সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
অসমের ভেল্লাপাড়া গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়ির মহিলারাই যুক্ত তাঁত শিল্পের সঙ্গে। সেখান থেকেই গামছা এনে গুয়াহাটির মার্কেটে পাইকারি বিক্রি করেন মন্টু কালিতা। বেলতলা বসিস্ট রোডের কাছে তাঁর একটি ছোট্ট বুটিকও রয়েছে। হাতের কাজ করা গামছা থেকে অসম তাঁত সিল্ক—সবরকম বস্ত্রের সমাহার। হস্তশিল্পের চাহিদা কেন কমছে? হতাশার সুরে মন্টু জানান, ‘গামছা আমাদের রাজ্যের সংস্কতির অন্যতম অঙ্গ। পর্যটক মহলেও এর বিশাল আকর্ষণ। উৎসবের সময় চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, তবুও দিনে দিনে রুগ্ণ হয়ে পড়েছে গামছা শিল্প। জরির কাজ করা একটি গামছা বুনতে একজন কারিগরের কম করে তিনদিন সময় লাগে। তার সঙ্গে রয়েছে সুতো মেলালে খরচ গিয়ে দাঁড়ায় আড়াই-তিন হাজারে। বাজারে সঠিক দাম পাওয়া মুশকিল। ফলে চাহিদা বেড়েছে মেশিনে তৈরি গমছার। দামও দেড়শো থেকে পাঁচশোর মধ্যে সীমিত। তাই ক্রমশ সংকটে ডুবেছে হাতে তৈরি গামছা শিল্প। বিপাকে পড়ে তাঁতিরাও বেছে নিচ্ছেন বিকল্প জীবিকা।’
প্রৌঢ় মন্টু কালিতার চোখেমুখে একরাশ বিষণ্ণতা। কিছুক্ষণের বিরতির পর মুচকি হেসে যোগ করলেন, ‘তবে এখনও অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা ঐতিহ্যের সঙ্গে আপোস করেন না। দামের পরোয়া না করে হাতে তৈরি গামছা নিয়ে যান। অনেকে আবার অতিথিদের কাঁধে উপহার স্বরূপ চাপিয়ে দেন হাতে তৈরি গামছা। তখন এই অধমের খোঁজ পড়ে!’- নিজস্ব চিত্র