Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। তাই গঙ্গার মতো নদী ‘দুর্লভা’ গণ্য যে স্থানগুলিতে, সেইসব জায়গার প্রতিই যে পুণ্যলোভী নরনারী সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ অনুভব করবে তাতে সংশয় কী! বিশ্বাসী মানুষের ভক্তিভাবই এমন বহু স্থানকে তীর্থক্ষেত্রে পরিণত করেছে। অবস্থানগত কারণে গঙ্গাসাগরের চেয়ে দুর্গম তীর্থ আর নেই। প্রাচীনকালে গঙ্গাসাগর তীর্থের দুর্গমতা প্রবাদে ঠাঁই পেয়েছে—‘সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার’! 
এমন প্রবাদের ভিত্তি এটাই যে, বহু বাধা বিপত্তি এবং দীর্ঘ উত্তাল নদীপথ পেরিয়ে গঙ্গাসাগরে কোনোক্রমে পৌঁছনো গেলেও সেখান থেকে ঘরে ফেরার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে প্রকৃতির বিরূপতার সঙ্গী জলদস্যু এবং হাঙর, কুমিরের মতো ভয়ানক জলজ প্রাণীরাও। এরপর সুন্দরবনের উপকণ্ঠে সাগরদ্বীপে বিষধর সাপ এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলাও অসম্ভব নয়। তবুও মানুষ যুগ যুগ ধরে সাগরসঙ্গমে যোগীশ্রেষ্ঠ কপিলমুনির আশ্রম অব্দি পৌঁছনোর টান অনুভব করে এসেছে। এই প্রসঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদিত ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় প্রকাশিত (২১ জানুয়ারি, ১৮৫৩) একটি খবর পড়ে দেখা যেতে পারে, ‘‘সাগর হইতে কোন প্রত্যাগত ব্যক্তির দ্বারা অবগত হইলাম যে অন্যান্য বৎসর মকর-সংক্রান্তির মেলায় তথায় যেরূপ সমারোহ হইত এবার তদ্রূপই হইয়াছে। আমাদিগের টোন মেজর সাহেব চারিটি তোপ ও একদল সৈন্য সহিত তথায় উপস্থিত হইয়া অবিশ্রান্তরূপে তোপধ্বনি করাতে ব্যাঘ্রের ভয় বড় দৃষ্ট হয় নাই। কেবল তিনজন নাবিক বনমধ্যে কাষ্ঠ কাঁটিতে গিয়া উক্ত জন্তুর দ্বারা হত হইয়াছে। এবারে সংক্রান্তির সময়ে গগনমণ্ডল নীরদজালে আবৃত থাকাতে শীত অধিক হয় নাই। দোকানদারগণ বিস্তর গিয়াছিল, ডাব-নারিকেল পয়সায় দুইটি করিয়া বিক্রয় হইয়াছে। সাগরেরও দুই ব্যক্তি পরস্ব-অপহরণ অপরাধে ধৃত হইয়া মিলিটারী কারাগারে বদ্ধ হইয়াছে। ৫০ জন গঙ্গাসাগরযাত্রী বাঘের উদরস্থ হইয়াছে এবং নৌকাডুবিতে অনেকের প্রাণনাশ হইয়াছে।” 
অশোকচন্দ্র মিত্রের পশ্চিমবঙ্গের ‘মেলা ও উৎসব’ গ্রন্থে (১৯৫১ সালে লেখা) ১৫১৯টি মেলার বর্ণনা পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৩৩টিকে তিনি পৌষসক্রান্তির মেলা হিসেবে উল্লেখ করেন। বলা বাহুল্য, বাংলার বৃহত্তম পৌষসংক্রান্তির মেলার নাম গঙ্গাসাগর মেলা। 
পুরাণের কাহিনি বাদেও এই মেলার প্রাচীনত্ব প্রশ্নাতীত। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেবতার গ্রাস’ শীর্ষক কবিতায় এই মেলার উল্লেখ পাওয়া যায়। এমনকী এর উল্লেখ রয়েছে মহাকবি কালিদাসের রচনাতেও। প্রাচীন সমাজে এই তীর্থকে ঘিরে যে ভয়াবহ কুসংস্কার ছিল তা মর্মান্তিক। পুণ্যলাভের আশায় কোনও কোনও দম্পতি সাগরে তাদের শিশুসন্তানকে বিসর্জন অথবা নিজেরাই আত্মাহুতি দিত। ১৮০২ সালে ইংরেজ শাসক লর্ড ওয়েলেসলি আইন করে এই কুপ্রথা বন্ধ করতে সফল হন। কিন্তু সাগরসঙ্গমে স্নান-তর্পণ এবং কপিলমুনি, সগর, গঙ্গা ও ভগীরথ বিগ্রহ দর্শন এবং অর্ঘ্য অঞ্জলি দেওয়ার আকর্ষণ রয়ে গিয়েছে অবিকল। ভাগীরথী যেখানে সাগরে গিয়ে মিশেছে তারই মুখে সাগরদ্বীপ। বস্তুত সেটা সাগরের মাথায় যেন মাটির মুকুট! গঙ্গার বদ্বীপগুলির মধ্যে এটাই বৃহত্তম। এর অবস্থানগত গুরুত্ব অপরিসীম। 
