কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা জানিয়েছেন, দু’নম্বর ও তিন নম্বর রাস্তার সামনে সমুদ্র সৈকতে স্নান করা যাবে না। দু’নম্বর রাস্তায় যেভাবে শাল বল্লার খুঁটি দিয়ে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পথ বন্ধ করা হয়েছে তিন নম্বরে সেরকম কিছু নেই। ফলে পুণ্যার্থীরা সেখানে জলে নেমে পড়ছেন। ভাঙন আটকাতে বসানো খুঁটিগুলির মধ্যে স্নান পর্ব চলছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তীর্থযাত্রীর সংখ্যা বাড়লে তিন নম্বর রাস্তার সামনের সৈকতে স্নান বন্ধ করা হবে।
পুণ্যার্থীদের স্নান করার জন্য ১, ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর রাস্তার সামনে সৈকতের অংশ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কপিল মুনির আশ্রমের দিক থেকে দু’নম্বর রাস্তা ধরে যে তীর্থযাত্রীরা আসবেন তাঁদের ওই সব রাস্তা সংলগ্ন সৈকতে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর রাস্তার সামনের সৈকতে যাওয়ার জন্য লম্বা রাস্তা করা হয়েছে। ২ নম্বর রাস্তা থেকে ১ নম্বর রাস্তা সংলগ্ন সৈকতের দিকে নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বালির বস্তা ফেলে। ১ নম্বর রাস্তা ধরে তীর্থযাত্রীরা সমুদ্র সৈকতের ওই অংশে আসতে পারবেন।
সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাগরদ্বীপে ভাঙন দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার অংশ জুড়ে। প্রশাসন সূত্রে বলা হচ্ছে, ধবলাহাট ও সাপখালি এলাকায় ভাঙন বেশি তীব্র। ভাঙন প্রতিরোধের জন্য কয়েক বছর আগে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। হল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞরা এসে পরিদর্শন করেছেন ভাঙন। এই প্রকল্প রূপায়িত করতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ঋণ পাওয়ার চেষ্ট চলছে। তবে কপিল মুনির মন্দিরের সামনের অংশের ভাঙন আটকানোর নিয়ে সবথেকে বেশি চিন্তিত সরকার। কারণ তীর্থযাত্রীরা এখানে আসেন। এখানেই ভাঙন বেশি। মন্দিরের সামনের অংশের সমুদ্র ভাঙন আটকাতে কংক্রিটের বাঁধ তৈরির জন্য মন্দিরে সংগৃহীত অর্থের কিছুটা খরচ করার প্রস্তাব মন্দির কর্তৃপক্ষকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন।