সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: গঙ্গাসাগর মেলার প্রতিটি পয়েন্টে প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে জেলা ও ব্লক প্রশাসন বারবার মানুষকে সচেতন করার কাজ করেছে। কিন্তু দেখা গেল, মেলার প্রতি পয়েন্টে দেদার ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক। রাজ্য সরকার ২০২৫ সালের গঙ্গাসাগর মেলাকে গ্রিন ও ক্লিন হিসেবে ঘোষণা করেছে। মেলার সবকটি পয়েন্টে পুণ্যার্থীদের আনা প্লাস্টিক নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তার বদলে দেওয়া হচ্ছে জুটের অথবা পচনশীল দ্রব্য দিয়ে তৈরি ব্যাগ। শুধুমাত্র মেলার জন্য এই ধরনের ব্যাগ তৈরি হয়েছে কয়েক লক্ষ। তা সত্ত্বেও প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষত লট নম্বর আটে এ ছবি সবথেকে বেশি চোখে পড়েছে। অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ, মেলাতে ব্যবসা করতে আসা দোকানগুলি প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করছে। এছাড়াও খাবারের জায়গাগুলিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যাগ।
রাকেশ গুপ্তা নামে এক পুণ্যার্থী সাগর থেকে স্নান করে এসে বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ছিল। মেলা প্রাঙ্গণে এক যুবক এসে সেটি নিয়ে নিয়েছেন। বদলে নতুন একটি জুটের ব্যাগ দিয়েছেন।’ আর এক পুণ্যার্থী বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার না করার জন্য মেলা প্রাঙ্গণে লাগাতার মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু লট নম্বর আটে এসে বহু মানুষের হাতেই প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখলাম। এখানেও প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।’ কাকদ্বীপের বিডিও ঋক গোস্বামী বলেন, ‘লট নম্বর আটে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। সবাইকে সচেতন করা হয়েছে। এখনও কারা ব্যবহার করছেন জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে।’
গঙ্গাসাগরের ৮ নম্বর লটে পুণ্যার্থীদের সহযোগিতা করতে উপস্থিত পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার তোলা নিজস্ব নিজস্ব চিত্র।