এর পূর্বদিক দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুড়িগঙ্গা এবং পশ্চিমে ভাগীরথী। ভাগীরথীর নৌপথে সহজেই কলকাতায় পৌঁছানো যায়। ফিরিঙ্গি আমলে ইউরোপের বিভিন্ন বন্দর থেকে বড় বড় জাহাজ বঙ্গদেশে প্রবেশের আগে এই সাগরদ্বীপে নোঙ্গর করত। পণ্যবাহী নৌকা বা বজরা নিয়ে ঢুকতে হতো ভিতরে। সমুদ্রের দিক নির্ণয় করা কঠিন ছিল, তাই সাগরদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি ‘লাইট হাউস’ তৈরি করা হয়। ইংরেজরা দাবি করে, এই দ্বীপে বনজঙ্গল কেটে চাষাবাদ এবং জনবসতির পত্তন তাদেরই হাতে। হাল আমলের নথিপত্র তেমনই সাক্ষ্য দেয় বটে কিন্তু তাদের এই দাবি অর্ধসত্য। কারণ পরবর্তীকালে এই অঞ্চলে প্রাচীন সভ্যতার অসংখ্য নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। সেই ইতিহাস আলোচনার পরিসর অবশ্য এটা নয়। 
পলাশির যুদ্ধজয়ের পর ইংরেজরা এদেশে পাকাপাকিভাবে ঘাঁটি গেড়ে বসে এবং তখন থেকেই সাগরদ্বীপসহ সুন্দরবন অঞ্চল নিয়ে একটি অর্থকরী ভাবনা এগিয়ে চলে। আর সেই সূত্রেই গঙ্গাসাগরে যাতায়াতের ব্যবস্থা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। গঙ্গাসাগর মেলার দখলদারি নিয়ে শুরু হয় বিবাদ-বিসম্বাদ। প্রাকৃতিক কারণে এই অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটেছে বহুবার। প্রকৃতির রোষের শিকার গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দিরও। মন্দিরের স্থান পরিবর্তন ঘটেছে সাম্প্রতিক অতীতেই একাধিকবার। ১৮৬২ সালে উইলসন সাহেবের লেখা এক প্রবন্ধে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দির সম্পর্কে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়: মন্দিরের সামনে ছিল একটি বটগাছ। নীচে থাকত রাম ও হনুমানের মূর্তি। পুণ্যার্থীরা মন্দিরের গায়ে তাঁদের নামধাম লিখে রাখতেন। মহর্ষির কাছে হাজারো প্রার্থনা লিখতেন তাঁরা খড়ি দিয়ে। কেউ কেউ বটের ডালে ইটপাথরের টুকরো ঝুলিয়ে দিতেন। মন্দিরের পিছনে অবস্থিত সীতাকুণ্ড সবসময় ভরা থাকত টাটকা জলে। পুণ্যার্থীরা গণ্ডূষ করে ওই জল পান করতেন। এজন্য পূজারিকে পয়সা দিতে হতো।
বলা বাহুল্য, গঙ্গাসাগরের এই ছবি বহুকাল আগেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছে। তবু কৌলীন্য হারায়নি গঙ্গাসাগর মেলা। একসময় তো মেলা চলত একমাস যাবৎ—ডিসেম্বরে মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি, অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তি পর্যন্ত। যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ থাকা সত্ত্বেও মানুষ ছুটে যেত। কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাট, আউটরাম ঘাট থেকে ছাড়ত যাত্রীবোঝাই স্টিমার। স্টিমারের দু’দিকে দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকত অনেকগুলি গাদাবোট ও নৌকা। বাঁশের কাঠামোর উপর কোনোরকমে তৈরি করা হতো ছাউনি। যাত্রীরা তার ভিতরে গাদাগাদি করে বসতেন, শুতেনও। মাঝি, সারেঙ্গাগুলোও থাকত আনাড়ি। ফলে দুর্ঘটনার অন্ত ছিল না। ওইভাবেই স্টিমার ও নৌকাগুলো একসময় মেলার কাছে গিয়ে ভিড়ত। সে এক অদ্ভুত শোভা—ফুলমালা, রঙিন কাপড় ও কাগজের শিকল দিয়ে সাজানো হতো পালতোলা নৌকা, মোটরলঞ্চ, স্টিমার প্রভৃতি। সেগুলি দুলত ঢেউয়ের তালে তালে। দূর থেকে দেখা যেত বহু রঙের নিশান সাঁটা জলযানগুলিকে। 
