Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন। গানটি বাংলাদেশেরই এক তরুণের। ওই গায়কের আগুন ঝরানো প্রতিটি গান বাঙালির হৃদয়কে আলোড়িত করছে। সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরালও হচ্ছে। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, তদারকি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের লেলিহান শিখা দিন-দিন ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। বাঘের পিঠে সওয়ার মহম্মদ ইউনুসও সেটা টের পাচ্ছেন। তাই যুদ্ধের জিগির তুলে বাঁচাতে চাইছেন গদি। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, এভাবে কতদিন?
বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে কাল হল এঁড়ে গোরু কিনে।’ মহম্মদ ইউনুসের হয়েছে সেই অবস্থা। নোবেল লরিয়েট হিসেবে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সম্মানও পাচ্ছিলেন। মাইক্রোফিন্যান্সের নতুন দিশারী হিসেবেও বেশ নামডাক রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দু’চারখানা জালিয়াতি টালিয়াতির অভিযোগ উঠলেও তা মঞ্চে বসে হাততালি কুড়ানোর পথে বাধা হচ্ছিল না। কিন্তু তাঁর ‘কাল’ হল বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায়। শান্তির জন্য নোবেল প্রাইজ পাওয়া মানুষটাকেই এখন অনেকে যত অশান্তির মূল বলে মনে করছেন।
ইউনুস সাহেব রাজনীতির লোক ছিলেন না। তিনি যে বয়সে দাঁড়িয়ে আছেন, তাতে সাধারণ মানুষ ঝামেলা এড়িয়ে নিশ্চিন্তে জীবন কাটানোর কথাই ভাবে। ইউনুস সাহেবেরও বাকি জীবনটা শান্তিতে এবং আয়েশ করে কাটানোয় কোনও সমস্যা ছিল না। তা সত্ত্বেও তিনি উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিলেন কেন? অনেকে মনে করছেন, এর পিছনে তিনটি কারণ রয়েছে। এক, ক্ষমতার লোভ, যেটা মানুষের আমৃত্যু থাকে। দুই, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সাফ করে ‘ক্লিনচিট’ সার্টিফিকেট হাতিয়ে নেওয়ার বাসনা। তিন, নোবেল প্রাইজ প্রাপ্তির ‘ঋণ’ পরিশোধের প্রবল চাপ।
ইউনুস সাহেব খুব ভালো করেই জানেন, ভারতের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা তাঁর দেশের নেই। যুদ্ধ লাগলে দেড় দিনও টিকতে পারবে না। তা সত্ত্বেও যুদ্ধের জিগির তুলে দেওয়া হচ্ছে। ভারতের সীমান্ত এলাকায় সাঁজোয়া গাড়ি দৌড়াদৌড়ি করছে। সেনাবাহিনীর সুরক্ষার জন্য বাঙ্কার বানানো হচ্ছে। কামানের গোলা নিক্ষেপে যেমন ধোঁয়া ওড়ে ঠিক তেমনটাই হচ্ছে। বেশ একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। উদ্দেশ্য? ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত, সেই বার্তা দেওয়া। সেটা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকেও দেওয়া হয়েছে। তার প্রভাব পড়ছে উভয় দেশের সীমান্ত এলাকায়।
অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে ভারত নিজের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে। কিন্তু বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা। তাদের পাশে থাকছে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশী জঙ্গিরা। মাছ ধরতে ধরতে কোনও ভারতীয় মৎস্যজীবী সীমানা অতিক্রম করলে তাঁদের জেলে ভরে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। অথচ কয়েক মাস আগেও এমন ঘটনা ঘটলে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ করেই বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হতো।
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে চোরাকারবারিদের পিছু ধাওয়া করতে করতে দু’জন বিএসএফ জওয়ান বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে যান। আর তখনই বাংলাদেশের পাচারকারীরা জওয়ানদের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যে পাচারকারীরা এতদিন প্রাণ বাঁচানোর জন্য আত্মগোপন করাই শ্রেয় মনে করত এখন তারাই বিএসএফ জওয়ানদের মারতে যাচ্ছে। তারা এই সাহস পাচ্ছে মৌলবাদীদের গরম গরম হুমকি ও ইউনুস সরকারের  পদক্ষেপে। পাচারকারীরা বুঝে গিয়েছে, বাংলাদেশ এখন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। তদারকি সরকার যখন দাগি জঙ্গিদের জেল থেকে ছেড়ে দিচ্ছে তখন পাচারকারীদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে, এটা ভাবা চরম মূর্খামি। তাই বাংলাদেশের পাচারকারীরাও বেপরোয়া।
১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতবর্ষ। মেধা ও সম্পদের কারণে বিশ্বের বহু শক্তিধর দেশ ভারতকে হিংসা করে। বিভিন্নভাবে আমাদের দেশকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে। তারজন্য অতীতে অনেক চক্রান্তও হয়েছে। কিন্তু সরাসরি আক্রমণের সাহস খুব একটা দেখায়নি। তাই প্রতিবেশী দেশগুলিকে নানাভাবে ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, ভারতের মতো পরমাণু শক্তিধর দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ যা করছে, সেটা সেই চক্রান্তেরই অঙ্গ। এতদিন যে কাজটা পাকিস্তানকে দিয়ে করানো হচ্ছিল এখন সেটাই তারা বাংলাদেশকে দিয়ে করাতে চাইছে। তদারকি সরকার গঠন এবং তারপরই দাগি আসামি ও জঙ্গিদের ছেড়ে দেওয়া, সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ। উন্মুক্ত সীমান্তের সুযোগ নিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের। উদ্দেশ্য, ভারতে নাশকতা চালিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি।
