সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
বরাকর ও দামোদর নদীর মিলনক্ষেত্র দিশেরগড় ঘাটে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ভক্তদের জোয়ার নামে। এবছরও সকাল থেকে যার ব্যতিক্রম হয়নি। ভোর হতেই মানুষ ভিড় জমান এখানে। সাঁকতোড়িয়া, দিশেরগড়, কুলটির পাশাপাশি পুরুলিয়ার বহু মানুষ এখানে ভিড় করেছিলেন। নদীতে নেমে স্নান করে বহু মানুষকে ইষ্ট দেবতাকে স্মরণ করতে দেখা যায়। হীরাপুর থানার ভূতনাথ মন্দিরের সামনে দামোদর ঘাটে এদিন ভোর থেকেই বিপুল মানুষের ভিড় ছিল। তর্পণ হোক বা মকর স্নান আসানসোল, বার্নপুর দুই শহরের মানুষের ভিড় করেন দামোদরের ঘাটে। পুলিস ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। স্পিডবোটে করে নদীতে টহল দিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে দেখা যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের। সেখানেই দেখা যায় রেলপথে ঝুঁকির যাতায়াত। গত বছরই দামোদর নদের উপর রেলব্রিজ পার হতে গিয়েই ইস্কোর তিন ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরও টনক নড়েনি মানুষের। এমনকী, রেল প্রশাসনও বাড়তি কোনও সতর্কতা অবলম্বন করেনি। এদিনও দেখা গিয়েছে রেলব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছিল রেল, আর ব্রিজের এক কোণে দাঁড়িয়ে কোনওরকমে প্রাণ রক্ষা করে মকরস্নান করতে আসছেন সাধারণ মানুষ। ঝুঁকির পারাপারের এই চিত্র ধরা পড়েছে রানিগঞ্জের মেজিয়া ব্রিজের কাছেও। সেখানে ব্রিজের নীচে রয়েছে নারায়ণকুড়ি ঘাট। দামোদর নদের এই ঘাটে মকর সংক্রান্তির দিন ভক্তদের ঢল নামে। বড় মেলার আয়োজন করা হয়। এদিন নারায়ণকুড়ি এলাকায় আসেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, এলাকার পর্যটনে বিকাশের নানা সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে রয়েছে কবিগুরুর ঠাকুরদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের ঐতিহাসিক জেটিঘাট। সেখানে নদীতে বড় নৌকা নামিয়ে পর্যটক টানা যেতে পারে। আমি পর্যটন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব।
এদিন রানিগঞ্জের বল্লভপুরে মেজিয়া শ্মশানঘাটেও বহু মানুষের ভিড় হয়। দুর্গাপুর ব্যারেজেও মানুষের ঢল নেমেছিল। দামোদরের ঘাটগুলির পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলে অজয়ের ঘাটগুলিতেও ব্যাপক মানুষ ভিড় জমিয়েছিল। বারাবনির রুনাকুড়া ঘাট, পাণ্ডবেশ্বরের ভীমগড় ঘাট সহ নানা ঘাটে মানুষ পুণ্যস্নান করে। -নিজস্ব চিত্র