মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তরা ঘটনার পরই পালিয়ে যায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিস জানিয়েছে, শুক্রবার জামশুলির এক ব্যবসায়ী পশ্চিম মেদিনীপুরের ফুলবেড়িয়া থেকে ট্রাকে করে আলু নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন। ফেরার সময় ট্রাকে চালক ও খালাসি ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় জয়রামবাটিতে জলট্যাঙ্কি গোড়ায় আসতেই হাতে লাঠি নিয়ে ওই ক্লাবের যুবকরা ট্রাক থামিয়ে চালকের কাছে ৩০০টাকা দাবি করে। চালক চাঁদার অঙ্ক শুনে তা দিতে রাজি হননি। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। তখন তিন-চারজন যুবক ওই খালাসিকে নীচে নামিয়ে যথেচ্ছভাবে কিল-ঘুষি মাসে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তা দেখে আশপাশের দোকানদাররা এলে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ট্রাকের চালক অন্য একটি গাড়িতে করে জখম খালাসিকে প্রথমে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু চোখে মারাত্মক চোট থাকায় তাঁকে রাতেই আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় কোতুলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জখম খালাসি বিষ্ণুপুরের জামশুলি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ওরা সরস্বতীপুজোর জন্য ৩০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। ড্রাইভার অত টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান। এরপরই ওরা ট্রাকের বাঁদিকের দরজা খুলে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে নীচে নামায়। প্রতিবাদ করলে আমাকে মাটিতে ফেলে প্রচণ্ড মারধর করে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে ওরা পালিয়ে যায়। ওদের ঝগড়া ড্রাইভারের সঙ্গে হয়েছিল। আমি ট্রাকে চুপচাপ বসেছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাকে ট্রাক থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়েছে।
জখম ব্যক্তির ছেলে বলেন, বাবাকে প্রথমে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চোখে প্রচণ্ড আঘাত করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাবাকে রাতেই আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জখম হওয়া চোখের অবস্থা ভালো নয়। কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা দোষীদের কড়া শাস্তি চাই।