মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এদিন দুপুরে ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ আলোচনাচক্রের আয়োজন হয়। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী এদিন বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ সেখানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল উপাচার্যের। কিন্তু উপাচার্য গরহাজির থাকলেন সেখানে। যদিও পরে মোবাইল ফোনে উপাচার্য জানান, আমি একটি পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠানের জন্য মালদহে গিয়েছিলাম। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারিনি। আমি আগে থেকেই ডিনকে অনুষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম।
আর্টস-কমার্স-ল’য়ের ডিন তথা ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ দাস বলেন, স্বামীজীর সার্বিক জীবন দর্শন, বিজ্ঞানমনস্কতা নিয়ে আলোচনাচক্রের আয়োজন হয়। শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, গবেষকরা সকলেই আলোচনাচক্রে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, উপাচার্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী এদিন অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। কিন্তু উপাচার্য এদিন আসতে পারেননি। ভিসি কেন আসেননি তা নিয়ে অধ্যাপক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ভিসির গরহাজিরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে অশিক্ষক কর্মীদের সংগঠন সারাবাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি। সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যবেক্ষক বিজয় দাস বলেন, উপাচার্য ভেবেছেন স্বামীজীর জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এলেও হয়তো আমরা তাঁকে ঘেরাও বা আটক করব। কিন্তু এরকম একটি পূণ্য দিনে তাঁকে ঘেরাওয়ের কোনও পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। আসলে তিনি দীর্ঘসময় ধরে যেসব অনৈতিক কাজ করেছেন, তারজন্য আমরা কোনওভাবে তাঁর মুখোমুখি হব ভেবেই, তিনি এদিন আসেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলন তুলে নেওয়া হলেও অশিক্ষক কর্মী তপন নাগের সাসপেনশন এখনও ওঠেনি। বিজয় বলেন, উপাচার্যর কাছে আমরা জানতে চাইব, ৫ মাস বাদেও কেন অশিক্ষক কর্মী তপন নাগের সাসপেনশন প্রত্যাহার হল না।