সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, উপভোক্তাদের মধ্যে জমির পরচা ২০১৯ সালের আগের কি না তা যাচাই করা হবে। পাশাপাশি একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কি না তা দেখা হবে। আয়কর দেন এমন কেউ বা সরকারি চাকুরিজীবী অথবা ব্যবসায়ীরা এই সুবিধা নিচ্ছেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। এমন সব উপভোক্তাদের বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা ধরে ধরে আধিকারিকরা এলাকায় ঘুরছেন।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর মহকুমায় ৭০ হাজারের বেশি পিএম কিষান প্রকল্পের উপভোক্তা রয়েছে। ২০১৯ সালে প্রকল্প শুরুর সময় সরাসরি অনলাইনে অনেকেই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে ২০২১সালে রাজ্য সরকারের কৃষিদপ্তরের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। সিংহভাগ উপভোক্তা ওই সময়ের পরেই আবেদন করেছেন। তাঁরা প্রকল্পের নির্দিষ্ট টাকাও পাচ্ছেন।
দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, অনেক চাকুরিজীবী অথবা আয়কর দেন এমন ব্যবসায়ী টাকা পাচ্ছেন। এছাড়াও একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিও টাকা পাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের মাধ্যমে তা কার্যকর হওয়ায় প্রকল্পের গাইডলাইন অনুযায়ী দপ্তরের ব্লকস্তরের অফিস থেকে তথ্য যাচাই করা হয়। তবে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে বেশকিছু ক্ষেত্রে আয়কর দেন এমন উপভোক্তার সন্ধান মিলেছে। তাঁদেরকে আগে পাওয়া সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এমন ব্যক্তিদেরও সন্ধান মিলেছে। তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। বর্তমানে গোটা জেলাজুড়ে তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। তা সম্পূর্ণ হলে প্রকল্প থেকে অনেকেরই নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।