পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলার পাঞ্জিপাড়ায় পুলিসের উপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় এক বিচারাধীন বন্দি। সেই ঘটনার জেরে বিভিন্ন জেল থেকে বন্দিদের কোর্টে পেশ করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট জেলগুলির মধ্যে শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগার একটি। আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সংশ্লিষ্ট জেল থেকে বিচারাধীন বন্দিদের মহকুমা কোর্টে পেশ করা হয়নি। দু’দিনে ভার্চুয়ালি ১৬টি মামলার শুনানি হয়েছে। যারমধ্যে শুক্রবার ১৫টি এবং বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানি হয়।
দু’দিনে কোচবিহার সংশোধনাগারে ভার্চুয়ালি শুনানি হয়েছে ৭০টি মামলার। যারমধ্যে শুক্রবার ৪০টি ও বৃহস্পতিবার ৩০টি মামলার শুনানি হয়েছে। এদিন তুফানগঞ্জ সংশোধনাগারে দু’টি মামলার শুনানি ভার্চুয়ালি হয়। জলপাইগুড়িতে অধিকাংশ মামলার শুনানি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হয়েছে। এজন্য মামলার বিচারক ও আইনজীবীরা এবং জেলে বন্দিরা ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন। শুধুমাত্র শ্যোন অ্যারেস্টের মতো আবেদন থাকায় জলপাইগুড়ি জেল থেকে কয়েকজন বন্দিকে কোর্টে পাঠানো হয়। পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, নিরাপত্তার স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোভিড মহামারীকালেও এভাবে মামলার শুনানি হয়েছে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কোর্ট চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অলোক ধারা বলেন, কোর্ট চত্বরে সিসি ক্যামেরা থাকলেও পুলিসের নজরদারিতে কিছুটা খামতি আছে। তিন থেকে চার মাস আগে জিআর সেলে অতিরিক্ত ১০ জন পুলিস কর্মী মোতায়েনের দাবি জানানো হলেও তা পূরণ হয়নি। কোর্টের প্রধান গেট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে হোমগার্ড। কোর্টে আসা লোকজন ও যানবাহনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে না। এখানে মাঝেমধ্যে বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হলেও সঙ্গে সঙ্গে পুলিস পাওয়া যায় না। কাজেই এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও চাঙ্গা করতে হবে।
ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠক করেছেন বলে খবর। এদিন শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (সদর) তন্ময় সরকার আদালত চত্বরে হাজির হয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার সি সুধাকর বলেন, আদালত চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানো হচ্ছে।
তবে জলপাইগুড়ি কোর্ট চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন কোর্ট লকআপে বন্দিদের ঢোকানো ও বের করার সময় তাদের তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিস বাহিনী।