Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। আমেদাবাদের বাপুনগরে সাউথ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কিন্ডারগার্টেন বিভাগে এহেন এক উৎসব পরিবেশ ব্যাহত হল। কেন? কারণ আচমকা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একদল সদস্য স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকা এবং দিদিমণিদের ধমক, হুমকি দিয়ে বলল, এসব বিদেশি কালচার চলবে না। সব ডেকোরেশন খুলে ফেলতে হবে। বাচ্চারাও ভয় পেল। দিদিমণিরা তো বটেই। এরপর তাদের বাধ্য করা হয় সমস্ত দেওয়াল ফাঁকা করে দিতে। বাচ্চাদের আঁকা সব ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। এই শেষ ওয়ার্নিং। আগামী বছর থেকে যেন এসব ক্রিসমাস পালন করতে না দেখি! এই হুঁশিয়ারি দিয়ে চলে যায় তারা। বিহ্বল এবং আতঙ্কিত দিদিমণি এবং বাচ্চারা সম্ভবত আগামী জীবনে আর কখনও এই আতঙ্ক ভুলবে না।
জোমাটো অথবা সুইগির ইউনিফর্ম আছে। সেইসব কোম্পানির নাম লেখা টি শার্ট পরেই ডেলিভারি পার্সনদের দেখা যায় শহরে শহরে বাইক অথবা স্কুটিতে চেপে অর্ডার করা খাবার পৌঁছে দেয় কাস্টমারের কাছে। ইন্দোরে ২৫ ডিসেম্বর অর্জুন কোম্পানির দেওয়া স্যান্টাক্লজের পোশাক ও টুপি পরে বাইকে চেপে খাবার ডেলিভারি করছিল একজন। হঠাৎ পথে তাকে আটকে দেওয়া হল। নামিয়ে প্রশ্ন করা হল, স্যান্টাক্লজের পোশাক পরেছো কেন? সে বলেছে, আজ ক্রিসমাস। কোম্পানির ক্রিসমাস ড্রাইভ চলছে। তাই..। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা আহ্বায়ক সুমিত হারদিয়া তাঁকে বলেছে, এখনই খুলে ফেলতে হবে এই পোশাক। দিওয়ালির দিন যখন খাবার ডেলিভারি করিস, তখন কি রামচন্দ্র সেজে করিস? অর্জুন কাকুতি মিনতি করে বলে, স্যার আমি এই ড্রেস খুলে ফেললে কাজ হারাব। কারণ, আজ বলে দিয়েছে এটা পরেই খাবার ডেলিভারি করতে হবে। হিন্দু জাগরণ সেনা তাকে বলে, ওসব জানি না। তোর কাজ খাবার দেওয়া। এই পোশাক খুলতে হবে। অর্জুন বাধ্য হয় স্যান্টাক্লজের পোশাক খুলে ফেলতে।
ইস্ট খাসি হিলস জেলার মালিনং ভিলেজ চার্চের শান্ত আবহে আচমকা আকাশ সাগর ঢুকে পড়ল। এবং চার্চ অফ এফিমেনির অন্দরে যেখানে পাদ্রী  ও যাজকরা প্রার্থনা করেন ও বাইবেল পাঠ করেন, সেই অল্টারে দাঁড়িয়ে মা‌ই঩ক্রোফোন অন করে গাইতে শুরু করে রাম সিয়ারাম...সিয়ারাম জয় জয় রাম...। প্রার্থনা করতে আসা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে সে অল্টারে দাঁড়িয়ে ইশারা করে তার সঙ্গে গাইতে। জয় শ্রীরাম বলে সে তার কর্মসূচি সম্পন্ন করে।
এটা তো মেঘালয়ের প্রত্যন্ত কোনও জেলার একটি নির্জন চার্চের ঘটনা। হতেই পারে। মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু লখনউয়ের হজরৎগঞ্জ তো নির্জন এবং প্রত্যন্ত কোনও স্থান নয়। কলকাতার যেমন ধর্মতলা, দিল্লির যেমন কনট প্লেস, বেঙ্গালুরুর যেমন এম জি রোড তেমনই লখনউয়ের হজরৎগঞ্জ। এহেন হজরৎগঞ্জের চার্চের সামনে জড়ো হয়ে লখনউয়ের এক বিরাট জনতা শ্রীকৃষ্ণ সংকীর্তন করতে শুরু করলেন ক্রিসমাসের রাতে। 
