পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
দুর্গাপুরের ডিএফও অনুপম খান বলেন, সম্বর হরিণ মধ্যপ্রদেশে পাওয়া যায়। পাচারকারীরা আসানসোল পর্যন্ত কীভাবে এই হরিণের শিং নিয়ে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বনদপ্তর গোপন সূত্রে খবর পায়, আসানসোল শিল্পাঞ্চল থেকে হরিণে শিং পাচার হবে। তাঁরা হানা দেন কুলটি থানার চৌরঙ্গি ফাঁড়ির চলবলপুরের একটি ম্যারেজ হল। সেখানেই থাকছিলেন ঝাড়খণ্ডের বোকারোর বাসিন্দা গণেশ প্রসাদ, ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা সুকুমার বাউরি। তাদের সামগ্রী তল্লাশি করতে হরিণের সিংয়ের টুকরো উদ্ধার হয়। পাশাপাশি বেশকিছু প্যাঙ্গোলিনের আঁশ মেলে। দুই বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। শুক্রবার তাদের আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হয়। নিজেদের কাস্টডি না থাকায় তারা জেল হেফাজতে আর্জি জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রয়োজন মতো জেলে গিয়েই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত বছরে আসানসোল থেকে বিপুল পরিমাণ গোসাপের যৌনাঙ্গ উদ্ধার করেছিল বনদপ্তর। সেবারও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন আসানসোলের বড় দশকর্মা ব্যবসায়ী ছিলেন। কুলটি থানার নিয়ামতপুর এলাকা থেকে সাপের বিষও উদ্ধার হয়েছিল আগে। ওই থানারই বরাকর থেকে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার হয়েছে। বন্যপ্রাণীর নানা সামগ্রী উদ্ধারের ঘটনায় পশুপ্রেমীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। দপ্তরের এক আধিকারিকের আক্ষেপ, পাচারকারীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী গ্যাঙের সদস্য। তাদের ছাড়াতে তাবড় তাবড় আইনজীবীরা আদালতের সওয়াল করছেন। জেল থেকে দ্রুত মুক্ত হচ্ছেন অভিযুক্তরা। -নিজস্ব চিত্র