মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
তার রেশ ধরেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আতসকাচের তলায় চলে এসেছে। গত বছর মে মাসে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন প্রসূতির মৃত্যুতে রাজ্যে শোরগোল পড়ে যায়। কলকাতা থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা এই অস্বাভাবিক হারে প্রসূতি মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। ধীরে ধীরে প্রসূতির মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে আসার পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় গোটা বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সালাইন থেকে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালে গত বছরের ঘটনা ফের সামনে চলে এসেছে।
যদিও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, গত বছর মে মাসে অস্বাভাবিক হারে প্রসূতি মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছি। পরিকাঠামোর পরিবর্তনের পাশাপাশি ওটি এবং লেবার রুমের সংস্কার করা হয়। ওয়ার্ড পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার পাশাপাশি লেবার ওয়ার্ডে ডায়ালিসিস, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। মেদিনীপুর কাণ্ডে যে স্যালাইন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, আমাদের এখানেও সেই স্যালাইন ব্যবহার হচ্ছিল। সেসময় সেই ব্যবহৃত স্যালাইনের ব্যবহারে পরিবর্তন এনেছিলাম। তারপর এখানে প্রসূতি মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে আসে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে ঠিক কী কারণে অস্বাভাবিক হারে প্রসূতি মৃত্যু হচ্ছিল তা নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা যায়নি। গোটা ঘটনাই আমরা স্বাস্থ্যভবনে জানিয়েছিলাম।
এদিকে মেদিনীপুরের ঘটনার পর স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশমতো দার্জিলিং জেলায় সব হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ফেয়ার প্রাইস শপের মাধ্যমে অন্য সংস্থার স্যালাইন কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসী প্রামাণিক।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিন ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, গত বছর মে মাসে ১৫ জন প্রসূতির মৃত্যুতে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। স্যালাইনের পরিবর্তনের পাশাপাশি লেবার ওয়ার্ডে পরিকাঠামো ও অন্যান্য ব্যবস্থা সংস্কারের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন জেলা ও মহাকুমা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসা প্রসূতিরা সঙ্কটজনক অবস্থায় এখানে আসেন। তাঁদের কারও কিডনি, হার্ট, ফুসফুস ভয়ঙ্কর রকমের ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে প্রসূতিদের বাঁচানোর জন্য আমরা ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশন, ডায়ালিসিস সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছিলাম। কাজেই এই স্যালাইন ব্যবহার থেকেই গত বছর অস্বাভাবিক হারে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল সে কথা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।