এই সম্পর্কে একটি প্রাচীন পত্রিকায় বর্ণনা পাওয়া যায়, “বর্তমান বৎসরের গত ডিসেম্বর মাসের শেষে উক্ত তীর্থ মেলারম্ভ হইয়া ১৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল। ওই যাত্রাতে যত পিনিস ও ভাউলিয়া ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাড় একত্র হইয়াছিল তৎসংখ্যা ন্যূন নহে এমত অনুমান হইয়াছে। এবং ভারতবর্ষের অতিদূর দেশ অর্থাৎ লাহোর দিল্লী অযোধ্যা ও শ্রীরামপটন ও বোম্বাই হইতে যে বহুতর যাত্রী সমাগত হইয়াছিল সংখ্যা ৫ লক্ষের ন্যূন নহে এবং এই তীর্থযাত্রাতে ব্রহ্মদেশ হইতেও অধিক লোক আসিয়াছিল।” 
গঙ্গাসাগর মেলার ছবি প্রতিবছর বদলে যাচ্ছে। প্রয়াগতীর্থ, হরিদ্বার, নাসিক, উজ্জয়িনী প্রভৃতি কুম্ভমেলার সঙ্গে এর সাদৃশ্য নিবিড় হচ্ছে ক্রমে। ভারতের কোনও মেলা বা উৎসবকেই আর নিছক ধর্মের গণ্ডিতে বেঁধে রাখার অবকাশ নেই। বহু মানুষ সমাগমের প্রতিটি ক্ষেত্রই আজ অর্থকরী বা বাণিজ্যিক ভাবনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেখানে কুম্ভমেলা থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় কোনও প্রভেদ নেই। যেমন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) এবং কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের ইউপি শাখার তরফে এক সমীক্ষা রিপোর্টে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে যে, এবারের প্রয়াগরাজ কুম্ভমেলায় অন্তত ২ লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। এর কারণ হিসেবে যোগী সরকারের দাবি, পূর্ণকুম্ভে ৪০ কোটি মানুষের সমাগম হচ্ছে এবং মেলাটাই চেহারা নিচ্ছে এক মহানগরের। 
পুরাণ থেকে ইতিহাসের সড়ক ধরে আধুনিকতাকে ছুঁয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। তাই বাণিজ্যিক সম্ভাবনার প্রশ্নে গঙ্গাসাগর মেলা কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। তার সামনে মূল বাধা এখনও যাতায়াত। সড়ক, রেল, আকাশ তিনদিক থেকেই প্রয়াগ সংযুক্ত। ফলে পুণ্যার্থী থেকে সাধারণ পর্যটক—যে কেউ সেখানে মন করলেই পৌঁছে যেতে পারেন। গঙ্গাসাগর যাত্রা অনেকটাই সহজ এখন, তবুও কুম্ভমেলার তুলনায় দুর্গম। মুড়িগঙ্গার উপর একটি সেতু নির্মাণ হলে সাগরদ্বীপ বাংলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জুড়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার কথা দিয়েও ব্রিজটি তৈরি করেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত মতো রাজ্য সরকারই দেড় হাজার কোটি টাকায় ওই ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে। আকাশপথেও গঙ্গাসাগরের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি কাম্য। গঙ্গাসাগরের ‘জাতীয় মেলা’র স্বীকৃতি এবং পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় অনুদান প্রাপ্য। বাংলা এই প্রশ্নেও দিল্লির পক্ষপাতিত্বের শিকার। মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও মোদি সরকার মজে আছে কেবল কুম্ভমেলা নিয়ে। গ‍ঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি আদায়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বহুদূর পর্যন্ত যাবেন এবার দিয়ে রেখেছেন সেই বার্তাও। দ্বীপভূমির পরিকাঠামো বৃদ্ধিসহ গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অর্থনীতি দ্রুত এবং আমূল বদলে দিতে পারে। বাংলার সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিও যে তার সুফল পাবে তা এক সহজ অনুমান।
15th  January, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
একনজরে
জয়ে ফিরল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তৃতীয় সারির দল লেটন ওরিয়েন্ট এফসি’কে ২-১ গোলে হারাল তারা। শনিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের ডেরায় দল জিতলেও ছেলেদের ...

