Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। আর সেটিই পরে চন্দন, সিঁদুর-টিদুর লেপে বসেছিল। শিবরামবাবু বলেছিলেন, দেবতার জন্ম। সত্যি! জন্মই বটে। ছেলেবেলায় পড়ে মনে হতো, দেবতার জন্ম??? সেও কি হয়? চুল পাকানোর পর অল্পবিস্তর জ্ঞানবুদ্ধির ঠকঠকানিতে জানতে পেরেছি... সেটাও হয়। দেবতার জন্ম দেয় মানুষই। ঠাকুর বলতেন, ভগবান সর্বত্র আছেন। নরেনকে বলেছিলেন, ‘তোকে যেমন দেখছি, তেমনই ওনাকে দেখেছি।’ বিশ্বাস তৈরি করেছিলেন তিনি নরেনের মনে। সেই বিশ্বাস গড়ে তুলেছিল স্বামী বিবেকানন্দকে। স্বামীজি কি আমাদের কাছে দেবতা নন? আলবাৎ তিনি দেবতা। মনুষ্যত্ব, ধর্মচিন্তা, বিবেককে যিনি জাগ্রত করতে পারেন... বিশ্বাস করতে শেখান... তিনি দেব ছাড়া অন্য কিছু নন। দেবতার জন্ম তো হয় বিশ্বাসে। আমরা বিশ্বাস করেছি বুদ্ধে, শ্রীরামকৃষ্ণে। তাই তাঁরা দেবতা। তাঁদের দেখানো পথ মুক্তির। শান্তির। প্রাপ্তির। এছাড়া আর একটি কারণে দেবতার জন্ম হয়— ধান্দায়। ধর্মের থেকে বেশি ভালো ব্যবসা আর কিছু আছে নাকি? এই চিরন্তন সত্য বারবার প্রমাণিত। যুগে যুগে। বিনেপুঁজির এই ব্যবসায় মানুষের বিশ্বাসকে শুধু ব্যবহার করতে হয়। একবার ধোঁয়া দেখা গেলেই হল... কেল্লাফতে। দেবতার জন্ম তখন সময়ের অপেক্ষা। মানুষ ধরেবেঁধে আপনাকে দেবতা বানিয়ে দেবেই। কিন্তু আপনি নিজে যদি দেবতা সেজে মন্দিরে বসতে চান? আম জনতার ভুরু কুঁচকাবেই। প্রথমে তারা দেখবে, ঈশ্বর সাজতে চাওয়া লোকটার আদৌ কোনও পোটেনশিয়াল আছে কি না। তারপর দেখবে, তার ক্ষমতা কতটা। খুব প্রভাবশালী হলে ঢোঁক গিলে নেবে। অর্থাৎ, চূড়ান্ত আপত্তি সত্ত্বেও আপনাকে দেবতা বলে মেনে নেবে। কিন্তু যদি দেখে, আপনাকে দিয়ে দৈবকর্ম কিছুই হচ্ছে না এবং আপনার প্রভাব ফুরিয়ে আসছে? ছুড়ে ফেলে দিতে বেশি সময় লাগবে না। ঠিক এই কারণেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘উপলব্ধি’ দেখে হাঁফ ছাড়া যাচ্ছে। তিনি মোক্ষম সময়ে বুঝে গিয়েছেন, আর নিজেকে ঈশ্বর বা ভগবানের বরপুত্র বলে হাঁকডাক করাটা ঠিক হবে না। তার থেকে বরং এইবেলা মানুষ হয়ে যাওয়া ভালো। অথচ, মাস সাত-আষ্টেক আগেই একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদিজি বলেছিলেন, ‘মা বেঁচে থাকার সময় মনে হতো, আমার জন্ম জৈবিকভাবে হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর সমস্ত অভিজ্ঞতা বিচার করে নিশ্চিত হয়েছি, আমাকে পাঠিয়েছেন স্বয়ং পরমাত্মা। ঈশ্বরই আমার জন্মদাতা। সাধারণ জৈবিক শরীরে এই শক্তি পাওয়া যায় না। ঈশ্বর আমাকে দিয়ে কোনও কাজ করাতে চান। সেজন্যই আমাকে এই শক্তি দিয়েছেন।’
অত্যন্ত বিনীতভাবে একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়, মহাশয়, আপনার কাজ কি ফুরিয়েছে? তাই আবার মানুষ হয়েছেন? না হলে পডকাস্টে কেনই বা বললেন, ‘ঈশ্বর নই। আমিও মানুষ। আমারও ভুল হয়।’ কোথায়? এমন কোনও মারমার কাটকাট কাজ তো আমাদের চোখে পড়ল না? কাজের কথা বললেই মনে পড়ে ১৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি, নোট বাতিল, জিএসটি, জিডিপি, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের কথা। মনে পড়ে রামমন্দির, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও। আপনি নিশ্চয়ই কাজ বলতে এইসব বোঝাননি? আর জীবনের উদ্দেশ্য? সেটা প্রত্যেক মানুষেরই থাকে। ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেককে কোনও না কোনও উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্যই নির্ধারিত করেছেন। এমন কোনও কাজ, যা ওই ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ করতে পারবে না। ফারাক একটাই, হাতেগোনা কয়েকজনের কাজ প্রচারে আসে। বাকিদেরটা থেকে যায় আড়ালেই। তবু কৃতজ্ঞ আমরা, উনি স্বীকার করেছেন। উনি মানুষ। দেবতা নন। সেটাই বা কম কী? ছেলেমেয়েদের আমরা আশীর্বাদ করি, ‘মানুষ হও।’ কেন করি? কারণ, আমরা বিলক্ষণ জানি, সত্যিকারের মানুষ হওয়া বড্ড কঠিন। মানুষ হতে গেলে মান এবং হুঁশ থাকা যে খুব দরকারি। মান অর্থাৎ আত্মসম্মান। আর হুঁশ? বিবেচনা, বিচক্ষণতা, বোধ এবং বিবেক। ঠিক তাই কাজী নজরুলের কথাগুলো যেন কিছুতেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তিনি বলেছিলেন, ‘বিবেকের ক্ষমতা অসীম। যাহারা পশুশক্তির ব্যবহার করিয়া বাহিরে এত দুর্বার দুর্জয়, অন্তরে তাহারা বিবেকের দংশনে তেমনই ক্ষত-বিক্ষত, অতি দীন। তাহারা তাহাদের অন্তরের নীচতায় নিজেই মরিয়া যাইতেছে, শুধু লোক-লজ্জায় তাহাকে দাম্ভিকতার মুখোশ পরাইয়া রাখিয়াছে। সিংহের চামড়ার মধ্য হইতে লুকানো গর্দভ-মূর্তি বাহির হইয়া পড়িবেই। নীল শৃগালের ধূর্তামি বেশি দিন টিকিবে না।’ পরাধীন ভারতে তাঁর লক্ষ্য ছিল ইংরেজ সরকার। চেয়েছিলেন তিনি মানুষের মনের স্বাধীনতা বোধকে জাগ্রত করতে। 
পরাধীনতা কি শুধু ঔপনিবেশিক শাসনে আসে? পরাধীন হয় মানুষ তার অধিকার থেকে বিচ্যুত হলে। পরাধীন হয় কেউ তার মুখে কুলুপ এঁটে দিলে। পরাধীন হয় অক্লান্ত পরিশ্রমের পর দু’বেলা দু’মুঠো ভাত না জুটলে। মাথার উপর ছাদ না পেলে। মেয়ের বাবা বিয়ের গয়না কিনতে যেতে ভয় পান। ৮ হাজার টাকায় এক গ্রাম সোনা! কী দেব মেয়েকে? এই তো বছর দশেক আগেই ছিল আড়াই হাজার টাকা। চাল কিনতে গিয়ে নুন কেনার পয়সা ফুরোয় দশরথের মতো দিনমজুরদের। গ্র্যাজুয়েট প্রণব বসে থাকে চাকরির আশায়। বাবাকে বলে, একটা স্কুটি কিনে দেবে? তাহলে সুইগি বা জোমাটোর ডেলিভারি বয়ের কাজটুকু অন্তত জুটে যাবে। এও কি পরাধীনতা নয়? ডলারের নিরিখে টাকার দাম ৮৬ পার করে যায়। সর্বকালীন রেকর্ড। তারপরও আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা দুর্বল হয়নি। ডলার সবল হয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের ভোটে পর্যন্ত একের পর এক সভায় নরেন্দ্র মোদি তো এই ডলারের বিনিময়মূল্য নিয়েই সরব ছিলেন! বলেছিলেন, ‘রুপিয়া হাসপাতাল মে হ্যায়। আইসিউইতে পড়ে আছে।’ তখন ডলার ছিল ৫৬ টাকার আশপাশে। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘ইউপিএ সরকার ভারতের উপর থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। টাকার দর যে হারে পড়ছে, তাতে মাঝে মাঝে মনে হয়, কেন্দ্র আর ডলারের বিনিময়মূল্যের মধ্যে কম্পিটিশন চলছে। কে আগে বেশি নীচে পড়বে। স্বাধীনতার সময় এক ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল এক টাকা।’ কী হয় টাকার দর পড়লে? অশোধিত তেলের মতো বহু পণ্য ভারত বিদেশ থেকে আমদানি করে। আর তার মূল্য দিতে হয় ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার যত শক্তিশালী হচ্ছে, ততই দুর্বল হচ্ছে টাকা। অর্থাৎ একই পরিমাণ তেল কিনতে অনেক বেশি মূল্য চোকাতে হচ্ছে ভারতকে। ফল? বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার কমছে। সেইসঙ্গে আমদানি ও রপ্তানির মধ্যেকার ফাঁক বাড়ছে। মানে, যত টাকা আমদানির জন্য ভারত খরচ করছে, তার থেকে ঢের কম টাকা রপ্তানি বাবদ আসছে। আমেরিকাও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়াচ্ছে। ফলে ডলার প্রতিদিন চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে। আতান্তরে পড়ছে বহু ভারতীয় কোম্পানি। তথ্যপ্রযুক্তি থেকে খবরের কাগজ। প্রজেক্ট থেকে নিউজপ্রিন্ট, তাদের খরচ করতে হয় ডলারই। দশ বছর আগেও এক ডলারের জিনিস বিদেশ থেকে কিনলে তাদের ৫৬ টাকা খরচ হতো। এখন একই পরিমাণের জন্য ৮৬ টাকা ব্যয় হচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে কর্মীদের উপর। ইনক্রিমেন্ট বাজারদরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হচ্ছে না। বহু সংস্থায় ছাঁটাই চলছে লাগাতার। পাশাপাশি আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় বাজারে জিনিসপত্রের দাম চড়ছে হু হু করে। কিছু তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা, টেক্সটাইল বা ফার্মা কোম্পানি, যারা ডলারের হিসেবেই রপ্তানি করে থাকে, লাভ হচ্ছে শুধু তাদের। আম জনতার নয়। ফল? সমাজে অবসাদ এবং অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। এটাও কি পরাধীনতা নয়? আর এর জন্য কি সরকারের ব্যর্থতা দায়ী নয়? তারপরও ক্ষমতার দম্ভ কি মানায়? কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘শক্তি লাভ করিয়া যাহারা শক্তির এমন অপব্যবহার করিতেছে, কে জানে প্রকৃতি তাহাদের এই অপরাধের পরিণাম কত নির্মম হইয়া লিখিয়া রাখিয়াছে!’ অহঙ্কারের পতন হয়। সেটাই ভবিতব্য। নিপাট ভালোমানুষ ওই ভক্তের মুখেই যে শোনা... ‘ভগবানের সবচেয়ে প্রিয় খাদ্য হল অহঙ্কার। ওইটা পেলে উনি আর কিছু চান না।’ তারপরও আমরা ভগবানই হতে চাই! অজ্ঞানতার কী ভয়ানক বিড়ম্বনা। 
তবে হাঁফ ছাড়ার মতো কথা একটাই, নরেন্দ্র মোদি দেবত্ব ভুলে মানুষ বলে নিজেকে স্বীকার করেছেন। স্বস্তি পেয়েছে দেশবাসী। এবার হয়তো পরাধীনতার শৃঙ্খল ঘুচবে। এবার হয়তো অধিকারের মুখ দেখবে কাঙাল মানুষগুলো। এবার হয়তো আমরা মুখ তুলে বলতে পারব, ‘আমরা তোমাদের ক্ষমতায় এনেছি আমাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য। ক্ষমতার আস্ফালন দেখতে নয়।’ স্বামীজি বলেছিলেন, ‘ঘুরে দাঁড়াও। মুখোমুখি হও।’ তবেই না অন্ধকার ফুঁড়ে আলোর দিশা দেখা যাবে। তবেই না সমস্যার তালা ভেঙে সমাধানের গন্ধ আসবে নাকে। মনে পড়ে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সেই দু’টি লাইন... ‘মিত্র হোক- ভণ্ড যে- তাহারে দূর করিয়া দে’...। তার জন্য মুখ লুকোলে চলবে না। মাথা তুলতে হবে সাধারণকেই। ‘নির্বোধ মেষযূথের মতো এক স্থানে জড়ো হইয়া শুধু মাথাটা লুকাইয়া থাকিলে নেকড়ে বাঘের হিংস্র আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইব না, তাহা হইলে আমাদের ওই নেকড়ে বাঘের মতো করিয়া কান ধরিয়া টানিয়া লইয়া গিয়া হত্যা করিবে।’ এটাই যে সারসত্য। পরাধীনতা ঘোচানোর। অধিকার অর্জনের। তবে যে আমরাও মানুষ হব। 
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
একনজরে