বাংলাদেশের ইউনুস সরকার পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া বাধাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাইছে যাতে বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। আর গুলি চালালেই তাকে ইস্যু বানাবে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের এত হম্বিতম্বির পরেও ভারত সরকার চুপ কেন, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখানে একটা কথা ভুললে চলবে না, ‘রাজনীতি’ আর ‘পররাষ্ট্র’ নীতি এক নয়। দু’টিকে একই আতসকাচের নীচে রেখে বিশ্লেষণ করতে যাওয়াটা ঠিক হবে না। কারণ ইউনুস সরকার ভারত বিরোধী জিগিরের মুখ। কিন্তু আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছে বড় কোনও শক্তি। বাংলাদেশের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কে ‘ফায়ার’ করতে চাইছে, সেটা খুঁজে বের করাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। 
মৌলবাদীদের খুশি করতে তদারকি সরকার যা করছে, তাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। সেটা মহম্মদ ইউনুস খুব ভালো করেই জানেন। নির্বাচন হলে যে গোহারা হারবেন, সেটাও তিনি বুঝে গিয়েছেন। তারজন্যই তিনি নির্বাচনে না গিয়ে যুদ্ধের জিগির তুলে কোনওরকমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছেন।
ভারতবর্ষ থেকে পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল ১৯৪৭ সালেই। ১৯৭১ সালে আলাদা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর দুই বাংলার মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠছিল। সেই সম্পর্কের আবেগ এতটা তীব্র ছিল যে অনেকেই কাঁটাতারের বেড়া মুছে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতেন। অত্যাচারের ভয়ে ফেলে আসা পৈতৃক ভিটে একটিবারের মতো দেখার আশায় অনেকেই আকুলি বিকুলি করতেন। কিন্তু ইউনুস সরকারের কর্মকাণ্ডে সেই আবেগ কর্পূরের মতো উবে গিয়েছে। দেশ ছাড়ালেও বহু মানুষ ‘আমাগো দ্যাশ’ বলে গর্বিত হতেন। ইউনুস সরকার তাঁদের সেই আবেগে জোর ধাক্কা দিয়েছে। এখন তাঁদেরই মুখ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বেরিয়ে আসছে এক রাশ ক্ষোভ। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতবর্ষকে নয়, পাকিস্তানকে তাদের বন্ধু বলে মনে করছে।
অথচ একদিন এই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই ফুঁসে উঠেছিল পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণার প্রতিবাদে এককাট্টা হয়েছিল বাংলা ভাষাভাষী সমস্ত মানুষ। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ১৪৪ ধারা ভেঙে রাস্তায় নেমেছিলেন। তারজন্য পুলিসের গুলিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, আব্দুল জব্বারের মতো আরও অনেকে। ভাষার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আত্মবলিদানের এক অনন্য নজির গড়েছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা। সৃষ্টি হয়েছিল ইতিহাস। রফিক, সালাম, বরকতের বলিদান বৃথা যায়নি। উর্দুপ্রেমী পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাকেও দিতে বাধ্য হয়েছিল রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। মিলেছিল লড়াইয়ের আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি। সমগ্র বাঙালির কাছে একুশে ফেব্রুয়ারির এখন একটাই পরিচয়, ‘আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’।
বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই সেই তরুণ গায়ক গেয়েছেন, ‘ওরা পিতার মাথায় প্রস্রাব করে জুতোর মালা পরিয়ে/ ঘরে বসে তুমি দেখেছ অশ্রু পড়েছে দু’গাল গড়িয়ে/ ওরা কবিগুরুকে রাজাকার বলে তার গান আর চায় না/ সোনার বাংলা মুছে দেবে বলে ধরেছে এবার বায়না।’ বাংলাদেশের তদারকি সরকার মেতেছে ইতিহাস মুছে দেওয়ার খেলায়। ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে গর্বের সমস্ত স্মৃতিসৌধ। অস্বীকার করতে চাইছে বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। ফলে উঠছে প্রশ্ন, ভাষা শহিদদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকেও কি পদদলিত করবেন বাংলাদেশের ‘মেধাবী’রা? এবারেও কি একুশে ফেব্রুয়ারি সমগ্র বাংলাদেশ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলতে পারি’ গানে আলোড়িত হবে! নাকি রফিক, সালাম, বরকতদের জন্যও অপেক্ষা করছে ‘বঙ্গবন্ধু’ মুজিবের মতোই নিদারুণ কোনও ‘স্বীকৃতি’!
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
একনজরে
সম্প্রতি রাজধানী দিল্লির একের পর এক স্কুলে বোমা মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছিল পড়ুয়া ও স্কুল কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় পুলিস-প্রশাসনও বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল। কখনও স্কুলে ছুটত বম্ব স্কোয়াড। কখনও পুলিস কুকুর দিয়ে চলত তল্লাশি। ...

