Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন। কিছু ব্যক্তির মধ্যেও একইরকম কমপ্লেক্স বা জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। এটাকে ‘সেভিয়ার’ বা ‘মসিহা’ কমপ্লেক্স বলে। এটা এমন একটা মনস্তাত্ত্বিক গঠন যা থেকে একজন বিশ্বাস করেন যে তাঁকেই সমস্ত সমস্যার ‘সমাধান’ করে জনগণকে ‘বাঁচাতে’ হবে। চরম প্রকাশে কমপ্লেক্সটা ওই ব্যক্তিকে এই ভ্রান্তির দিকে পরিচালিত করতে পারে যে, মানুষটি ভেবে বসবেন তিনি জৈবিকভাবে জন্মগ্রহণ করেননি, বরং ‘ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন’!
গত ৭ জানুয়ারি খবরের কাগজের ভিতরের পাতায় একটা শিরোনাম হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গিয়ে থাকবে—‘উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত গাইডলাইন সংশোধন করেছে ইউজিসি’। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সিলেকশন প্রসেস বা নির্বাচন প্রক্রিয়াই ছিল খবরটার বিষয়বস্তু। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) খসড়া গাইডলাইন ইস্যু করার পর সে-সম্পর্কে মতামত আহ্বান করেছে।
উধাও উদারতা
বর্তমানে এক বা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদনকারী বেশিরভাগ আইনে রাজ্যের রাজ্যপালকেই আচার্য করা হয়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছু আইনে রাষ্ট্রপতি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’। সবসময়ই রাজ্যপাল নিয়োগ করা হতো এমন একজন বিশিষ্ট নেতাকে যিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে বহুকাল আগেই অবসর নিয়েছেন অথবা তিনি একজন বিশিষ্ট সম্মাননীয় নাগরিক। রাজ্যপালের কাছে এটাই প্রত্যাশিত যে তিনি পুরোপুরি সংবিধান মেনে কাজ করবেন। বর্তমান রেগুলেশনে একটি সার্চ-কাম-সিলেকশন কমিটির কথা বলা রয়েছে। ওই কমিটিতে রাজ্যপাল, রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের একজন করে মনোনীত সদস্য থাকবেন। অতীতে সার্চ-কাম-সিলেকশন কমিটি ছিল উদার ও গণতান্ত্রিক। তখন চূড়ান্ত নির্বাচনের অধিকারী আচার্য বা রাজ্যপাল হলেও তিনি কাজটি করতেন সাধারণত রাজ্য সরকারের ‘সহায়তা এবং পরামর্শ’ অনুসারে। দুর্ভাগ্যবশত, গত এক দশকে সেই রীতি কবরে পাঠানো হয়েছে এবং রাজ্যপালরা উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তাঁদের মর্জি মতোই। 
সময় বদলে আরও খারাপের দিকে গিয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থায়, রাজ্যপালরা হলেন আরএসএস অথবা বিজেপির আদর্শের প্রতি অনুগত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আনুগত্য প্রদর্শনের নিমিত্ত তাঁরা পুরস্কৃত হচ্ছেন অথবা তাঁরা হলেন আস্থাভাজন অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্ভেন্ট। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালকে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইসরয়’ হিসেবে কাজ করার এবং সেই রাজ্য সরকারকে ‘শৃঙ্খলিত’ করার ফরমান দেওয়া হয়। বাস্তবে, রাজ্যগুলিতে চালু রয়েছে একটি ‘দ্বৈতশাসন’ ব্যবস্থা। একদিকে নির্বাচিত সরকার এবং অন্যদিকে নির্বাচন ব্যবস্থার বাইরে বসানো একজন রাজ্যপাল। ভারতের সংবিধানের ‘সহায়তা ও পরামর্শ’ বলে যে ধারাটি রয়েছে এই জমানায় সেটা বাতিল হয়ে গিয়েছে।
দ্বৈতশাসনের প্রস্তুতি
বিধানসভায় পড়ার জন্য রাজ্য সরকার যে ভাষণ তৈরি করে দেয় কোনও কোনও রাজ্যপাল তার অংশবিশেষ, এমনকী পুরোটাই পড়তে অস্বীকার করেন। আরও দেখা যায় যে, কোনও রাজ্যপাল প্রকাশ্যেই রাজ্য সরকারের, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে, রাজ্যের মুখ্যসচিব অথবা পুলিস প্রধানকে ডেকে পাঠিয়ে হুকুম জারি করছেন কোনও কোনও রাজ্যপাল! জেলা প্রশাসনের কাজকর্ম ‘পর্যালোচনা’ করার জন্য জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘আলোচনা’ করতে রাজ্য সফর করতেও দেখা যাচ্ছে কোনও কোনও রাজ্যপালকে। সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে, বিশেষ করে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে কিছু রাজ্যপাল দ্বৈতশাসন প্রতিষ্ঠিত করছেন। [বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও ভয়ঙ্কর। ওই রাজ্য সরকারগুলি পুরোপুরিই ‘কেন্দ্রীয় সরকারের অধস্তন’ হিসেবে কাজ করে। সেখানে সাধারণত একজন মন্ত্রী অথবা একজন সিনিয়র অফিসার প্রধানমন্ত্রীর ‘চক্ষু ও কর্ণ’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত, মর্জি, বার্তা প্রভৃতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন তাঁরাই।]
