পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অরিজিৎ দাস ঠাকুর এদিন যাদবপুর বিধানসভার অন্তর্গত ১০টি ওয়ার্ডের পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানতে চান, ‘এই সমস্ত ওয়ার্ডের মানুষ ডিপ টিউবওয়েলের উপর নির্ভরশীল। এসব এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে পুরসভার কী পরিকল্পনা?’ জবাবে মেয়র জানান, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এগুলি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৯১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। বর্তমানে যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ বিধানসভার বিভিন্ন অংশে আরও ২৫টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। এর জন্য খরচ হচ্ছে ১৩৩ কোটি টাকা। আগামী দিনে আরও সাতটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন বানানো হবে। তবে জমির সমস্যা যে রয়েছে, তা মানছেন মেয়র। ফিরহাদ আরও বলেন, ‘মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ অঞ্চলের পানীয় জলের সমস্যা পুরোপুরি মেটাতে হবে। এই অঞ্চলগুলিতে রোজ ২৪.২৬ মিলিয়ন গ্যালন জল দরকার হয়, যার পুরোটাই আসে গভীর নলকূপ থেকে। তাই ধাপা এবং ঢালাই ব্রিজের নতুন জল উৎপাদন প্রকল্প করা হচ্ছে। ধাপায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ মিলিয়ন গ্যালন জল উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাইপলাইন বসাতে ২৫০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। গড়িয়া ঢালাই ব্রিজের নয়া জল উৎপাদন প্রকল্প তৈরিতে খরচ হচ্ছে ৮৭ কোটি টাকা। তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাইপলাইন বসাতে আরও ১৪৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মেয়র জানিয়েছেন, গড়িয়া ঢালাই ব্রিজের জল উৎপাদন প্রকল্পে খিদিরপুরে গঙ্গা থেকে জল তুলে এনে পরিশোধন করা হবে।