পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
বুধবার ইসলামপুর আদালতে আনা হয় খুনের মামলায় অভিযুক্ত সাজ্জাক আলমকে। কোর্ট থেকে রায়গঞ্জ সংশোধনাগারে নিয়ে আসার সময় কর্তব্যরত পুলিস কর্মীদের উপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। রাজ্য পুলিসের কর্তাদের নজরে এসেছে, ইসলামপুর আদালত থেকে সাজ্জাককে গাড়িতে তোলার সময় দেহ তল্লাশি করা হয়নি। তা হলে আগেই অস্ত্র উদ্ধার হতো। এসওপি থাকলেও, অভিযুক্তের দেহ ভালো করে তল্লাশি না করাটা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এমনকী প্রিজন ভ্যানে তুলে জেলে যাওয়ার সময় মাঝরাস্তায় নানা অজুহাত দেখানো অভিযুক্তকে নামাচ্ছেন এসকর্টের দায়িত্বে থাকা পুলিস কর্মীরা। এরপরই রাজ্য পুলিসের তরফে সমস্ত জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলা হয়েছে অভিযুক্তকে ভালো করে তল্লাশি করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে হবে. আদালতের লক আপ থেকে বের করার পর অভিযুক্তকে হাঁটিয়ে এনে গাড়িতে তোলা যাবে না। গাড়ি দাঁড় করাতে হবে কোর্ট লকআপের সামনে, সেখানে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেওয়া যাবে না এবং জেল থেকে আনা ও ফেরত নিয়ে যাওয়ার সময় কোথাও গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না। এই নিয়ম না মানলে সংশ্লিষ্ট পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাঞ্জিপাড়ার ঘটনার পরই বাড়তি সতর্ক কারা দপ্তরও। জেলে অভিযুক্তদের সাক্ষাৎপ্রার্থী হতে যারা আসছে, তাদের নথি ভালো করে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন কারা কর্তারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলের মধ্যেই অভিযুক্ত পরিকল্পনা করছে পালিয়ে যাওয়ার। একইসঙ্গে আদালতে নিয়ে গেলে সেখানেও অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করতে আসছে তাদের শাগরেদরা। কীভাবে আদালত বা জেল থেকে আসা-যাওয়ার পথে কীভাবে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনা যাবে, তা নিয়েও কথাবার্তা চলছে। কোন রুটে হবে আসা-যাওয়া, তা আগাম জেনে যাচ্ছে অভিযুক্ত ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। যে কারণেই কারা দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অভিযুক্তদের আর জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে না। যেদিন সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তের তারিখ থাকবে তাকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হবে। তবে একমাত্র আদালত নির্দিষ্ট কোনও অভিযুক্তকে সশরীরে হাজির করানোর নির্দেশ দিলে, তবেই কড়া নিরাপত্তায় সমস্ত নির্দেশিকা মেনে নিয়ে যাওয়া হবে।