...

দাবানলের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত আমেরিকার লস এঞ্জেলস। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ কমপক্ষে ১৬ জন। ঘরছাড়া দেড় লক্ষের বেশি মানুষ। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি বাড়ি। ...

সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন জমি রেলকে দখলদার মুক্ত করতেই হবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বহু আগেই সাঁতরাগাছি ঝিলের উত্তর দিকের জমি দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান গড়ে ওঠে। ...

সোমবার সকালে ১০৮ কলস জল দিয়ে সহস্রধারায় স্নান করলেন মদনমোহন। প্রাচীন রীতি মেনে মদনমোহনের পুষ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হল এদিন। পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো হয়।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ দুররানীর নেতৃত্বে আফগানরা মারাঠাদের পরাজিত করে
১৮১৪- ডেনমার্কের রাজা সুইডেনের রাজার হাতে নরওয়েকে ছেড়ে দেন
১৮৫৮- নেপোলিয়নের উপর ব্যর্থ হামলা চালানো হয়
১৮৯৯- প্রকাশিত হল উদ্বোধন পত্রিকা
১৯০৩- ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯০৫- অভিনেত্রী দুর্গা খোটের জন্ম
১৯২৬- সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯৩৮- আজকের মকর সংক্রান্তির দিনে বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়
১৯৬৯- মাদ্রাজ রাজ্যের নাম হল তামিলনাড়ু
১৯১৯ - বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তথা প্রথিতযশা উর্দ্দুভাষী কবি ও সাহিত্যিক কাইফি আজমির জন্ম
১৯২৪ - বিশিষ্ট অভিনেতা ও গায়ক সবিতাব্রত দত্তর জন্ম
১৯২৬-  সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯২৯ - বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার শ্যামল মিত্রের জন্ম
১৯৫৪ -স্বাধীনতা সংগ্রামী   বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- ব্যান্ডিট কুইন  ছবি খ্যাত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাসের জন্ম
১৯৭২ - অভিনেত্রী  অনুভা গুপ্তর মৃত্যু 
১৯৭৭- ভারতের কাররেস তারকা নারায়ণ কার্তিকেয়নের জন্ম 
২০০৫- শনি গ্রহের বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান হুইজেন্সের অবতরণ
২০০৮ - নাসার পাঠানো ম্যাসেন্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলার্ধের ছবি তুলতে সক্ষম হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৩০ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৫২/২৮ রাত্রি ৩/২২। পুনবর্সু নক্ষত্র ৯/৪৫ দিবা ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১১/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১২/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৫/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে। 
২৯ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৩/৪২। পুনবর্সু নক্ষত্র দিবা ১০/৫৫। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ১/৭ গতে ও ২/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৮ গতে ৮/২৭ মধ্যে। 
১৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: অসুস্থ অ্যাপেল কর্তা স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল
গতকাল, সোমবার ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পূর্ণকুম্ভের মেলা। এটি ...বিশদ

06:12:01 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: আজ প্রয়াগরাজে পুণ্যস্নানে অংশ নিয়েছেন মোট ৩.৫০ কোটি পুণ্যার্থী এবং সাধু, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

06:11:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ জওয়ান
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ ...বিশদ

06:00:12 PM

ডানকুনিতে হুড়মুড়িয়ে ভাঙল নির্মীয়মাণ ওভার ব্রিজের গার্ডরেল, জখম ১
নির্মীয়মাণ ওভার ব্রিজের গার্ডরেল ভেঙে বিপত্তি! আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডানকুনির ...বিশদ

05:52:18 PM

সিআইএসএফের সম্প্রসারণের অনুমোদন দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

05:51:00 PM

দিল্লির অবস্থা সবাই জানে: রাহুল গান্ধী

05:50:46 PM