চার্চের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেল। আনন্দ ও উচ্ছ্বলতা দেখে মনে হয়েছিল জন্মাষ্টমীর রাত পালন করা হচ্ছে। ক্রিসমাস পালনের আবহ ঢেকে গিয়েছিল ওই উচ্চকিত হিন্দুত্ব ফেস্টিভ্যালে।
মধ্যপ্রদেশের দামো জেলা শহরে আয়োজিত করা হয়েছে স্বদেশি মেলার। আয়োজক স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। গত নভেম্বর মাসে। যারা অংশগ্রহণ করে নিজেদের পণ্য বিক্রি করবে, তাদের স্টল ভাড়া দিতে হবে। যারা ভিনরাজ্য থেকে আসবে তাদের নিজেদের আসা, থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। সেইমতো কাশ্মীরের কোনও বিক্রেতা ৩০ হাজার টাকা খরচ করে কার্পেট নিয়ে এসেছে এবং স্টল দিয়েছে। আগ্রার কোনও বিক্রেতা ৮ হাজার টাকা খরচ করে এসেছে এবং আগ্রার হস্তশিল্প নিয়ে বসবে বলে স্টল নিয়েছে। কিন্তু ১০ জন দোকানিকে বলা হল তোমরা স্টল ছেড়ে দিয়ে চলে যাও। এই মেলায় তোমাদের স্থান হবে না। বাছাই করা ওই ১০ জনই মুসলিম সম্প্রদায়ের। তারা বাইরে থেকে এসেছে। স্থানীয় আয়োজকদের সঙ্গে তো আর ঝগড়া করতে পারবে না। অতএব সকলেই মুখ বুজে ফিরে গিয়েছে স্বদেশি মেলা থেকে।
কুম্ভ মেলায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। নাসের পাঠান নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করল। সাংঘাতিক ঘটনা। এ তো দাঙ্গা বেঁধে যেতে পারে, এরকম ঘোষণায়! পুলিস তদন্তে নেমে ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মালিককে গ্রেপ্তার করে হতবাক। নাসের পাঠান নাম দিয়ে যে ওই হুমকি দিয়েছে, সে আসলে আয়ুশ জয়সওয়াল। হিন্দু তরুণ। 
এসব ঘটনা কীসের ইঙ্গিত করে? তার থেকে বড় প্রশ্ন হল, এসব থেকে হিন্দুত্ব কতটা উপকৃত হল? বরং এই ঘটনাগুলি থেকে স্পষ্ট, অর্থনীতি, জিডিপি, উন্নয়ন, বাজেট, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ বিল, জি টুয়েন্টি, চন্দ্রযান, ১০০ দিনের কাজ এসব নিত্যদিনের হাজারো সিরিয়াস ইস্যুর আড়ালে একটি সুনির্দিষ্ট প্রজেক্ট চলছে। প্রজেক্টের নাম হিন্দুরাষ্ট্র। না, আনুষ্ঠানিকভাবে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, এমন একটি পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রীয় আবহ নির্মাণ করা হচ্ছে, যেটা কার্যত প্রমাণ করে দেয় যে, আদতে কিন্তু ভারত এখন হিন্দুরাষ্ট্রই। হিন্দুত্বই চালিকাশক্তি। সুতরাং মেজরিটির কথাই শেষ কথা।
নীতি নিয়ম বিধি এবং সামাজিক প্রথাকে নিয়ন্ত্রণ করবে ধর্মীয় মেজরিটি সংখ্যা। অন্যদের মেনে নিতে হবে। যা হওয়ার কথা ছিল পারস্পরিক সহাবস্থান, সেটি বদলে এখন করার চেষ্টা হচ্ছে একটি  বিভাজিত পরিবেশ নির্মাণের প্রকল্প। শাসক ও শাসিত। অর্থাৎ মেজরিটি শাসন করবে। মাইনরিটি মান্য করবে। ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি। রাষ্ট্রের চারটি প্রধান স্তম্ভকে প্রভাবিত করবে সংখ্যাগুরু শ্রেণি। সেটা চিরকালই হয়ে এসেছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি। এখন যেন সেই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনেক বেশি প্রকট করার একটি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। 
