কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর উমরপুরের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জেলা সভাধিপতি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের কথা সবসময় ভাবেন। জঙ্গিপুরে দমকলের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। এদিন সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।
এব্যাপারে জঙ্গিপুরের সাংসদ বলেন, এলাকাবাসীকে কথা দিয়েছিলাম জঙ্গিপুর দমকল কেন্দ্র হবে। গত প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম। দিদি এলাকাবাসীর কথা ভেবে সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। এতদিন ধুলিয়ান ও বহরমপুর দমকলের উপর আমাদের নির্ভর করতে হতো। দমকল কেন্দ্র গড়ে উঠলে এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।
আগে জঙ্গিপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ধুলিয়ান ও বহরমপুর থেকে দমকল আসার আগেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যেত। শহরের বহুতল থেকে আশপাশের এলাকায় বাড়িতে ছোটবড় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বিশেষ করে রঘুনাথগঞ্জে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন দোকানগুলিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকে। তাছাড়া, উমরপুরে বহু ছোটবড় প্লাস্টিকের কারখানা গড়ে উঠেছে। বছর কয়েক আগে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি প্লাস্টিকের গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। দূর থেকে দমকলের গাড়ি আসার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাই বিভিন্ন ভোটে এটাই হতো বিরোধীদের অন্যতম ইস্যু। বামফ্রন্ট সরকার দীর্ঘ ৩৪ বছরে সেই দাবি পূরণ করেনি। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার এলাকার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করল। জঙ্গিপুরের শহরের রাস্তা খুবই সংকীর্ণ। সেকথা মাথায় রেখে একটি বড় ও একটি মাঝারি ফায়ার ইঞ্জিন থাকছে। এছাড়াও অলিগলিতে দ্রুত পৌঁছতে একটি ফায়ার বাইকও থাকছে।
রঘুনাথগঞ্জের ওমরপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া জমিতেই দমকল কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এরজন্য খরচ হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
( জঙ্গিপুরে দমকল কেন্দ্র। -নিজস্ব চিত্র)