Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন। কিছু ব্যক্তির মধ্যেও একইরকম কমপ্লেক্স বা জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। এটাকে ‘সেভিয়ার’ বা ‘মসিহা’ কমপ্লেক্স বলে। এটা এমন একটা মনস্তাত্ত্বিক গঠন যা থেকে একজন বিশ্বাস করেন যে তাঁকেই সমস্ত সমস্যার ‘সমাধান’ করে জনগণকে ‘বাঁচাতে’ হবে। চরম প্রকাশে কমপ্লেক্সটা ওই ব্যক্তিকে এই ভ্রান্তির দিকে পরিচালিত করতে পারে যে, মানুষটি ভেবে বসবেন তিনি জৈবিকভাবে জন্মগ্রহণ করেননি, বরং ‘ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন’!
গত ৭ জানুয়ারি খবরের কাগজের ভিতরের পাতায় একটা শিরোনাম হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গিয়ে থাকবে—‘উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত গাইডলাইন সংশোধন করেছে ইউজিসি’। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সিলেকশন প্রসেস বা নির্বাচন প্রক্রিয়াই ছিল খবরটার বিষয়বস্তু। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) খসড়া গাইডলাইন ইস্যু করার পর সে-সম্পর্কে মতামত আহ্বান করেছে।
উধাও উদারতা
বর্তমানে এক বা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদনকারী বেশিরভাগ আইনে রাজ্যের রাজ্যপালকেই আচার্য করা হয়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছু আইনে রাষ্ট্রপতি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’। সবসময়ই রাজ্যপাল নিয়োগ করা হতো এমন একজন বিশিষ্ট নেতাকে যিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে বহুকাল আগেই অবসর নিয়েছেন অথবা তিনি একজন বিশিষ্ট সম্মাননীয় নাগরিক। রাজ্যপালের কাছে এটাই প্রত্যাশিত যে তিনি পুরোপুরি সংবিধান মেনে কাজ করবেন। বর্তমান রেগুলেশনে একটি সার্চ-কাম-সিলেকশন কমিটির কথা বলা রয়েছে। ওই কমিটিতে রাজ্যপাল, রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের একজন করে মনোনীত সদস্য থাকবেন। অতীতে সার্চ-কাম-সিলেকশন কমিটি ছিল উদার ও গণতান্ত্রিক। তখন চূড়ান্ত নির্বাচনের অধিকারী আচার্য বা রাজ্যপাল হলেও তিনি কাজটি করতেন সাধারণত রাজ্য সরকারের ‘সহায়তা এবং পরামর্শ’ অনুসারে। দুর্ভাগ্যবশত, গত এক দশকে সেই রীতি কবরে পাঠানো হয়েছে এবং রাজ্যপালরা উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তাঁদের মর্জি মতোই। 
সময় বদলে আরও খারাপের দিকে গিয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থায়, রাজ্যপালরা হলেন আরএসএস অথবা বিজেপির আদর্শের প্রতি অনুগত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আনুগত্য প্রদর্শনের নিমিত্ত তাঁরা পুরস্কৃত হচ্ছেন অথবা তাঁরা হলেন আস্থাভাজন অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্ভেন্ট। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালকে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইসরয়’ হিসেবে কাজ করার এবং সেই রাজ্য সরকারকে ‘শৃঙ্খলিত’ করার ফরমান দেওয়া হয়। বাস্তবে, রাজ্যগুলিতে চালু রয়েছে একটি ‘দ্বৈতশাসন’ ব্যবস্থা। একদিকে নির্বাচিত সরকার এবং অন্যদিকে নির্বাচন ব্যবস্থার বাইরে বসানো একজন রাজ্যপাল। ভারতের সংবিধানের ‘সহায়তা ও পরামর্শ’ বলে যে ধারাটি রয়েছে এই জমানায় সেটা বাতিল হয়ে গিয়েছে।
দ্বৈতশাসনের প্রস্তুতি
বিধানসভায় পড়ার জন্য রাজ্য সরকার যে ভাষণ তৈরি করে দেয় কোনও কোনও রাজ্যপাল তার অংশবিশেষ, এমনকী পুরোটাই পড়তে অস্বীকার করেন। আরও দেখা যায় যে, কোনও রাজ্যপাল প্রকাশ্যেই রাজ্য সরকারের, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে, রাজ্যের মুখ্যসচিব অথবা পুলিস প্রধানকে ডেকে পাঠিয়ে হুকুম জারি করছেন কোনও কোনও রাজ্যপাল! জেলা প্রশাসনের কাজকর্ম ‘পর্যালোচনা’ করার জন্য জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘আলোচনা’ করতে রাজ্য সফর করতেও দেখা যাচ্ছে কোনও কোনও রাজ্যপালকে। সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে, বিশেষ করে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে কিছু রাজ্যপাল দ্বৈতশাসন প্রতিষ্ঠিত করছেন। [বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও ভয়ঙ্কর। ওই রাজ্য সরকারগুলি পুরোপুরিই ‘কেন্দ্রীয় সরকারের অধস্তন’ হিসেবে কাজ করে। সেখানে সাধারণত একজন মন্ত্রী অথবা একজন সিনিয়র অফিসার প্রধানমন্ত্রীর ‘চক্ষু ও কর্ণ’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত, মর্জি, বার্তা প্রভৃতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন তাঁরাই।]