ইউজিসি আইনের ২২ ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘ডিগ্রি’ বলতে ইউজিসি কর্তৃক নির্ধারিত যেকোনও ডিগ্রিকে বোঝায় এবং সেটা দিতে পারে কেবলমাত্র আইনসিদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠিত কোনও বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন খসড়া নিয়মাবলিতে উপাচার্যের জন্য সার্চ-কাম-সিলেকশন এবং নিয়োগ পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজটা তিন সদস্যের একটা কমিটির মাধ্যমে হবে। ওই কমিটিতে আছেন আচার্য, ইউজিসি এবং সিন্ডিকেট/ সিনেট/ পরিচালন পর্ষদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষসংস্থার তরফে মনোনীত একজন করে সদস্য। কমিটি তিন থেকে পাঁচজন ব্যক্তির নামের একটি প্যানেল তৈরি করবে এবং আচার্য তাঁদের মধ্যে একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করবেন। যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এই বিধান লঙ্ঘন করে, তবে তাকে কোনোরকম ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালাতে দেওয়া হবে না অথবা ইউজিসি স্কিমে তার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। ইউজিসি আইনের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তালিকা রয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়কে তার থেকেও বাদ দেওয়া হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কার্যত আর ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবেই গণ্য হবে না। মনে রাখবেন, উপাচার্য বাছাই এবং তাঁর নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের আর কোনও ভূমিকাই নেই। ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ বা উপাচার্য হয়ে উঠবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’, যে সংস্থার চেয়ারপার্সন এবং সদস্যদের কেন্দ্রীয় সরকার ‘নিয়োগ’ এবং ‘অপসারণ’ দুটোই করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়করণ
একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আদর্শগত বিশুদ্ধতার জন্য যাচাই করা ‘ভাইসরয়’ থাকবেন দু’জন—রাজ্যপাল/ আচার্য এবং উপাচার্য। ড্রাফট রেগুলেশনস বা খসড়া বিধানগুলি প্রজ্ঞাপিত হলে রাজ্য সরকারের অধিকার কেড়ে নেবে। অথচ রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রয়োজনেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্য সরকারই তৈরি করেছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য তহবিল গড়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যেরই নিজস্ব সম্পদ থেকে। খসড়া বিধানগুলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কার্যত ‘ন্যাশনালাইজ’ বা ‘জাতীয়করণ’ করে ফেলবে। আর ওই সুযোগে দেশের সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবেন ‘মসিহা’। বিজেপি যে ‘এক জাতি, এক সরকার’ নীতি নিয়েছে, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীকরণের সঙ্গেই সংগতিপূর্ণ একটা উদাহরণ এটা। এটা ফেডারেলিজম বা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং রাজ্যগুলির অধিকারের উপর একটা স্পষ্ট আক্রমণ।
এই ড্রাফট রেগুলেশনস রাজ্যগুলির তরফে অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করা চাই। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জাতীয়করণের মতলবকে ‘পরাজিত’ করার জন্য রাজ্যগুলিকে লড়াই করতে হবে রাজনৈতিক এবং আইনিভাবে। অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের। সাবধান, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জনপ্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে দ্বৈতশাসন একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে, সেই সুড়ঙ্গ ধরে রাজতন্ত্র বা স্বৈরশাসন কায়েম হওয়া তখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
একনজরে
শিলিগুড়ি শহরে গড়ে উঠেছে মাদকের একাধিক গোডাউন। বার, পাব, রেস্তোরাঁয় যাওয়া যুব সমাজের হাতে মাদক পৌঁছে দিতে শহরের বুকেই তা মজুত করে রাখা হচ্ছে। ...

