সংবাদদাতা, চাঁচল: স্যালাইন বিতর্কের জেরে সমস্যায় রোগীরা। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে নিষিদ্ধ স্যালাইন বন্ধ করেছে মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরেই চিকিৎসাধীন রোগীদের স্যালাইন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ হাসপাতালে অন্য স্যালাইন মজুত না থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালীন টাকা খরচ হওয়ায় সরব হয়েছেন তাঁরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিষিদ্ধ স্যালাইন সরিয়ে ফেলার জন্য কোনও প্রভাব পড়েনি। রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। চাঁচল হাসপাতালে রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুর সহ ছ’টি ব্লকের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন। এখানে প্রতিদিন প্রায় পাঁচজন প্রসব করেন। রবিবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন চাঁচল থানার খদিয়ারপুরের আসরুনা খাতুন। সোমবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর প্রসব হওয়ার কথা ছিল। তার আগে স্যালাইন প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয়। তখন হাসপাতালে স্যালাইন মজুত না থাকার ফলে তাঁর আত্মীয়কে বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়। ওই প্রসূতির আত্মীয় আসমা খাতুন বলেন, হাসপাতালে স্যালাইন দেওয়া হয়নি। বাইরে থেকেই কিনতে বলেন চিকিৎসক। এক জোড়া স্যালাইনের বোতলের দাম দিতে হয়েছে ১২৫ টাকা।
চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সহকারি সুপার আরিফ শাহ বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশ দেওয়ার পরেই নিষিদ্ধ স্যালাইন সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখনও নতুন স্যালাইন আসেনি হাসপাতালে। দ্রুত পৌঁছবে বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সরকারি সরবরাহ স্বাভাবিক হলেই রোগীদের দেওয়া হবে।