ইউজিসি আইনের ২২ ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘ডিগ্রি’ বলতে ইউজিসি কর্তৃক নির্ধারিত যেকোনও ডিগ্রিকে বোঝায় এবং সেটা দিতে পারে কেবলমাত্র আইনসিদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠিত কোনও বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন খসড়া নিয়মাবলিতে উপাচার্যের জন্য সার্চ-কাম-সিলেকশন এবং নিয়োগ পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজটা তিন সদস্যের একটা কমিটির মাধ্যমে হবে। ওই কমিটিতে আছেন আচার্য, ইউজিসি এবং সিন্ডিকেট/ সিনেট/ পরিচালন পর্ষদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষসংস্থার তরফে মনোনীত একজন করে সদস্য। কমিটি তিন থেকে পাঁচজন ব্যক্তির নামের একটি প্যানেল তৈরি করবে এবং আচার্য তাঁদের মধ্যে একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করবেন। যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এই বিধান লঙ্ঘন করে, তবে তাকে কোনোরকম ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালাতে দেওয়া হবে না অথবা ইউজিসি স্কিমে তার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। ইউজিসি আইনের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তালিকা রয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়কে তার থেকেও বাদ দেওয়া হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কার্যত আর ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবেই গণ্য হবে না। মনে রাখবেন, উপাচার্য বাছাই এবং তাঁর নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের আর কোনও ভূমিকাই নেই। ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ বা উপাচার্য হয়ে উঠবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’, যে সংস্থার চেয়ারপার্সন এবং সদস্যদের কেন্দ্রীয় সরকার ‘নিয়োগ’ এবং ‘অপসারণ’ দুটোই করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়করণ
একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আদর্শগত বিশুদ্ধতার জন্য যাচাই করা ‘ভাইসরয়’ থাকবেন দু’জন—রাজ্যপাল/ আচার্য এবং উপাচার্য। ড্রাফট রেগুলেশনস বা খসড়া বিধানগুলি প্রজ্ঞাপিত হলে রাজ্য সরকারের অধিকার কেড়ে নেবে। অথচ রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রয়োজনেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্য সরকারই তৈরি করেছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য তহবিল গড়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যেরই নিজস্ব সম্পদ থেকে। খসড়া বিধানগুলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কার্যত ‘ন্যাশনালাইজ’ বা ‘জাতীয়করণ’ করে ফেলবে। আর ওই সুযোগে দেশের সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবেন ‘মসিহা’। বিজেপি যে ‘এক জাতি, এক সরকার’ নীতি নিয়েছে, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীকরণের সঙ্গেই সংগতিপূর্ণ একটা উদাহরণ এটা। এটা ফেডারেলিজম বা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং রাজ্যগুলির অধিকারের উপর একটা স্পষ্ট আক্রমণ।
এই ড্রাফট রেগুলেশনস রাজ্যগুলির তরফে অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করা চাই। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জাতীয়করণের মতলবকে ‘পরাজিত’ করার জন্য রাজ্যগুলিকে লড়াই করতে হবে রাজনৈতিক এবং আইনিভাবে। অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের। সাবধান, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জনপ্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে দ্বৈতশাসন একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে, সেই সুড়ঙ্গ ধরে রাজতন্ত্র বা স্বৈরশাসন কায়েম হওয়া তখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
13th  January, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
একনজরে
জমি মাফিয়াদের দাদাগিরি ট্যাক্স না দেওয়ায় এক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে  ফুলবাড়ি থেকে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ...

