কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
সম্পত্তি কর খাতে আয়বৃদ্ধি করতে গেলে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি জরুরি। তাই গত তিন বছর ধরে পুরসভা সেই কাজে জোর দিয়েছে। পুরসভার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন এবং রাজস্ব আদায় বিভাগ সূত্রে খবর, গত বছর ৫ জানুয়ারি করদাতার সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ১০ হাজার ৪৩১। সেখানে চলতি বছর এই সময়ে সংখ্যাটা ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৯৩-এ দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষ (২০২৪-২৫) শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই করদাতার সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ হাজার ১৬২ জন। এক পুরকর্তা বলেন, ‘বিগত বছরগুলিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার নতুন সম্পত্তি করদাতা নথিভুক্ত হয়েছে। কিন্তু চলতি অর্থবর্ষে এখনই ৪৪ হাজারের বেশি নতুন করদাতা ঢুকেছেন।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘এখন অনলাইনে নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাটের সিসি দেওয়া হচ্ছে। তখনই দ্রুততার সঙ্গে মিউটেশন ও অ্যাসেসমেন্ট করে দিয়ে নতুন অ্যাসেসি করে নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে, সম্পত্তি করের সেল্ফ অ্যাসেসমেন্টের (স্যাফ) ক্ষেত্রেও সাফল্য এসেছে। গত বছরের (৫ জানুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত) হিসেবে স্যাফে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৫০ জন তালিকাভুক্ত ছিলেন। সেখানে চলতি বছর ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সংখ্যাটা ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৯০। অর্থাৎ এক বছরে ৬৫ হাজার ৭৪০টি সম্পত্তি ‘স্যাফ’-এর আওতাভুক্ত করা গিয়েছে। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বকেয়া করদাতাদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠানো, নতুন সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন এবং মিউটেশনের জন্য পাড়ায় পাড়ায় শিবির করে এই সাফল্য এসেছে। এখন কেউ নতুন মিউটেশন করাতে এলে বা সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নিয়ে এলে আমরা আগে সেই সম্পত্তির স্ব-মূল্যায়ন করানোর জন্য জোর দিচ্ছি। পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কসবা, যাদবপুর, মুকুন্দপুর, গরফা, বেহালা, জোকা, ঠাকুরপুকুর ইত্যাদি এলাকায় বহু সম্পত্তির এখনও কর মূল্যায়নই হয়নি। বিশেষ করে জোকা অঞ্চল কয়েক বছর আগে পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সেখানে সম্ভাব্য নতুন করদাতার সংখ্যা বেশি।