মধ্যপ্রদেশের মহিলা মোবাইল চোর গ্যাংয়ের হাতে ছিল প্রায় ২০০ মোবাইল। কাউকে পাঁচ হাজার, কারোর থেকে আবার সাত হাজার, কোনও ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকায় পথেঘাটে সেই মোবাইল   বিক্রি করেছিল তারা ...

কলেজের জমি জলের দরে বিক্রির ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চেয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিচ্ছে এগরা কলেজ পরিচালন কমিটি। শনিবার ওই কমিটি জরুরিভিত্তিতে মিটিংয়ে বসে। সকাল ১১টা ১৫মিনিট থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মিটিং হয়। ...

পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) নেত্রী তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। শনিবার মেহবুবার মেয়ে ইলতিজা মুফতি এমনই দাবি করেছেন। ইলতিজা জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে তাঁকেও গৃহবন্দি করা হয়েছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উত্তম ধনোযোগ পরিলক্ষিত হয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে দিনটি ভালো বলা যায়। কাজকর্মে শুভফল লাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭- ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর লর্ড ক্লাইভ ও বাংলার নবাব সিরাজদৌল্লার মধ্যে আলিনগর সন্ধি হয় এবং বৃটিশরা কলকাতার দখল নেয়
১৮৪৩- মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন
১৮৪৭- বিশিষ্ট আইনজ্ঞ অধ্যাপক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙালি রেজিস্ট্রার কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৯- বাংলার গুপ্ত সমিতির বিপ্লবী নেতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী সুবোধ চন্দ্র বসু মল্লিক বা রাজা সুবোধ মল্লিকের জন্ম
১৮৯৫- উইলিয়াম জি. মরগ্যান ভলিবল খেলার প্রচলন করেন
১৮৯৭- ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি জাকির হুসেনের জন্ম
১৯০০- ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট শুরু হয়
১৯০৯- বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তীর জন্ম
১৯২২- ইংরেজ ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার জিম লেকারের জন্ম
১৯৫৮- বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের জন্ম
১৯৬৫- ভারতে প্রথম ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ রফিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
১৯৬৮- বলিউড অভিনেতা রাহুল রায়ের জন্ম
১৯৭০- অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার গ্লেন ম্যাকগ্রার জন্ম
১৯৭৯- সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় তথা বনফুলের মৃত্যু
১৯৯৪- নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৩ টাকা ৮৮.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৯২ টাকা ১১০.৬৭ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দ্বাদশী ৩২/৫৫ রাত্রি ৭/২৬। আর্দ্রা নক্ষত্র ২৯/৩ সন্ধ্যা ৫/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৬/৫, সূর্যাস্ত ৫/২৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ১/৪৩ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/২ মধ্যে।
২৬ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দ্বাদশী রাত্রি ৮/৬। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫২। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৫/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ গতে ৯/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫৫ মধ্যে মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৬ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১২/১৩ গতে ৩/৩১ মধ্যে।
১০ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে আকসাই চীন ও অরুণাচল প্রদেশের উপর দেওয়া তথ্য নিয়ে ক্ষুব্ধ বেজিং
বাংলাদেশের দুটি পাঠ্যবইয়ে আকসাই চীন ও অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অংশ ...বিশদ

05:40:10 PM

কটকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন তাজ্জব কাণ্ড! গরম থেকে বাঁচতে দর্শকদের উপর জল স্প্রে করার সিদ্ধান্ত স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের

05:36:00 PM

প্রয়াগরাজে আয়োজিত জ্ঞান মহাকুম্ভে অংশ নিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি

05:28:00 PM

সোমবার পূর্ণকুম্ভে পুণ্যস্নানে যাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

05:18:00 PM

দ্বিতীয় ওডিআই: ভারতকে ৩০৫ রানের টার্গেট দিল ইংল্যান্ড

05:14:00 PM

দূর্গে রোড শো করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

05:08:00 PM