মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
অন্যদিকে, জুনিয়র ন্যাশনালে অনূর্ধ্ব-১৮’র পর এবার অনূর্ধ্ব-২০ বিভাগেও দেশের সেরা হাইজাম্পার নির্বাচিত হলেন হলদিবাড়ির সাগর রায়। পার মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা সাগর ২.০৪ মিটার লাফিয়ে জিতে নিয়েছেন স্বর্ণপদক। কোচবিহারের টাকাগছের আফিয়া খাতুন অনূর্ধ্ব-১৮ মেয়েদের বিভাগে লংজাম্পে ৫.৪১ মিটার লাফিয়ে জিতেছে রূপো। সাগরের মতো আফিয়াও বর্তমানে জলপাইগুড়ি সাই-এ প্রশিক্ষণরত।
বিকির বাবা বিনোদ বর্মন চাষাবাদ করেন। দুই ছেলেমেয়ে। বিকির দিদিও খেলাধুলো করে। পড়াশোনার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের নামকরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য তাঁর। ছেলের পারফরম্যান্সে যারপরনাই খুশি তিনি।
বিকি বর্তমানে সাই-এ প্রশিক্ষণ নিলেও খেলাধুলোয় তাকে তৈরি করেছেন ঘোকসাডাঙা আটপুকুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শারীরশিক্ষার শিক্ষক অনুকূল অধিকারী। রবিবার তিনি বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই বিকি মাঠে নামতে আগ্রহী ছিল। শটপুট এবং কিড জ্যাভেলিন দিয়ে ওর হাতেখড়ি হয়। এবার সে জুনিয়র ন্যাশনাল অ্যাথলেটিক্সে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সোনা জিতেছে। আমাদের স্কুলের এবার হীরক জয়ন্তী। দেশের সেরা অ্যাথলিট হিসেবে বিকিকে স্কুলের তরফে সংবর্ধিত করা হবে।
এদিকে মালবাজারের বড়দিঘি হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মনোজ রায় এবার স্কুল ন্যাশনালে ব্রোঞ্জ জিতেছে। টোটোচালকের সন্তান মনোজও জলপাইগুড়ি সাই-এর ক্যাম্পে রয়েছে। ৫-৮ জানুয়ারি রাঁচিতে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে শটপুটে অংশ নেয় মনোজ। গত বছরও সে অনূর্ধ্ব-১৭ বিভাগে স্কুল ন্যাশনালে ব্রোঞ্জ জিতেছিল। এবার তার লক্ষ্য সোনা।
জলপাইগুড়ি সাই-এর ইনচার্জ ওয়াসিম আহমেদ বলেন, মনোজ যখন আমাদের এখানে আসে, তখন শটপুটে তার থ্রো ছিল ১৪.৬৫ মিটার। এক বছরের মধ্যে সে ১৭.৫৫ মিটার থ্রো করে জাতীয়স্তরে মেডেল জিতেছে। মনোজেরই স্কুলের আর এক ছাত্র স্বপ্নীল দত্ত ন্যাশনালে ডিসকাস থ্রোতে জিতে নিয়েছে রূপো।