আজ, সোমবার রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। এবছর বীরভূম জেলায় ৪৩হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে। তবে নজর কেড়েছে ছাত্রীদের সংখ্যা। ছাত্রদের পিছনে ফেলে জেলার ছাত্রীরা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ...

সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নামে ৪ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন বলিউডের দুই প্রযোজক। শুক্রবার রাতে এমনই অভিযোগে পুলিসের দ্বারস্থ হলেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের কন্যা আরুশি নিশঙ্ক। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে খারিজ করেছেন দুই অভিযুক্ত প্রযোজক।  ...

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল কর্মসংস্থানের আশা জাগিয়ে অশোকনগরে শুরু হয়েছিল প্রাকৃতিক তেল ও গ্যাস উত্তোলন প্রকল্পের কাজ। কিন্তু জমিজটের কারণে কয়েকমাস চলার পর তা বন্ধও হয়ে যায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে সাফল্য ও খ্যাতি লাভের যোগ। ব্যবসা ভালো হবে। হস্তশিল্পীদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: কবি নবীনচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৮৭ : নিখিল ভারত নারীশিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠাত্রী শ্যামমোহিনী দেবীর জন্ম
১৯২৩: রঞ্জন রশ্মির আবিষ্কারক জার্মান বিজ্ঞানী উইলিয়াম রন্টগেনের মৃত্যু
১৯৪২: অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের মৃত্যু  
১৯৯৬: আইবিএম সুপার কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো দাবা খেলায় গ্যারী কাসপারভকে পরাজিত করে
২০১৬: চলচ্চিত্র পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৩ টাকা ৮৮.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৯২ টাকা ১১০.৬৭ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
09th  February, 2025

দিন পঞ্জিকা

২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ত্রয়োদশী ৩১/৪৫ রাত্রি ৬/৫৮। পুনর্বসু নক্ষত্র ২৯/২৩ সন্ধ্যা ৬/১। সূর্যোদয় ৬/১৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১২ গতে ৪/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৯ গতে ৯/৩ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে ৪/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ত্রয়োদশী রাত্রি ৭/১৮। পুনর্বসু নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৮ গতে ৪/৫১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪১ গতে ৯/৫ মধ্যে ও ২/৩৯ গতে ৪/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫২ মধ্যে।
১১ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: আজ ওড়িশার বিরুদ্ধে নামছে পাঞ্জাব

07:23:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের শোনমার্গে ফের নতুন করে তুষারপাত, বরফের চাদরে মুড়ল গোটা এলাকা

07:05:28 PM

মধ্যপ্রদেশের কাটনি জংশন সংলগ্ন এলাকায় বেলাইন মালগাড়ির ৩টি বগি, ঘটনায় হতাহতের খবর নেই

06:58:00 PM

মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে কটুক্তি, অপমানে আত্মঘাতী ছাত্রী
জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল সে। কিন্তু অভিযোগ, মাধ্যমিক ...বিশদ

06:43:00 PM

হলদিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন, আতঙ্ক
একটি যাত্রীবাহী বাসের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল ...বিশদ

06:41:04 PM

প্রয়াগরাজে মানুষ গৃহবন্দী!
প্রয়াগরাজে অত্যাধিক ভিড়ের চাপে সাধারণ মানুষ গৃহগন্দি! সোমবার এমনই অভিযোগ ...বিশদ

06:33:00 PM