চিৎপুর যাত্রাপাড়ার অন্যতম প্রযোজক নেপালচন্দ্র সরকার শনিবার সন্ধ্যায় প্রয়াত হলেন। বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তাঁর মৃত্যুতে যাত্রাপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ...

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ নিশ্চিত করল ভারতের মহিলা দল। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর রবিবার রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১১৬ রানে উড়িয়ে ...

মহারাষ্ট্রের নাসিকে কাজ করতে গিয়ে ট্রাক্টর চাপা পড়ে মৃত্যু হল হরিশ্চন্দ্রপুরের পরিযায়ী শ্রমিকের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নাসিকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৯- প্রথম বাহাদুর শাহ হায়দ্রাবাদ দখল করেন
১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু হয়
১৮৫৯- কলকাতার মোহনবাগান ক্লাবের প্রথম সভাপতি ভূপেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম
১৮৮৮- ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোস্যাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৮৯- বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক নলিনীকান্ত গুপ্তর জন্ম
১৯১৯- ভারতীয়দের মধ্যে স্যার সত্যেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ সর্বপ্রথম ‘লর্ড’ উপাধিতে ভূষিত হয়ে পার্লামেন্ট মহাসভায় আসন লাভ করেন
১৯২৬- চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক শক্তি সামন্তর জন্ম 
১৯৩৮-  কবি লেখক এবং শিক্ষাবিদ  নবনীতা দেবসেনের জন্ম
১৯৩৮- বিশিষ্ট সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মার জন্ম
১৯৪৯- ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মার জন্ম
১৯৫৭- সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্ম
১৯৬৯- অ্যালবাম ‘ইয়েলো সাবমেরিন’ প্রকাশ করল বিট্লস
১৯৭৪- আমেরিকার ডালাসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিমান বন্দর চালু হয়
১৯৮৩– অভিনেতা ইমরান খানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

২৯ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫। পূর্ণিমা ৫৩/৫৫, রাত্রি ৩/৫৭। আর্দ্রা নক্ষত্র ১০/৩৮ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৬, সূর্যাস্ত ৫/৭/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ১১/১৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে, পুনঃ ২/২৬ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। 
২৮ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫। পূর্ণিমা শেষরাত্রি ৪/৩। আর্দ্রা নক্ষত্র দিবা ১১/০। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ১১/২৪ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ২/২৭ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৭ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। 
১২ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জোড়া বাগানে নিষিদ্ধ শব্দবাজির গুদামের হদিশ, উদ্ধার ৯০০ কেজি বাজি, গ্রেপ্তার এক

01:03:00 PM

গঙ্গাসাগরে চলছে পুণ্যস্নান

01:00:48 PM

শ্রীনগরে ডাল লেকের উপরে হাল্কা বরফের আস্তরণ

01:00:47 PM

কুয়াশার জেরে চেন্নাই বিমান বন্দরে ব্যাহত পরিষেবা

01:00:47 PM

‘হেলমেট ছাড়া তেল নয়’
পথ দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ যোগী সরকারের। উত্তরপ্রদেশের পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছে, ...বিশদ

12:50:00 PM

শিয়ালদহ-ডানকুনি লাইনে বাতিল সমস্ত লোকাল
আগামী ২৩, ২৪, ২৫ এবং ২৬ জানুয়ারি শিয়ালদহ-ডানকুনি লাইনের সমস্ত ...বিশদ

12:49:42 PM