একজন হিন্দু কি অখুশি হয় হিন্দুত্বের বজ্রনির্ঘোষে? মোটেই নয়। মেজরিটেরিয়ান ডমিনেশনের অনুভূতি সর্বদা সব দেশেই সকল সম্প্রদায়ের কাছেই গোপন একটি তৃপ্তি। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যে উপায়ে সেটি প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে, সেটি হিন্দুধর্মীয়দের কাছে বেশ কিছুটা লজ্জার। কারণ এসব ঘটনা থেকে দেশি-বিদেশি ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মনে হতেই পারে যে, হিন্দুরা এত ধর্মীয়ভাবে অসুরক্ষিত বোধ করে কেন? কে ক্রিসমাস পালন করল, কে নমাজ কবুল করল, কে বুদ্ধজয়ন্তীতে প্রার্থনা করল, সেটা হিন্দুধর্মকে আঘাত করবে কেন? হিন্দুধর্ম এতই ভঙ্গুর কে বলল? 
হিন্দু ধর্মের বয়স, ব্যাপ্তি, সভ্যতা, গভীরতা, অধ্যাত্মের সমুদ্র নিজেই এক মহাজগৎ! সেখানে অন্য কোনও ধর্ম পালিত হলে হিন্দুধর্ম ভয় পাবে কিংবা আশঙ্কা হবে ‘গেল গেল বলে’, এটা তো চূড়ান্ত ছেলেমানুষি এবং অশিক্ষার লক্ষণ। হিন্দুধর্ম স্বমহিমায় শ্রেষ্ঠ। তার কোনও প্রতিযোগিতায় নামার দরকারই নেই। সনাতন ধর্মচর্চার আরও উন্নতি করা হোক। সেটাই কাম্য। তাই বলে অন্য ধর্মকে কেন দমন পীড়নের দরকার বোঝা গেল না! 
প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্সে যোগ দিয়ে শান্তি ও সমন্বয়ের বার্তা দিচ্ছেন। অথচ তারপরেও ক্রিসমাসে চার্চে হামলা হয়! রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান ধমক দিয়ে বলেন, যত্রতত্র রামমন্দিরের মতো মন্দির মসজিদ ইস্যু তৈরি করা বরদাস্ত করা হবে না। এই দেশ সকলের। অথচ ঠিক বিপরীত কাজই করে সঙ্ঘ সদস্য সংগঠনগুলি রাজ্যে রাজ্যে। তাহলে কথাগুলো সত্যি? নাকি লোকদেখানো? আমাদের আড়ালে আসলে ঠিক কী খেলা চলছে? 
কারা চা‌ইছে এই দেশকে পাকিস্তানের মতো ধর্মোন্মাদী করে তুলতে? কারা চাইছে বাংলাদেশের মতো খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে? কারা চাইছে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া করে দিতে? এসব অস্থিরতাকে প্রশ্রয় দেওয়া আসলে কাদের প্রজেক্ট? 
সর্বোচ্চ জনসংখ্যা।। প্রাচীনতম গণতন্ত্র। সফলতম সংসদীয় সাধারণতন্ত্র। পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। আজ পর্যন্ত সামরিক শাসনে না আসা। বিশ্বের বৃহত্তম বাজার। এবং ৭৮ বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ! ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’ নামক এই ব্র্যান্ডের তুলনা হয় নাকি? অথচ এই ব্র্যান্ড ধ্বংস করতে উদ্যত কোন আত্মঘাতীরা?
10th  January, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
একনজরে
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল কর্মসংস্থানের আশা জাগিয়ে অশোকনগরে শুরু হয়েছিল প্রাকৃতিক তেল ও গ্যাস উত্তোলন প্রকল্পের কাজ। কিন্তু জমিজটের কারণে কয়েকমাস চলার পর তা বন্ধও হয়ে যায়। ...

বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষকে নিকেষ করতে সুপারি নেওয়া বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী পাপ্পু চৌধুরি ওরফে গৌরব কুমার এই রাজ্যের বর্ধমান সেন্ট্রাল জেল থেকে পলাতক অভিযুক্ত। ...

সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন বলিউডের দুই প্রযোজক। শুক্রবার রাতে এমনই অভিযোগে পুলিসের দ্বারস্থ হলেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের কন্যা আরুশি নিশঙ্ক। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে খারিজ করেছেন দুই অভিযুক্ত প্রযোজক।  ...

‘আসছে বছর আবার হবে।’ গত কয়েক মরশুম ধরে এটাই ইস্ট বেঙ্গলের ক্যাচলাইন। চলতি আইএসএলও তার ব্যতিক্রম নয়। আপশোস, হতাশা, ক্ষোভ মিলেমিশে একাকার। লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে সাফল্য ও খ্যাতি লাভের যোগ। ব্যবসা ভালো হবে। হস্তশিল্পীদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: কবি নবীনচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৮৭ : নিখিল ভারত নারীশিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠাত্রী শ্যামমোহিনী দেবীর জন্ম
১৯২৩: রঞ্জন রশ্মির আবিষ্কারক জার্মান বিজ্ঞানী উইলিয়াম রন্টগেনের মৃত্যু
১৯৪২: অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের মৃত্যু  
১৯৯৬: আইবিএম সুপার কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো দাবা খেলায় গ্যারী কাসপারভকে পরাজিত করে
২০১৬: চলচ্চিত্র পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৩ টাকা ৮৮.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৯২ টাকা ১১০.৬৭ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
09th  February, 2025

দিন পঞ্জিকা

২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ত্রয়োদশী ৩১/৪৫ রাত্রি ৬/৫৮। পুনর্বসু নক্ষত্র ২৯/২৩ সন্ধ্যা ৬/১। সূর্যোদয় ৬/১৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১২ গতে ৪/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৯ গতে ৯/৩ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে ৪/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ত্রয়োদশী রাত্রি ৭/১৮। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৮ গতে ৪/৫১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪১ গতে ৯/৫ মধ্যে ও ২/৩৯ গতে ৪/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫২ মধ্যে।
১১ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হলদিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন, আতঙ্ক
একটি যাত্রীবাহী বাসের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল ...বিশদ

06:41:04 PM

প্রয়াগরাজে মানুষ গৃহবন্দী!
প্রয়াগরাজে পুণ্যার্থীদের অত্যাধিক ভিড়ের চাপে সাধারণ মানুষ গৃহগন্দি! সোমবার এমনই ...বিশদ

06:33:58 PM

মৈপীঠে বাঘবন্দি করতে দুটি খাঁচা পাতছে বন দপ্তর

06:09:00 PM

পুণ্যস্নান সেরে প্রয়াগরাজ থেকে বেরিয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

05:59:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের শোনমার্গে ফের নতুন করে তুষারপাত, বরফের চাদরে মুড়ল গোটা এলাকা

05:52:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে তুষারপাত

05:33:34 PM