কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা দেবাশিস কর্মকার বলেন, সম্প্রতি আমার অসুস্থ ছেলেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যেতে হয়। কোমরে চোট। হাঁটতে পারছে না। এই অবস্থায় ট্রেনে উঠতে আমাদের নাজেহাল হতে হয়। অ্যাম্বুলেন্স ভিতরে ঢোকার ব্যবস্থা নেই। অনেক কষ্টে পৌঁছে দেখতে হয় এসকেলেটরও বন্ধ। এই সুযোগে কুলিরা মর্জিমতো দর হাঁকছে।
এই অভিযোগ সকলের। এনজেপি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন। দেশ-বিদেশের পর্যটক, বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি আসেন এখানে। এ ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ঢোকা ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রীদের এই চূড়ান্ত হয়রানি যাত্রীরা মেনে নিতে পারছেন না।
এনজেপি স্টেশনকে আধুনিক করে তোলার কাজকে সকলেই স্বাগত জানাচ্ছেন। কিন্তু যাত্রীদের বক্তব্য, আধুনিকীকরণের কাজ চলার মাঝেই স্টেশনের পরিষেবা ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখার দিকটি ঠিক রাখার ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি থাকা উচিত। এত বড় গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, এখান দিয়ে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যাতায়াত করেন। বাইরে চিকিৎসা করাতে যান রোগীরা। সেই সমস্ত মানুষদের কথা ভেবে প্ল্যাটফর্মে সহজে পৌঁছনোর ব্যবস্থা রাখা উচিত রেল কর্তৃপক্ষের। এস্কেলেটর ঠিকমতো চলছে না দিনের পর দিন। ফলে সব দিক দিয়েই এনজেপি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছনো ট্রেন যাত্রীদের কাছে এখন বিভীষিকা হয়ে উঠেছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকিশোর শর্মা যাত্রীদের এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এনজেপি স্টেশনকে বিশ্বমানের করে তোলার প্রথম পর্বের কাজ চলছে। পার্কিং জোন অনেকটা দূরে সরিয়ে আনা হয়েছে। প্রথম পর্বের কাজে মাঝে একটু জটিলতা হওয়ায় সময় লেগে গিয়েছে। কাজ চলাকালীন যাত্রীদের যাতে সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে স্থানীয় রেল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। - নিজস্ব চিত্র