পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের পীরখালি ধুপনি খাঁড়ির কাছে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন অজয় সরদার (৫১) নামে এক মৎসজীবী। বৃহস্পতিবার খাঁড়ি দিয়ে নৌকায় করে ফেরার পথে বাঘ তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঘাড়ে কামড় দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। অজয়ের সঙ্গীরা বৈঠা নিয়ে তাড়া করায় বাঘটি শিকার ছেড়ে পালায়। প্রসঙ্গত, চলতি বছর বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তিন মৎস্যজীবীর। এরইমধ্যে মৈপীঠে লাগাতার বাঘের আতঙ্ক চলছে। দু’সপ্তাহে ছ’বার বাঘ হানা দিয়েছে লোকালয় লাগোয়া বনে।
পীরখালিতে শুক্রবার সকালে অজয়বাবুর দেহ নিয়ে কুলতলির কাঁটামারি গ্রামে ফেরেন সঙ্গীরা। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। কুলতলি থানা দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কাঁটামারির বাসিন্দা অজয় সরদার, কালাচাঁদ সরদার ও কার্তিক সরদার গত শুক্রবার সুন্দরবনে গিয়েছিলেন নদীতে কাঁকড়া ধরতে। কার্তিকবাবু বলেন, ‘আমাদের অনুমতি ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঁকড়া ধরা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কাজ শেষে খাঁড়ির পথ ধরে নৌকা করে বেরবার পথে আচমকা বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে। অজয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বড়বড় দাঁত দিয়ে ঘাড়ে কামড় বসায়। গোটা মানুষটাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমরা প্রথমে হকচকিয়ে যাই। তারপর মনে সাহস এনে বৈঠা ও লাঠি নিয়ে বাঘের দিকে তেড়ে যাই। বিশাল প্রাণীটি ভয় পেয়ে শিকার ছেড়ে পালায়। তবে অজয়কে বাঁচাতে পারিনি। খুব রক্ত বেরচ্ছিল। ও মারা যায়। আমরা ওঁর দেহ নিয়ে গ্রামে ফিরে আসি।’ একটি মানবাধিকার সংগঠনের সহ সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল বলেন, ‘পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অজয় সরদারের একমাত্র মেয়ের পড়াশোনা ও সাংসারিক খরচ চালানোর দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।’