চোরাপথে ভারতে এসে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার তিন বাংলাদেশি যুবক। ধৃতদের নাম ইয়াসিন সরকার (২৩), সোহাগ মিঞা (২৭) ও হাসান মিঞা (২৪)। ইয়াসিন বাংলাদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা। ব্রাহ্মণবেড়িয়ার বাসিন্দা সোহাগ। হাসানের বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়। ...

বিশ্বের নিরিখে তৃতীয়। আর পশ্চিম গোলার্ধের বাইরে প্রথম। ভারতের এই র‌্যাঙ্কিং অবশ্য গর্বের নয়। লজ্জার। কারণ, এই র‌্যাঙ্কিং তৈরি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে ...

রাজ্য থেকে আদায় হওয়া কেন্দ্রীয় করের অংশ হিসেবে ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা পেল বাংলা। শুক্রবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এদিন দেশের সবক’টি রাজ্যের জন্য মোট ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩০ কোটি টাকা ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৩: মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সুরাতে কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেন 
১৭৫৯: যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জীবন বীমা কোম্পানি যাত্রা শুরু
১৮৫৯: গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় লর্ড কার্জনের জন্ম
১৮৬৬: ভারতের প্রথম পেশাদার আলোকচিত্রী-চিত্রকরদের মধ্যে অন্যতমলক্ষ্মীনারায়ণ রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯২২: মানবদেহে ডায়াবেটিসে প্রথমবার ইনসুলিন ব্যবহার হয়
১৯৬৬: ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু
১৯৭২: পূর্ব পাকিস্তানের নাম হল বাংলাদেশ
১৯৭৩: ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়ের জন্ম
২০০৮:  নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী এবং অভিযাত্রী এড্‌মন্ড হিলারির মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী ৯/৫৩, দিবা ১০/২০। কৃত্তিকা নক্ষত্র ১৮/২৮ দিবা ১/৪৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪৯, সূর্যাস্ত ৫/৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৪ মধ্যে।
২৫ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী দিবা ৯/৩৮। কৃত্তিকা নক্ষত্র দিবা ১/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৫ মধ্যে।
৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: বেঙ্গালুরু ০-মহামেডান ০ (২৪ মিনিট)

05:25:00 PM

আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করল পুলিস

05:20:00 PM

ছত্তিশগড়ের সুকমায় আত্মসমর্পণ করল ৯ মাওবাদী

05:16:42 PM

উত্তরপ্রদেশের কনৌজ স্টেশনে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ ভবন, আটকে বহু শ্রমিক

05:16:42 PM

চেতলার একটি বাড়ি থেকে হীরে চুরির অভিযোগ, মুম্বই থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

05:16:42 PM

আইএসএল: বেঙ্গালুরু ০-মহামেডান ০ (৩ মিনিট)

05:03:00 PM