বাড়ির লোকদের এই টাকা জমা করতে হয়। বাবা-মা, স্ত্রী ও পরিবারের লোকদের ফোন থাকে। বন্দিরাই ফোন করতে পারেন। বাইরে থেকে জেলের ফোনে ফোন করা যায় না। ঝাড়গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, আমার দাদা জেলে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি আছেন। জেলের ভিতর থাকতে থাকতে মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছিল। এখন সপ্তাহে দু'বার ফোন করে। ভিডিও কলের সুবিধাও রয়েছে। জেল সুপারিনটেনডেন্ট রাজেশকুমার মণ্ডল বলেন, সপ্তাহে দু'দিন বন্দিরা বাড়িতে ফোন করতে পারেন। মহিলা বন্দিরা প্রতিদিন ফোন করতে পারেন।